স্মার্টফোনকে ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করতে চান? এই পাঁচটি সহজ টিপস মেনে চলুন

বর্তমান ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোন আমাদের সর্বক্ষণের সঙ্গী। অবসর সময়ে বিনোদনের পাশাপাশি নানাবিধ জরুরি কাজও এখন মূলত এই যন্ত্রটির মাধ্যমেই করা হয়ে থাকে। ফলে দিনের বেশিরভাগ…

বর্তমান ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোন আমাদের সর্বক্ষণের সঙ্গী। অবসর সময়ে বিনোদনের পাশাপাশি নানাবিধ জরুরি কাজও এখন মূলত এই যন্ত্রটির মাধ্যমেই করা হয়ে থাকে। ফলে দিনের বেশিরভাগ সময়টাই ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়েই কেটে যায়। সোজা কথায় বলতে গেলে, মানুষ এখন ভীষণরকমভাবে স্মার্টফোন নির্ভর হয়ে পড়েছে, কিন্তু এই সুযোগটাকেই কাজে লাগাচ্ছে হ্যাকাররা। ব্যবহারকারীদের প্রতারিত করার লক্ষ্যে তারা স্মার্টফোনে ক্ষতিকারক ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার প্রবেশ করিয়ে ইউজারদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিচ্ছে, যা রীতিমতো এক ভয়ানক চিন্তার বিষয়।

ফলে চলতি সময়ে নিজেকে তথা নিজের সর্বক্ষণের প্রিয় সঙ্গীটিকে ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করা একান্ত আবশ্যক হয়ে উঠেছে। কারণ স্মার্টফোনে একবার ভাইরাস আসন গেড়ে বসলে যে কী চরম পরিমাণ ঝক্কি পোহাতে হতে পারে, সে সম্পর্কে নিশ্চয়ই আর নতুন করে কিছু বলার কোনো প্রয়োজন নেই। তাই আপনি যদি আপনার স্মার্টফোনকে ভাইরাস কিংবা ম্যালওয়্যারের কবল থেকে সুরক্ষিত রাখতে চান, তাহলে আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি আপনার একবার পড়ে নেওয়া খুবই প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে এখানে আমরা এমন পাঁচটি সহজ টিপস আপনাদেরকে দিতে চলেছি, যেগুলি অনুসরণ করে চললে ভাইরাস কিংবা ম্যালওয়্যার কোনোমতেই আপনার স্মার্টফোনে দানা বাঁধতে পারবে না। তাহলে চলুন, টিপসগুলির সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ভাইরাসের হাত থেকে এভাবে হ্যান্ডসেটকে সুরক্ষিত রাখুন

১) কখনো কোনো অজানা সোর্স থেকে পাওয়া লিঙ্কে ভুলেও ক্লিক করবেন না। কারণ এর মধ্যে লুকিয়ে থাকে ক্ষতিকর ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার, যা আপনার ফোনে প্রবেশ করা মাত্রই সিস্টেমকে হ্যাক করে আর এর সুবাদে আপনার যাবতীয় ব্যক্তিগত ডিটেইলসের অ্যাক্সেস পেয়ে যায় হ্যাকাররা।

২) অজানা সোর্স থেকে পাওয়া লিঙ্কে ক্লিক করে কোনো ফাইল খবরদার ডাউনলোড করবেন না। কারণ এই ধরনের ফাইলগুলি ভাইরাস-লোডেড হয়, যা ডাউনলোড করার ফলে আপনার স্মার্টফোনটি হ্যাক হয়ে যেতে পারে। আর এর ফলটা যে কী হবে, তা নিশ্চয়ই আর নতুন করে বলে দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

৩) কখনো যদি এমন কোনো লিঙ্ক পান যেখানে আপনাকে কোনো মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হচ্ছে, তবে সেক্ষেত্রে সতর্ক হোন। কেননা এই ধরনের অ্যাপে লুকিয়ে থাকতে পারে ক্ষতিকারক ম্যালওয়্যার, যা হ্যাকারদের আপনার সিস্টেমের সম্পূর্ণ অ্যাক্সেস প্রদান করবে। ফলে নির্ভরযোগ্য সোর্স ছাড়া অন্য কোনো জায়গা থেকে কোনো অ্যাপ কখনোই ডাউনলোড করবেন না।

৪) পথেঘাটে চলতে চলতে যদি কোথাও ফ্রি ওয়াই-ফাইয়ের দেখা মেলে, তবে অধিকাংশ মানুষই যেন আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ হাতে পেয়ে গেছেন বলে মনে করেন। ফলে তৎক্ষণাৎ তারা তাদের ফোনকে সেই ওয়াই-ফাইয়ের সঙ্গে কানেক্ট করে নেন। কিন্তু জেনে রাখুন যে, এর ফলে কিন্তু আপনার ফোনে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। এতে আপনার ফোন তো ক্ষতিগ্রস্ত হবেই, তাছাড়া আপনার ফোনের সেন্সিটিভ ডেটা চলে যাবে হ্যাকারদের হাতে। তাই ফ্রি ওয়াই-ফাইয়ের ফাঁদে কখনোই পা দেবেন না।

৫) ম্যালওয়্যারের হাত থেকে ফোনকে রক্ষা করার জন্য আপনি আপনার ফোনে যে-কোনো ভালো রেটিংযুক্ত অ্যান্টি-ভাইরাস ইনস্টল করতে পারেন। চলতি সময়ে সাইবার জালিয়াতির কবল থেকে সুরক্ষিত থাকতে ফোনে অ্যান্টি-ভাইরাস বা অ্যান্টি-স্পাইওয়্যার সফ্টওয়্যার থাকা খুবই জরুরি। এই সফ্টওয়্যার আপনার ফোনে কোনো বিপজ্জনক ভাইরাস আছে কি না বা ডিভাইসের ভিতরে কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ চলছে কি না, তা পরীক্ষা করতে এবং সে সম্পর্কে আপনাকে সতর্ক করতে সক্ষম। ফলে ফোনে অ্যান্টি-ভাইরাস অ্যাপ ইনস্টল করা থাকলে হ্যাকিংয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই কমানো যাবে।