Royal Enfied অধিক শক্তিশালী Himalayan 450 সামনের বছর লঞ্চ করবে, ডিজাইন থেকে ইঞ্জিন, যে পাঁচ বিষয় জেনে রাখবেন

ভারতের টু-হুইলার মার্কেট যখন একের পর এক গরমাগরম নতুন মডেলের তাপে তপ্ত, তখন এদেশের রেট্রো-মেকার রয়্যাল এনফিল্ড ব্যস্ত তার আগামী দিনের ঘুঁটি সাজাতে। অদূর ভবিষ্যতের…

ভারতের টু-হুইলার মার্কেট যখন একের পর এক গরমাগরম নতুন মডেলের তাপে তপ্ত, তখন এদেশের রেট্রো-মেকার রয়্যাল এনফিল্ড ব্যস্ত তার আগামী দিনের ঘুঁটি সাজাতে। অদূর ভবিষ্যতের কথা ভেবে বেশ কিছু মোটরসাইকেল নিয়ে কাজ করছে চেন্নাইয়ের এই নির্মাতা। তার মধ্যে অন্যতম হলো অ্যাডভেঞ্চার সেগমেন্টের Himalayan 450। সম্প্রতি ভারতের রাস্তায় চালিয়ে পরীক্ষা করার সময় এর দর্শন মিলেছে। প্রযুক্তিগত ও আরামদায়ক পারফরমেন্সের দিক দিয়ে পুরনো সংস্করণের থেকে নতুন সংস্করণের পাল্লা ভারী। Royal Enfield Himalayan 450 নিয়ে পাঁচটি বিষয় তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে।

১. ডিজাইনের পরিবর্তন

নতুন রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ান ৪৫০ আগের মতোই রেট্রো লুকের হলেও তা এবার অনেক বেশি শার্প ডিজাইন নিয়ে অবতীর্ণ হচ্ছে। তবে এবার চওড়ায় খানিকটা কম বলে মনে হবে। সামনের অংশটি একটু অন্যরকম ভাবে করা হয়েছে এবং উইন্ডশিল্ডটি আকারে ছোট। এর পাশাপাশি পিছনের অংশটি বেশ সূচালো এবং নতুন ধরনের ক্যারিয়ার যুক্ত। ফ্রেম ও ফুয়েল ট্যাংকের ডিজাইন সম্পূর্ণ নতুনভাবে করা হয়েছে। সাথে রয়েছে স্প্লিট সিট। রাইডিং পজিশন আগের থেকে অনেক বেশি আরামদায়ক ও ট্যুর করার উপযুক্ত।

২. আলাদা সাসপেনশন সেটআপ

সবচেয়ে বড় ব্যাপার এই নতুন হিমালয়ানে এবার সামনে কার্যকরী ইউএসডি ফার্ক ও পিছনে ডুয়েল শক অ্যাবজর্ভার দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অন্য আরেকটি বড় পরিবর্তন হলো হাফ ডুপ্লেক্স স্প্লিট ক্রেডেল ফ্রেমের পরিবর্তে নতুন ট্রেলিস ফ্রেম এবার ব্যবহার করা হয়েছে। সামনে ও পিছনের স্পোক যুক্ত চাকার ব্যাস যথাক্রমে ২১ ইঞ্চি ও ১৭ ইঞ্চি।

৩. যন্ত্রাংশ ও বৈশিষ্ট্য

নতুন হিমালয়ান ৪৫০ এ এলইডি ইন্ডিকেটর ও নতুন সেমি-ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোলের ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও আমরা এতে এক ধরনের নতুন রিয়ার ভিউ মিররের দেখা পাব। অ্যাডজাস্টেবল ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সহ উভয় চাকাতেই ডিস্ক ব্রেক দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও একটি সুখবর নতুন মডেলটিতে স্পোক যুক্ত চাকা দেওয়া হলেও এর টায়ার আসলে টিউবহীন।

৪. ইঞ্জিন

রয়্যাল এনফিল্ডের আগত অ্যাডভেঞ্চার সিরিজের এই বাইকটিতে চালিকাশক্তি যোগাতে নতুন সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে। এই ইঞ্জিন সর্বোচ্চ ৪০ পিএস শক্তি ও ৪০ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। ট্রান্সমিশনের জন্য ছয় স্পিড যুক্ত গিয়ার বক্স দেওয়ায় লং রাইডে অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে।

৫. লঞ্চের সময়কাল

রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ান ৪৫০ মডেলটি আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় ভারতীয় বাজারে দেখা যেতে পারে। এর সম্ভাব্য এক্স শোরুম মূল্য হতে পারে ৩ লাখ টাকা। এই দামে হিমালয়ানের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হবে KTM 390 Adventure ও BMW G 310GS।