Honda বাইক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি রুখতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে

নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবকের নামই হলো হোন্ডা (Honda)। চারচাকা কিংবা দুইচাকা সবেতেই অভিনবত্বের ছোঁয়া জাপানের এই সংস্থার। সাম্প্রতিককালে আধুনিক প্রযুক্তির যুগের গাড়ি যদি অ্যাডভান্স টেকনোলজির আশীর্বাদ…

নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবকের নামই হলো হোন্ডা (Honda)। চারচাকা কিংবা দুইচাকা সবেতেই অভিনবত্বের ছোঁয়া জাপানের এই সংস্থার। সাম্প্রতিককালে আধুনিক প্রযুক্তির যুগের গাড়ি যদি অ্যাডভান্স টেকনোলজির আশীর্বাদ পায় তবে তা থেকে বাইক কেন বঞ্চিত হবে? এই ভাবনাই উদ্বেলিত করেছে হোন্ডার টেকনিক্যাল টিমকে। আর তা থেকেই জন্ম নিতে চলেছে রাডার অ্যাডাপ্টিভ ক্রুজ কন্ট্রোলযুক্ত মোটরবাইক।

Honda বেশ কয়েক বছর আগেই Gold Wing বাজারে এনে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল গোটা দুনিয়াকে। বদলে গিয়েছিল মোটরবাইকের সংজ্ঞা। এর অত্যাধুনিক ড্যাশবোর্ড মনে করে দিয়েছিল বিলাসবহুল সমস্ত গাড়ির কেবিনের কথা। এবার সেই Gold Wing-এর ডানায় ভর করে এবার আসতে চলেছে হোন্ডার অ্যাডভান্সড রাইডার আসিস্ট সিস্টেম (ARAS), যা মোটরসাইকেলের সেন্সর, ক্যামেরা, র‍্যাডার ইত্যাদিকে খুব সুচারু ভাবে নিয়ন্ত্রিত করে অন্য মাত্রায় রাইডিং অভিজ্ঞতাকে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই সংস্থার তরফে এই সংক্রান্ত বেশ কিছু পেটেন্ট ফাইল করা হয়েছে।

এই অ্যাডভান্সড ফিচার্সের হাইলাইটেড অংশের ব্যাপারে বলতে গেলে, এতে রয়েছে চার চাকার মতো অ্যাডাপ্টিভ ক্রুজ কন্ট্রোল ও ব্লাইন্ড স্পট ডিটেকশন। এই সিস্টেমের ফলে বাইকের স্টেবিলিটি এবং ব্যালেন্স অনেকটাই উন্নত হবে যার ফলে এটি অনিচ্ছাকৃতভাবে বাইক থেকে পড়ে যাওয়া রোধ করবে। আর এই সমস্ত কিছুই রাডার দ্বারা পরিচালিত হবে। আসলে তাদের বাইক দুর্ঘটনায় আহত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে সুরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করার লক্ষ্য নিয়েছে হোন্ডা। আর সেই লক্ষ্যপূরণেই এই পদক্ষেপ।

হোন্ডার তাদের গাড়িতে ব্যবহৃত সেন্সিং ৩৬০ সেফ এন্ড সাউন্ড প্রযুক্তিও বাইকে প্রয়োগের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। যদিও দু’চাকায় এরকম হাই-এন্ড প্রযুক্তি কতটা সফল ভাবে ব্যবহার করা যাবে, তা নিয়ে সংশয় তো রইয়েছে। তবে হোন্ডা তাদের নথিভুক্ত করা পেটেন্ট অনুমোদন পেলেই গ্রাহকদের সুরক্ষা বিষয়ক এই কর্মকাণ্ড শুরু করে দেবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে।