Tesla-র ব্যাটারির চেয়েও পাওয়ারফুল, এক চার্জে 1000 কিমি পার, চীনা সংস্থার উদ্ভাবন বদলে দিতে পারে বৈদ্যুতিক গাড়ির দুনিয়া

এবার বৈদ্যুতিক গাড়ির দুনিয়ায় যুগান্তর আসতে চলেছে। একবার সম্পূর্ণ চার্জে ব্যাটারি দেবে ১,০০০ কিলোমিটারের নিশ্চিন্ত রেঞ্জ। এমনই এক নজিরবিহীন প্রযুক্তির বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি সামনে আনলো…

এবার বৈদ্যুতিক গাড়ির দুনিয়ায় যুগান্তর আসতে চলেছে। একবার সম্পূর্ণ চার্জে ব্যাটারি দেবে ১,০০০ কিলোমিটারের নিশ্চিন্ত রেঞ্জ। এমনই এক নজিরবিহীন প্রযুক্তির বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি সামনে আনলো বিশ্বের বৃহত্তম ইভি ব্যাটারি নির্মাতা কনটেম্পোরারি অ্যামপিরেক্স টেকনোলজি লিমিটেড বা সিএটিএল (CATL)। চীনা সংস্থার নতুন ব্যাটারিটির নামকরণ করা হয়েছে কিলিন (Qilin)। তাদের দাবি টেসলা (Telsa)-র গাড়িতে ব্যবহৃত ব্যাটারি চাইতে এই কিলিন ১৩ শতাংশ বেশি শক্তিশালী। ঘটনাচক্রে, টেসলাকে এই চীনা সংস্থাই ব্যাটারির জোগান দেয়।

সিএটিএল বলেছে, ২০২৩ থেকে তারা এই বেশি ক্ষমতার নতুন কিলিন ব্যাটারির গণ উৎপাদন শুরু করবে। যার ক্ষমতা প্রতি কেজিতে ২৫৫ ওয়াট আওয়ার। এমনকি এই ব্যাটারিগুলি বর্তমানে বাজারচলতি সেলের চাইতেও দ্রুত চার্জ করা যাবে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। এছাড়া এগুলি অধিক সুরক্ষিত এবং দীর্ঘক্ষণ চার্জ ধরে রাখতে সক্ষম।

বেজিংয়ের সংস্থা সিনো অটো ইনসাইটসের আধিকারিক টু লে (Tu Le) রয়টার্সকে বলেন, “সিএটিএল-এর জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। শুধু দাম কম রাখলে এক্ষেত্রে বিশ্বস্ততা অর্জন করা কঠিন, আরও বেশি কিছুর প্রয়োজন। যা সিএটিএল-এর কিলিন ব্যাটারিতে রয়েছে।” প্রসঙ্গত, টেসলা-সহ সমগ্র বিশ্বের নামিদামি গাড়ি সংস্থা যেমন Volkswagen, BMW-কে বৈদ্যুতিক ব্যাটারি সরবরাহ করে সিএটিএল।

সূত্রের খবর, ভবিষ্যতের উন্নত ব্যাটারি প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য গবেষণা এবং উন্নয়ন বিভাগকে অর্থ দেওয়ার পরেও এ পর্যন্ত সিএটিএল ৪৫০ কোটি ইউয়ান (বা প্রায় ৫২,৪২৫ কোটি টাকা) অর্থ জোগাড় করতে পেরেছে। এদিকে বিশ্বের বৃহত্তম ব্যাটারি নির্মাতা হওয়া সত্ত্বেও ব্যবসায় মুনাফার মুখ দেখতে যথেষ্ট লড়াই করতে হচ্ছে। যার কারণ কাঁচামালের ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি সম্প্রতি চীনে কোভিড-১৯ অতিমারির থাবা।