রাস্তায় আর ডিজেল অটো চলবে না, নিষেধাজ্ঞার মুখে BS 4 গাড়িও, বায়ু দূষণ কমাতে কড়া হচ্ছে দিল্লি

এ কথা সকলেরই জানা দেশের মধ্যে রাজধানী দিল্লিতে বায়ু দূষণ বরাবরই মাত্রাতিরিক্ত। যার জন্য বিগত ক’বছর ধরে যারপরনাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কেজরিওয়াল প্রশাসন। ইতিমধ্যেই মসনদে…

এ কথা সকলেরই জানা দেশের মধ্যে রাজধানী দিল্লিতে বায়ু দূষণ বরাবরই মাত্রাতিরিক্ত। যার জন্য বিগত ক’বছর ধরে যারপরনাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কেজরিওয়াল প্রশাসন। ইতিমধ্যেই মসনদে ১০ বছরের পুরনো ডিজেল ও ১৫ বছরের পুরনো সমস্ত পেট্রোল গাড়ি স্ক্র্যাপিংয়ের নির্দেশ জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়াতে ইভি নীতির সংশোধন করা হয়েছে। সম্প্রতি ইলেকট্রিক বাইসাইকেলকে আর্থিক ছাড়ের আওতায় নিয়ে এসেছে দিল্লি সরকার। একের পর এক নতুন উপায় নিয়ে হাজির হচ্ছে রাজ্য সরকার। এবারে দিল্লি এনসিআর-এ ডিজেল চালিত অটোরিকশার জীবৎকালে পড়তে চলেছে কোপ। ২০২৬-এর পর ইতিহাসের পাতায় নাম উঠতে চলেছে দিল্লির সমস্ত ডিজেল অটোরিকশার।

কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (CAQM)-এর নয়া বায়ু দূষণ নীতিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ২০২৬-এর পর দিল্লির রাস্তায় আর কোনো ডিজেলের অটোরিকশা চালানো যাবে না। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমাতে এটি একটি পদক্ষেপ। নতুন বায়ু দূষণ নীতি অনুযায়ী, ২০২৪-এর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদ, গৌতম বুদ্ধ নগর, এবং গাজিয়াবাদ থেকে ডিজেল চালিত অটোরিকশা নিষিদ্ধ করা হবে। বাকি জেলাগুলিতে ২০২৬-এর মধ্যে এই নয়া নীতি বলবৎ হবে।

কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্টের নীতিতে বলা হয়েছে, ১ জানুয়ারি, ২০২৩ থেকে দিল্লি এনসিআর-এ শুধুমাত্র কমপ্রেস্ড ন্যাচারাল গ্যাস অর্থাৎ সিএনজি (CNG) এবং ইলেকট্রিক অটো নথিভুক্ত করা যাবে। দিল্লি এবং সমগ্র এনসিআর চত্বর জুড়ে সিএনজি এবং লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস বা এলএনজি জ্বালানির নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। দিল্লির সমস্ত জাতীয় সড়কে দূরবর্তী যাত্রার ট্রাক এবং বাণিজ্যিক গাড়িগুলিকেও গ্যাসে চালানোর নির্দেশ দেওয়া হবে।

অন্য দিকে, এই নতুন নীতি অনুযায়ী জরুরী পরিষেবা বাদে ডিজেল চালিত BS-4 গাড়িকেও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।  যদিও বিভিন্ন আবাসিক কল্যাণ সমিতি এই পদক্ষেপকে অপ্রয়োজনীয় বলে বিরোধিতা করেছে, কিন্তু এই নির্দেশের কোনো নড়চড় হবে না বলে পরিষ্কার জানিয়েছে প্রশাসন। স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য এবং ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রামের অধ্যাপক এসএন ত্রিপাঠি এই নীতিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “গ্রাম ও মফস্বলের বায়ু দূষণ কমাতে এই নতুন নীতি কর্তৃপক্ষকে বিশেষভাবে সহায়তা করবে।”

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন