অত্যাধুনিক লেজার বিম (Laser beams) প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে এবার ক্রমবর্ধমান অন্তরীক্ষ্য-ব্যবসায় লগ্নি করতে চলেছে জাপানের টোকিও ভিত্তিক জনপ্রিয় সংস্থা সোনি (Sony)। সদ্য সংস্থার তরফ থেকেই উক্ত লগ্নির কথা জনসমক্ষে আনা হয়েছে। এজন্য তারা সম্পূর্ণ নতুন একটি কোম্পানি গড়ে তুলেছে বলেও সোনি দাবি করেছে। এর মাধ্যমেই সোনি স্পেস-সেক্টরে নিজস্ব প্রযুক্তি কায়েম করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে স্পেসএক্স (SpaceX) -এর মতো সংস্থার ঘুম কাড়তে পারে।
সোনি জানিয়েছে, সদ্য তারা যে কোম্পানি গড়ে তুলেছে সেখানে এমন ডিভাইস তৈরী হবে যার মাধ্যমে কক্ষপথস্থিত ক্ষুদ্রাকৃতি উপগ্রহগুলি (Satellites) সর্বোন্নত লেজার বিম প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবে। এভাবেই মহাকাশে উপস্থিত স্যাটেলাইট ও গ্রাউন্ড স্টেশনের মধ্যেও সংযোগ রক্ষিত হবে বলে সোনি দাবি করেছে।
নতুন ধরনের ডিভাইস তৈরীর কথা উল্লেখ করলেও তা ঠিক কবে নাগাদ বাজারজাত হবে, সে ব্যাপারে সোনি কোনও আশ্বাস দেয়নি। তাছাড়া এক্ষেত্রে তারা আজ পর্যন্ত কত টাকা বিনিয়োগ করেছে, তার উত্তরেও সংস্থা মুখে কুলুপ এঁটেছে।
অবগতির জন্য জানিয়ে রাখি, এই মুহূর্তে মহাকাশে, পৃথিবীর কক্ষপথে সর্বমোট ১২ হাজার স্যাটেলাইট রয়েছে। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা যে আরও বাড়বে তা বলা বাহুল্য। আসলে মহাকাশে বস্তু প্রেরণের খরচ অনেক পরিমাণে কমে যাওয়াতেই এমনটা ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এরই মধ্যে অ্যামাজন (Amazon) ও স্পেসএক্স জাতীয় সংস্থাগুলি বিশ্বের কোনায় কোনায় ইন্টারনেট সংযোগ ছড়িয়ে দিতে পৃথিবীর নিম্ন-কক্ষপথে ব্যাপকভাবে উপগ্রহ স্থাপন শুরু করেছে। এভাবে প্রতিনিয়ত কক্ষপথে ডেটা ব্যবহার বৃদ্ধি পেলেও আমাদের হাতে মজুত রেডিও ওয়েভের পরিমাণ নেহাতই সীমিত। সেক্ষেত্রে নয়া লেজার বিম প্রযুক্তি ভবিষ্যতে বড় ভরসার জায়গা হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, SpaceX ইতিমধ্যে নিজস্ব লেজার কমিউনিকেশন ডিভাইস প্রস্তুতিতে সাফল্য পেয়েছে। গতবছর স্টারলিংক (Starlink) স্যাটেলাইটের সাথে তারা উক্ত প্রযুক্তি লঞ্চ করে।