Electric স্কুটার-বাইক কিনতে সহজ কিস্তিতে কর্মীদের লোন দেওয়ার ভাবনা দিল্লির

ওড়িশার পর এবার রাজধানী দিল্লি। সরকারি কর্মীদের সহজ লোনের কিস্তিতে ইলেকট্রিক টু-হুইলার কেনার সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবছে দিল্লি প্রশাসন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক সংবাদ…

ওড়িশার পর এবার রাজধানী দিল্লি। সরকারি কর্মীদের সহজ লোনের কিস্তিতে ইলেকট্রিক টু-হুইলার কেনার সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবছে দিল্লি প্রশাসন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআই (PTI)-কে একথা জানিয়েছেন। এদিকে ক’দিন আগেই বৈদ্যুতিক সাইকেলকে রাজ্যের ইলেকট্রিক ভেহিকেল (ইভি) নীতির আওতাভুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছে মসনদের সরকার। রাজ্যের প্রথম ১০,০০০ ইলেকট্রিক বাইসাইকেল ক্রেতাকে ৫,৫০০ টাকার ভর্তুকি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আবার ওই দশ হাজারের মধ্যে প্রথম ১,০০০ জন ক্রেতাকে দেওয়া হবে অতিরিক্ত ২,০০০ টাকা ইনসেন্টিভ।

এদিকে রাজ্যে বৈদ্যুতিক যানবাহন কেনার সুযোগ-সুবিধা আরও প্রসারিত করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের অধীনে কনভারজেন্স এনার্জি সার্ভিসেস লিমিটেড (CESL)-এর সাথে গাঁটছড়া বাঁধার চিন্তাভাবনা করছে কেজরিওয়াল সরকার। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে নতুন গাড়ির নথিভুক্তকরণের দুই-তৃতীয়াংশ বৈদ্যুতিক স্কুটার এবং মোটরসাইকেল। দিল্লির বিপদসীমার ঊর্ধ্বে পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমাতে ইলেকট্রিক টু-হুইলারের পরিমাণ আরও বাড়ানো অতি জরুরী।

সরকারি সূত্রের দাবি, বর্তমানে দিল্লিতে সরকারি কর্মচারীর সংখ্যা দুই লক্ষের অধিক। তাই এই বৃহৎ পরিমাণ কর্মীদের পরিবেশ বান্ধব যানবাহনের ব্যবহার করতে দেখে সাধারণ মানুষ উদ্বুদ্ধ হবেন এবং তাঁদের মানসিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট দফতরের তরফে কর্মীদের দু’চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার জন্য অনুপ্রাণিত করা হবে। যার দাম কর্মীরা চাইলে একসাথে অথবা প্রতি মাসে সহজ কিস্তিতে নিজেদের বেতন থেকে কাটাতে পারবেন।

এদিকে CESL বলেছে, গত বছরে দিল্লি সরকারকে অংশীদারিত্বে যাওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, “আমরা একাধিক রাজ্য সরকারকে এই প্রস্তাব দিয়েছি। আমরা সমস্ত বাল্কে ইলেকট্রিক টু-হুইলার কিনছি, একসাথে অনেকগুলি কেনার ফলে দামও কম পড়ছে। এর সুবিধা পাবেন সরকারি কর্মীরা, বাজারের দামের থেকেও কম মূল্যে কিনতে পারবেন এগুলি।” সিএসএল জানিয়েছে তারা ইতিমধ্যেই কেরল, গোয়া এবং অন্ধপ্রদেশ সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।