Pulsar-এর Electric ভার্সন নিয়ে জল্পনা জিইয়ে রাখল Bajaj, পেট্রল ও বৈদ্যুতিক বাইকের মধ্যে ভারসাম্য রাখার বার্তা

ভারতের প্রথম সারির টু-হুইলার ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে একটি হল বাজাজ (Bajaj)। দেশে তো বটেই এমনকি বিদেশের বাজারেও সংস্থাটি যথেষ্ট সুখ্যাতি অর্জন করেছে। দু’চাকার পাশাপাশি বর্তমানে তারা…

ভারতের প্রথম সারির টু-হুইলার ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে একটি হল বাজাজ (Bajaj)। দেশে তো বটেই এমনকি বিদেশের বাজারেও সংস্থাটি যথেষ্ট সুখ্যাতি অর্জন করেছে। দু’চাকার পাশাপাশি বর্তমানে তারা বিশ্বের প্রায় ৭০টি দেশে তিন চাকার গাড়ি রপ্তানি করে। এদিকে বর্তমানে সংস্থার পোর্টফোলিও রয়েছে কেবল একটি মাত্র বৈদ্যুতিক স্কুটার -বাজাজ চেতক (Bajaj Chetak)। জ্বালানি তেল চালিত মডেলের পাশাপাশি ব্যাটারিচালিত যানবাহনের প্রতি চাহিদা আধিক্য দেখে, সেদিকে আরও বেশি জোর দিতে চাইছে তারা। শোনা যাচ্ছে চেতকের পর এবার সংস্থাটি তাদের অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ড পালসার (Pulsar) বৈদ্যুতিক ভার্সনে আনার চিন্তাভাবনা করছে।

সম্প্রতি, পুণের আকুর্দিতে বাজাজ তাদের চেতক টেকনোলজি লিমিটেডের নতুন কারখানার উদ্বোধন করেছে। যেখানে কেবলমাত্র বৈদ্যুতিক যানের উৎপাদন হবে বলে নিশ্চিত করেছে বাজাজ। যা ব্যাটারি চালিত যানবাহনের প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়াকেই ইঙ্গিত করে। তবে এখনই তারা সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে নারাজ।

এই বিষয়ে বাজাজের কার্যনির্বাহী আধিকারিক রাকেশ শর্মা বলেন, এর কারণ আইসি ইঞ্জিন গাড়ির তুলনায় ব্যাটারি চালিত যানবাহনে এখনও ততটা গতি আসেনি। তাই আপাতত দু’ধরনের জ্বালানির গাড়িতে সাম্যবস্থা বজায় রেখে এগোতে চাইছে বাজাজ। পালসার ছাড়া বাজাজের অধীনস্থ সংস্থা KTM ও Husqvarna-র বাইক ব্যাটারি চালিত সংস্করণে লঞ্চ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে। দেশে এবং বিদেশে পালসারের জনপ্রিয়তা যতটা রয়েছে, সেদিক বিবেচনা করে যদি এটি বৈদ্যুতিক ভার্সনে আনা হয়, তবে সেটি একটি উজ্জ্বল সংযোজন হবে বলেই আশা করা যায়।

অন্য দিকে, Chetak EV-র বিদেশে রপ্তানি নিয়েও ভাবনা চিন্তা করছে বাজাজ অটো। কারণ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে বৈদ্যুতিক টু-হুইলারের আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে চাইছে সংস্থা। এর মধ্যে রয়েছে ভিয়েতনাম, যেখানে স্কুটারের ৯০ শতাংশের বেশি মার্কেট শেয়ার রয়েছে। বাজাজ বিশ্বাস করে, বাজার থেকে খুব শীঘ্রই জ্বালানি চালিত যানবাহনের চাহিদা কমবে না। হয়তো ২০৩০-এর মধ্যে ৫০% বাইক ব্যাটারি চালিত ভার্সনে আনা হবে। কিন্তু বাকি ৫০% তখনও প্রথাগত জ্বালানির থাকবে।