সামনেই উচ্চগতির বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেলের লঞ্চ, তার আগে জরুরী ঘোষণা করল Hop Electric

জয়পুরের ইলেকট্রিক টু-হুইলার নির্মাতা হপ ইলেকট্রিক (Hop Electric) তাদের উচ্চগতির বাইক Oxo বাজারে নিয়ে আসার জন্য কোমর বেঁধেছে। ইতিমধ্যেই বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেলটির ঝলক দেখিয়েছে সংস্থাটি। বাইকটি…

জয়পুরের ইলেকট্রিক টু-হুইলার নির্মাতা হপ ইলেকট্রিক (Hop Electric) তাদের উচ্চগতির বাইক Oxo বাজারে নিয়ে আসার জন্য কোমর বেঁধেছে। ইতিমধ্যেই বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেলটির ঝলক দেখিয়েছে সংস্থাটি। বাইকটি লঞ্চের আগেই নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কথা ঘোষণা করল। হপ জানিয়েছে দেশে আরও বেশি সংখ্যক গ্রাহকের হাতে টু-হুইলারের চাবি তুলে দিতে ২০২২-এর মধ্যে ভারতের ৩০০-র অধিক শহরে শোরুম খুলতে চলেছে তারা।

হপের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত এক বছরের কম সময়ে ভারতের ১০০-র বেশি শহরে তারা শোরুম খুলেছে। বৈদ্যুতিক যানবাহনের ক্ষেত্রে ২০২১-এর জুন মাসে যাত্রা শুরু করেছিল সংস্থাটি। আর এক বছরেরও কম সময়ে সংস্থার এই বিস্তার নজরে পড়ার মতো। এই প্রসঙ্গে হপ ইলেকট্রিকের কর্ণধার কেতন মেহতা বলেন, “ইলেকট্রিক ভেহিকেলের জগতে ব্যবসা সম্প্রসারণের এই সাফল্য দ্রুত অর্জন করতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত। বর্তমানে ইন্টারনেটের দুনিয়ায় চতুর্দিকে ইলেকট্রিক ভেহিকেলের জয়জয়কার দেখে ক্রেতারা এ বিষয়ে সচেতনতার সাথে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।”

Hop Oxo ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলের প্রসঙ্গে আযবে, এর লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ফুল চার্জ করলে ১৫০ কিলোমিটারের কাছাকাছি রেঞ্জ দেবে বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও বাস্তবের সাথে রেঞ্জের তারতম্য থাকবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সংস্থা জানিয়েছে, ব্যাটারি চালিত মোটরসাইকেলের প্রোটোটাইপ মডেলটি কলকাতা, জয়পুর, লুধিয়ানা, হায়দ্রাবাদ, পাটনা মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৩০,০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে। সংস্থার গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের লক্ষ্য এই সফর থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সমস্ত খামতি ঢেকে এটি সম্পূর্ণ পণ্য তৈরি করার।

মেহতা এর আগে বলেছিলেন, সংস্থাটি তাদের আসন্ন অক্সোর কনজিউমার ট্রায়াল শুরু করবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে Hop Leo ও LYF নামে দু’টি ই-স্কুটার বিক্রি করে সংস্থাটি। জয়পুরে তাদের একটি কারখানা রয়েছে। জানা গেছে সেখানে খুব শীঘ্রই LYF-এর আপডেটেড মডেল এবং আসন্ন অক্সোর উৎপাদন চালু হবে।