160 সিসির নতুন পালসার লঞ্চ হওয়ার ফলে পুরনো Pulsar NS160 এর বিক্রি কি বন্ধ হবে? বহু চর্চিত প্রশ্নের উত্তর দিল Bajaj

দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে ভারতের আনাচে-কানাচে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পালসার সিরিজের বাইকগুলি। মাঝে বেশ কয়েক বছর ধরে দেখা মিলছিল না কোনো আপডেটের। একই পালসার মডেলের পুনরাবৃত্তি…

দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে ভারতের আনাচে-কানাচে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পালসার সিরিজের বাইকগুলি। মাঝে বেশ কয়েক বছর ধরে দেখা মিলছিল না কোনো আপডেটের। একই পালসার মডেলের পুনরাবৃত্তি দেখতে দেখতে হাঁফিয়ে উঠেছিল পালসার-প্রেমিরা। অবশেষে গত বছরের অক্টোবরে পদার্পণ করেছে নবপ্রজন্মের Pulsar F250 ও N250। এমনকি গত মাসে লঞ্চ হয়েছে নতুন Pulsar N160।

আমরা প্রত্যেকেই দেখেছি Pulsar N250 ও F250 এর আবির্ভাবের প্রায় কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে বাজাজ বিদায় জানায় তাদের অন্যতম জনপ্রিয় পালসার 220F-কে। সত্যি কথা বলতে এর মত আরামদায়ক পারফরম্যান্স ও শক্তিশালী ইঞ্জিন যুক্ত মোটরসাইকেল খুব কমই দেখা গিয়েছে। তাই এই মডেলটির বিদায়ে যথেষ্ট হতাশ পালসারপ্রেমীদের একাংশ। পাশাপাশি এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কয়েক বছরের পুরনো পালসার NS160 কী এবার তাহলে অবসর নেবে?

তবে এক্ষেত্রে সবাইকে আশ্বস্ত করে বাজাজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে “এই মুহূর্তে” NS160 মডেলটির বিক্রি ভারতের বাজারে চালু থাকবে। ভারতে যথেষ্ট চাহিদা থাকায় সংস্থা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা। তার উপর বাইকটির রপ্তানিও বাইরে প্রচুর পরিমাণে হচ্ছে। পালসারকে নিয়ে ভারতবাসীর আবেগ উন্মাদনাকে সম্মান জানাতেই তাদের এমন সিদ্ধান্ত। এছাড়াও NS160 দেখতে এখনও বেশ স্টাইলিশ আবেদনসম্পন্ন। আজও এর পারফরম্যান্স ও লুকস যুবসমাজকে যথেষ্ট ভাবে আকর্ষিত করতে সক্ষম।

তবে অদূর ভবিষ্যতে এই মডেলটির অবস্থাও যে Pulsar 220F এর মত হবে তা আন্দাজ করা যায়। পূর্বে এক সাক্ষাৎকারে বাজাজ স্বীকার করে নিয়েছে যে তাদের নতুন প্রজন্মের পালসার আনতে প্রায় তিন বছর দেরি হয়ে গেছে। প্রসঙ্গত, নতুন N160-এর ডিজাইন N250 এর থেকে অনুপ্রাণিত। পর্যালোচকরা ইতিমধ্যেই প্রশংসা করেছেন ১৬০ সিসির ওই নতুন পালসারকে।

ডুয়েল চ্যানেল ও সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস অপশনে উপলব্ধ নতুন Bajaj Pulsar N160। এই সেগমেন্টে একমাত্র এই বাইকে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস বর্তমান। পেরিমিটার ফ্রেমের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে মডেলটি। দাম ১,২২,৮৫৪ টাকা থেকে শুরু (এক্স শোরুম)। এলইডি প্রজেক্টর হেডলাইট, ইউএসবি চার্জিং পোর্ট, সেমি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, গিয়ার পজিশন ইন্ডিকেটর-সহ নানা আধুনিক ফিচার উপলব্ধ এতে। বাজারে ব্রুকলিন ব্ল্যাক, ক্যারিবিয়ান ব্লু, রেসিং রেড ও টেকনো গ্রে কালার অপশনে পাওয়া যাচ্ছে।