জাপানি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতে চিপ তৈরির ঘোষণা করল Tata, কমবে বিদেশের উপর নির্ভরতা

সমগ্র ভারতবর্ষ তথা বিশ্ব সেমিকন্ডাক্টর চিপের অপ্রতুলতা নিয়ে জেরবার। বিশ্ব জুড়ে চলা অতিমারি এবং রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের প্রভাবে এই চিপ তৈরির কাঁচামালের যথেষ্ট…

সমগ্র ভারতবর্ষ তথা বিশ্ব সেমিকন্ডাক্টর চিপের অপ্রতুলতা নিয়ে জেরবার। বিশ্ব জুড়ে চলা অতিমারি এবং রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের প্রভাবে এই চিপ তৈরির কাঁচামালের যথেষ্ট সংকট দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো যে আমেরিকা, জার্মানি, চীন ইত্যাদি দেশের মতো জায়গায় বহু কোম্পানি সাময়িকভাবে তাদের উৎপাদন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। এই সংকট থেকে মুক্তির পথ খুঁজছে সবাই। এবার এ দেশেই সেমিকনডাক্টর চিপের নকশা, বিকাশ এবং উৎপাদনের লক্ষ্য ভারতের শীর্ষস্থানীয় গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা Tata Motors এবং জাপানের Renesas Electronics Corporation গাঁটছড়া বাঁধার ঘোষণা করল।

পরবর্তী প্রজন্মের বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করার ক্ষেত্রে এবং তার উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করার জন্য টাটা মোটরসকে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে Renesas। টাটা সন্সের চেয়ারম্যান নটরাজন চন্দ্রশেখরনের কথায়, “এই পার্টনারশিপের ফলে আমরা এই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ভারতে এবং বিশ্বে নিজেদের অবস্থানকে মজবুত করতে পারব”। জাপানের এই সংস্থার সহযোগিতায় অত্যাধুনিক ড্রাইভার অ্যাসিস্ট্যান্স সিস্টেম, 5G, ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক সিস্টেম-সহ নতুন প্রজন্মের অটোমোটিভ ইলেকট্রনিক্স বিকাশ করা করা সম্ভব হবে‌।

Renesas জানিয়েছে যে, তারা টাটা গোষ্ঠীর শাখা তেজস নেটওয়ার্কের সাথে কাজ করে প্রথমে ভারত ও তারপর সারা বিশ্বের জন্য পণ্য তৈরি করবে‌। উল্লেখ্য, সেমিকনডাক্টর চিপের জন্য মূলত চিন ও তাইওয়ানের  উপর নির্ভর করে ভারত-সহ বিভিন্ন দেশে। অতিমারিতে সেই জোগানে চিড় ধরার কারণে ভারতকেই গ্লোবাল সেমিকন্ডাক্টর হাবে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়েছে মোদি সরকার‌। ইতিমধ্যেই এই ক্ষেত্রে উৎপাদন ভিত্তিক উৎসাহ প্রকল্প (পিএলআই) ঘোষণা করা হয়েছে৷ এই প্রকল্পের আওতায় নির্মাতাদের ১০ বিলিয়ন কোটি টাকার আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দেবে কেন্দ্র।

বেদান্ত-ফক্সকনের জয়েন্ট ভেঞ্চার-সহ আরও কয়েকটি সংস্থা সেমিকনডাক্টর এবং ডিসপ্লে তৈরির কারখানা গড়তে আগ্রহী। জানা গিয়েছে, ইজ়রায়েল, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন সংস্থার দেশে সেমিকনডাক্টর ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে লগ্নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ভারত সরকারের আশা, ২০২৬-এর মধ্যে দেশীয় চিপ শিল্প ৬৩ বিলিয়ন ডলারে পরিণত হবে।