160 সিসির নতুন Pulsar-এর লঞ্চ এ মাসেই না জুলাইয়ে? বড় ইঙ্গিত দিল Bajaj

বাইকে নিত্যনতুন আপডেট এনে গ্রাহকদের মাতিয়ে রাখতে বাজাজ (Bajaj)-এর জবাব নেই। তাও যদি হয় Pulsar ব্র্যান্ড, তবে তো কোনো কথাই নেই। হালে পালসারের বিভিন্ন মডেলের…

বাইকে নিত্যনতুন আপডেট এনে গ্রাহকদের মাতিয়ে রাখতে বাজাজ (Bajaj)-এর জবাব নেই। তাও যদি হয় Pulsar ব্র্যান্ড, তবে তো কোনো কথাই নেই। হালে পালসারের বিভিন্ন মডেলের উপর কাজ করছে সংস্থা। Pulsar N250 Eclipse Edition আনার খবর ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। এবারে জনপ্রিয় স্ট্রিট ফাইটার Bajaj Pulsar 160NS নয়া ভার্সনে আনতে চলেছে বাজাজ। ইতিমধ্যেই একাধিকবার টেস্টরান চলাকালীন ছবি ফাঁস হয়েছে এর। যা দেখে মনে করা হচ্ছে Pulsar N250 -র থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি হয়েছে এটি। নতুন অবতারটি Pulsar N160 অথবা 160N নামে নিয়ে হাজির হতে পারে বলে অনুমান।

উল্লেখ্য, ভারতের বাজারে Pulsar 160NS-এর প্রতিদ্বন্দ্বী মডেলগুলির মধ্যে রয়েছে TVS Apache RTR 160, Yamaha FZS-FI ও Hero Xtreme 160R। লঞ্চের আগে নতুন পালসারের সম্মুখের ঝলক দেখানো হয়েছে টিজারে। যা দেখে অনুমান করা হচ্ছে আসন্ন মডেলটি অন্য কোনোটি নয়, বরং Pulsar 160N। এদিকে গত সপ্তাহে Pulsar N250 Eclipse Edition-এর টিজারও প্রকাশ করা হয়েছিল।

2022 Pulsar 160N গুরুত্বপূর্ণ আপডেট

স্পাই ছবিতে নতুন 160N-এর বেশকিছু আপডেট ধরা পড়েছে। এতে নতুন কেসিং ও কম্প্যাক্ট প্রোজেক্টর হেডল্যাম্পের দেখা মিলেছে। যা N250 থেকে ধার করা। অন্য পরিবর্তনের মধ্যে নতুন মডেলের ফুয়েল ট্যাঙ্কটি আগের তুলনায় বৃহত্তর। পিছনের অংশটি আগের মতই দেখতে লাগলেও নতুন ডিজাইনের টেললাইট দেওয়া হয়েছে। পেশীবহুল আগ্রাসী স্টাইলিংয়ের জন্য পরিচিত বাইকটির ডিজাইনে আরও কিছু আপডেট দেওয়া হতে পারে।

নতুন প্রজন্মের Pulsar 160N-এ দেখা মিলতে পারে একটি আপডেটেড ফুল ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল। অন্যান্য পরিবর্তনগুলি লঞ্চের সময়ই সামনে আসবে। এছাড়া নতুন রঙের বিকল্পে আসতে পারে বাইকটি। বর্তমান মডেলটি মেটালিক পার্ল হোয়াইট, বার্ন্ট রেড ও পিউটার গ্রে রঙে উপলব্ধ।

2022 Pulsar 160N ইঞ্জিন ও সম্ভাব্য দাম

আসন্ন Pulsar 160N আগের মতোই ১৬০.৩ সিসি অয়েল কুল্ড, ট্যুইন স্পার্ক BS6 DTS-i FI ইঞ্জিন সহ আসবে। যা থেকে ৯,০০০ আরপিএম গতিতে ১৭.২ পিএস শক্তি এবং ৭,২৫০ আরপিএম গতিতে ১৪.৬ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। এতে থাকছে ৫-স্পিড গিয়ার বক্স। অন্যান্য হার্ডওয়্যারের মধ্যে তেমন কোনো পরিবর্তন দেওয়া হবে না বলেই অনুমান। বর্তমান মডেলে অ্যান্টি ফ্রিকশন ব্রাশ যুক্ত টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট ফর্ক এবং রিয়ারে ক্যানিস্টার সহ নাইট্রক্স মোনোশক অ্যাবসর্বার আছে।

ব্রেকিং সিস্টেম এর জন্য উপস্থিত ২৬০ মিমি ফ্রন্ট এবং ২৩০ মিমি রিয়ার ডিস্ক। স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস সহ অফার করা হয়। Pulsar 160NS-এর ওজন ১৫১ কেজি ও গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৭৭ মিমি। ১২ লিটার ফুয়েল ট্যাঙ্ক। এর দাম ১.২২ লাখ টাকা (এক্স-শোরুম, দিল্লি)। নতুন Pulsar 160N-এর মূল্য এর চাইতে সামান্য বেশি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।