Electric Scooter: হাওয়া ভরলেই ৫ মিনিটে তৈরি এই ছোট্ট ই-স্কুটার, ব্যাগেও ঢুকিয়ে নেওয়া যায়

যত দিন যাচ্ছে, ততোই জনপ্রিয়তা বাড়ছে ইলেকট্রিক স্কুটারের। ব্যাটারিচালিত পরিবেশবান্ধব এই স্কুটির রক্ষণাবেক্ষণ খরচ খুবই কম হওয়ায় দিন দিন ব্যবহারকারীদের কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে।…

যত দিন যাচ্ছে, ততোই জনপ্রিয়তা বাড়ছে ইলেকট্রিক স্কুটারের। ব্যাটারিচালিত পরিবেশবান্ধব এই স্কুটির রক্ষণাবেক্ষণ খরচ খুবই কম হওয়ায় দিন দিন ব্যবহারকারীদের কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে। এছাড়া, বছর দুয়েক আগে করোনা মহামারীর আবির্ভাবের সুবাদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাতায়াত করার জন্য বহু মানুষই এই স্কুটির হাত ধরতে বাধ্য হয়েছিলেন। আর চলতি সময়ে গোটা বিশ্বজুড়ে পেট্রোল-ডিজেলের আকাশছোঁয়া দামের জন্য মানুষ ইদানীংকালে আরও বেশি করে ঝুঁকছে ব্যাটারিচালিত গাড়ির দিকে। সেই কারণেই ইলেকট্রিক স্কুটার এখন আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে, এবং গ্রাহকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন কোম্পানি একের পর এক ইলেকট্রিক স্কুটার বাজারে নিয়ে আসছে।

এই প্রতিবেদনে আমরা এমন একটি ইলেকট্রিক স্কুটারের খোঁজ আপনাদেরকে দিতে চলেছি, যা সাধারণ ইলেকট্রিক স্কুটির তুলনায় বেশ কিছুটা আলাদা। আসলে ব্যাপারটি হল, এই স্কুটারটি ব্যবহার করলে তেল ভরার ঝামেলা তো থাকবেই না, উল্টে আপনি এটিকে ব্যাগেও ভরে নিতে পারবেন! কি, ভাবছেন আমরা কোনো রসিকতা করছি? না, একেবারেই তা নয়। আজকালকার অত্যাধুনিক ডিজিটাল যুগে আর অসম্ভব কিছু নেই বললেই চলে। এই স্কুটারটিকে নিয়ে কোথাও যাওয়ার পর আপনি অনায়াসে সেটি ভাঁজ করে করে নিজের ব্যাগে ভরে নিতে পারবেন। ফলে কোন জায়গায় স্কুটি পার্ক করবেন, সে নিয়েও আপনাকে কোনো চিন্তা করতে হবে না। তাহলে চলুন, এই দুর্দান্ত স্কুটারটির সম্পর্কে আরও গুটিকয়েক কথা জেনে নেওয়া যাক।

দুর্দান্ত প্রযুক্তির এই পার্সোনাল স্কুটারটি হল পোইমো (Poimo) বা পোর্টেবল অ্যান্ড ইনফ্লেটেবল মোবিলিটি (Portable And Inflatable Mobility) স্কুটার। এটির ওজন মাত্র সাড়ে ৫ কেজি। এই স্কুটারটি তৈরি করার ক্ষেত্রে সফ্ট রোবোটিক টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে, যে কারণে এটি অত্যন্ত সফ্ট, নিরাপদে ব্যবহারযোগ্য, এবং লাইটওয়েট হয়ে উঠেছে। গোটা স্কুটারটির ওজন কমাতে একটি ওয়্যারলেস পাওয়ার সিস্টেম ব্যবহার করেছে নির্মাতা সংস্থাটি। এই ইলেকট্রিক স্কুটারটি তৈরি করা হয়েছে থার্মোপ্লাস্টিক পলিউরিথেনের মাধ্যমে। উল্লেখ্য যে, এই একই উপাদান এয়ারবেড তৈরির ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, স্কুটারটিতে সামনের ও পিছনের চাকা, ব্যাটারি ইলেকট্রিক মোটর, হ্যান্ডলবার ও ওয়্যারলেস কন্ট্রোলার দেওয়া হয়েছে। একজন ব্যক্তি খুব সহজেই বসে এই স্কুটিটি চালাতে পারবেন।

এবার আসা যাক ইলেকট্রিক স্কুটারটির হাইলাইট ফিচারের কথায়। আগেই বলেছি যে, স্কুটারটিকে নিজের ইচ্ছেমতো ব্যাগে ভরে নিতে পারবেন ইউজাররা। আর সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে, সমস্ত পার্টস খুলে ফেলার পরেও এই স্কুটারটিকে পুরোদস্তুর ফর্মে আনতে সময় লাগবে মাত্র ৫ মিনিট! স্কুটারটি চালানোর আগে এতে হাওয়া ভরে নিতে হবে। আবার, এটির পিছনের দিকে একটি ভালভ রয়েছে, যেখান থেকে স্কুটির সব হাওয়া বের করে নিয়ে তাকে অনায়াসে ব্যাগে ভরে রাখতে পারবেন ইউজাররা। এই ইনফ্লেটেবল ইলেকট্রিক স্কুটারটিকে Mercari R4D তৈরি করছে। যেহেতু এটি এখনও বাজারে বিক্রয়ের জন্য উপলব্ধ নয়, তাই স্কুটিটির দাম সম্পর্কে এখনও সঠিকভাবে কিছু জানা যায়নি।