Smartphone Health Tips: ফোন বারবার বেজে উঠছে গুচ্ছের নোটিফিকেশনের শব্দে? সমস্যা এড়ান এই ৩টি উপায়ে

আজকাল স্মার্টফোন ছাড়া আমাদের সকলেরই দিন গুজরান করা শুধু মুশকিল নয়, নামুমকিনও বটে! শুধু ফোন কল করা নয়, বরঞ্চ যতক্ষণ না ঘুমানো হয় ততক্ষণ অবধি…

আজকাল স্মার্টফোন ছাড়া আমাদের সকলেরই দিন গুজরান করা শুধু মুশকিল নয়, নামুমকিনও বটে! শুধু ফোন কল করা নয়, বরঞ্চ যতক্ষণ না ঘুমানো হয় ততক্ষণ অবধি একটা বড় সময় জুড়ে থাকে এই ডিভাইসটিতে চ্যাটিং, নেট সার্ফিং, গান শোনা, সিনেমা-শো দেখা বা নানাবিধ কাজ করার মত লম্বা ফিরিস্তি! কিন্তু এত ব্যবহারের ফলে অনেক সময়ই যে আমাদের এই সর্বক্ষণের সাথীটি বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, সে বিষয়টিও অস্বীকার করার নয়। যেমন রাতে ঘুমানোর সময় ফোনে হঠাৎ আসা নোটিফিকেশনের শব্দ আমাদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়, আবার ফোনে কোনো কাজ করার ক্ষেত্রে বা সময় কাটানোর সময় ঘনঘন নোটিফিকেশন এলে তাতেও মুড খারাপ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে ফোনের নোটিফিকেশন থেকে পিছু ছাড়াতে কী কোনো উপায় নেই? অবশ্যই আছে, তাও আবার একটি নয় তিন-তিনটি উপায়। এখন অনেকে বলবেন ফোন সাইলেন্ট করে রাখলেই তো কাজ মিটে যায়, এর জন্য আবার আলাদা উপায়ের কী দরকার! সেক্ষেত্রে বলি, আমাদের আজকের বলা তিনটি উপায় ফোন সাইলেন্ট না করলেও আপনাকে সহজে নোটিফিকেশন থেকে মুক্তি দেবে।

স্মার্টফোনের নোটিফিকেশন এড়াতে অনুসরণ করুন এই তিনটি উপায়

১. অ্যাপ সেটিং পরিবর্তন করুন: স্মার্টফোন মানেই গন্ডায় গন্ডায় অ্যাপ্লিকেশন, আর যত অ্যাপ্লিকেশন তত বেশি নোটিফিকেশন। সেক্ষেত্রে কোন অ্যাপগুলি খুব বেশি এবং অযাচিত নোটিফিকেশনের কারণ, তা চেক করুন৷ এরপর ফোন সাইলেন্ট করার বদলে শুধুমাত্র সেই অ্যাপগুলির নোটিফিকেশন অফ করে দিন। এতে ঝামেলা থেকে অনেকটাই রেহাই পাবেন।

২. বন্ধ রাখুন ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি: বিশ্রাম নেওয়ার সময়, ঘুমানোর সময় বা ফোনে অফলাইনে কিছু করার সময় ইন্টারনেট বন্ধ রাখুন। ইন্টারনেটের প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও কানেক্টিভিটি অন থাকলে ডেটা বা ব্যাটারি লাইফ তো বেশি খরচ হবেই, তার সাথে ইন্টারনেট অ্যাক্সেসকারী বিভিন্ন অ্যাপ বা ওয়েবসাইট থেকে নোটিফিকেশন আসতেই থাকবে।

৩. ডু নট ডিস্টার্ব মোড ব্যবহার করুন: বর্তমান সময়ে আইওএস (iOS) এবং অ্যান্ড্রয়েড – উভয় ধরণের অপারেটিং সিস্টেম চালিত ফোনেই ডু নট ডিস্টার্ব (Do Not Disturb) বা ‘DND’ মোড থাকে। এটি মূলত ফোনের সমস্ত ইনকামিং নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখে। তবে এই মোড বা অপশনের বিশেষত্ব হল এর কাস্টমাইজেশন। ইউজাররা এটিকে ‘টাইম সিডিউল’-এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। আবার এতে ফোন কলের রিংটোন অন, স্লিপ মোড ইত্যাদি অপশন পাওয়া যাবে। আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের সেটিংস অ্যাপে এই মোডটি উপলব্ধ থাকে।