শো-রুমে না গিয়ে এবার ঘরে বসেই Hero Electric এর ই-স্কুটার কেনার সুবিধা

Published on:

hero-electric-to-accept-bookings-online-deliver-scooters-through-showrooms

ভারতের অসংখ্য নাগরিক পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠছে। যার প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেশে বৈদ্যুতিক যানবাহনের বিক্রি বৃদ্ধি। একই সাথে পেট্রোল-ডিজেলের ঝাঁঝালো দামের কারণে প্রথাগত জ্বালানির যানবাহনের থেকে মুখ ফিরিয়েছেন বহু মানুষ। যার সুফল ভোগ করছে ব্যাটারি চালিত গাড়ি নির্মাতারা। গ্রাহকদের পণ্যের চাহিদা পূরণ করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। ঠিক তেমনই দেশের একটি প্রসিদ্ধ বৈদ্যুতিক স্কুটার তৈরির সংস্থা হিরো ইলেকট্রিক (Hero Electric)। বর্তমানে এদের শোরুম ভারতের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে থাকলেও ইলেকট্রিক স্কুটারের চাহিদার সাথে সরবরাহ পাল্লা দিতে ব্যর্থ। তাই বিকল্প পথ হিসেবে হিরো এদেশে তাদের হাইব্রিড সেলস চ্যানেল লঞ্চের ঘোষণা করল। অর্থাৎ এবার থেকে গ্রাহকরা অনলাইনেই স্কুটার বুক করতে পারবেন।

গ্রাহকদের থেকে অনলাইন মারফত স্কুটারের অর্ডার পাওয়ার পর, সেগুলি সংস্থার শোরুম থেকে দেশের  ডেলিভারি দেওয়া হবে। অবগতির জন্য জানিয়ে রাখি, এই হাইব্রিড ব্যবস্থা হিরোর কাছে নতুন নয়, এর আগেও কোভিডের প্রকোপ চলাকালীন সংস্থাটি সংশ্লিষ্ট শোরুম চালু করেছিল। লকডাউন চলাকালীন গ্রাহকরা বাড়িতে বসেই যাতে এক তুড়িতে স্কুটার কিনতে পারেন, তাই এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে কিছু কারণে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

হিরো ইলেকট্রিকের সিইও সোহিন্দর গিল বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনে, তাদের অনুভূতি বুঝতে এবং কেনার আগে স্কুটার চালিয়ে দেখাতে। কিন্তু ক্রেতারা এবার অনলাইনে বাইক কিনতে আত্মবিশ্বাসী। ব্র্যান্ডের প্রতি ভরসা এবং তাদের চেনা পরিচিতদের থেকে স্কুটারের সম্পর্কে নিশ্চিত বার্তা পেয়ে তারা অনলাইনে এটি কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।”

সংস্থাটি বলেছে, “সেই সব গ্রাহক অনলাইনে স্কুটার কিনে তাঁদের সুবিধা মতো ডেলিভারি নেবে। এমনকি তাঁরা চাইলে সরাসরি শোরুম থেকে কিনে হোম ডেলিভারির সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। নেতৃত্বকারী সংস্থা হিসেবে আমরা সব সময় চেষ্টা করি গ্রাহকদের স্কুটার কেনার সেরা অভিজ্ঞতা দিতে।” প্রসঙ্গত, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে হিরো ইলেকট্রিক ১,০০,০০০ স্কুটার বিক্রির মাইলস্টোন স্পর্শ করেছিল। সম্প্রতি লুধিয়ানাতে সংস্থাটি তাদের নতুন কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে যাতে বার্ষিক দশ লক্ষ স্কুটার উৎপাদন করা যায়, সেই লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ।

সঙ্গে থাকুন ➥