সময়ের থেকেও দ্রুত বেগে এগিয়ে চলেছে প্রযুক্তি। যার উপর ভর করে মানব সভ্যতার নিত্য নবজাগরণ ঘটছে। ইদানিং যানবাহনের দুনিয়ায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মধ্যে অন্যতম সেল্ফ ড্রাইভিং অথবা স্বয়ং চালিত গাড়ি। যাকে ঘিরে বিশ্ববাসীর কৌতূহলের অন্ত নেই। কেমন হবে এটি? রাস্তায় একজন চালক যেভাবে গাড়ি চালান, একটি স্বয়ংক্রিয় গাড়িও কি ততটাই সংবেদনশীলতার সাথে চলতে সক্ষম হবে? অটোনোমাস গাড়িকে ঘিরে এই জাতীয় প্রশ্ন সাধারণের মস্তিষ্কে ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে এই স্বয়ংক্রিয় গাড়ির বিষয়ে সম্প্রতি মার্কিন উপদেষ্টা সংস্থা ম্যাকিনসে অ্যান্ড কোম্পানি (McKinsey & Company)-র প্রকাশিত রিপোর্টে বিস্ময়কর তথ্য উঠে এসেছে।
তাতে বলা হয়েছে, নির্মাতারা তাদের স্বয়ংক্রিয় গাড়ি মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা এবং পণ্যের মাধ্যমে প্রতি বছর কোটি কোটি ডলার আয় করতে সক্ষম। স্বভাবতই যেই প্রশ্নটি উঠে আসে, তা হল এটি কীভাবে সম্ভব? এই প্রসঙ্গে ম্যাকিনসের যুক্তি, কোন যাত্রী সংশ্লিষ্ট গাড়িতে উঠে যদি অতি সামান্যতম সময়ও ইন্টারনেটে খরচ করেন, তবেই কেল্লাফতে। এতেই নাকি মুনাফার পাহাড় জমবে। সংস্থাটি এও দাবি করেছে, স্বয়ংচালিত গাড়ির ব্যবহার বাড়লে, আমেরিকার রাস্তায় ৯০% পথ দুর্ঘটনা কমে যাবে। এর ফলে আহত ও নিহতের সংখ্যাও কমবে, পাশাপাশি বছরে প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করা যাবে।
McKinsey-র বক্তব্য
মার্কিন সংস্থার দাবি অটোনোমাস গাড়ির মালিকরা প্রত্যহ ৫০ মিনিট করে সময় বাঁচাতে পারবেন। যাদের মধ্যে কেউ কেউ সেই সময়টুকু ইন্টারনেট সার্ফিংয়ে খরচ করবেন। ম্যাকিনসের কথায় এর ফলে প্রতি বছর ৫.৬ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৪৪,২৮৭ কোটি টাকা ডিজিটাল ইনকাম রূপে উৎপন্ন হবে। এমনকি সেই ডিজিটাল আয়ের পরিমাণ পৌছাতে পারে ১৪০ বিলিয়ন ডলারে, যদি গ্রাহকরা যদি ২৫ মিনিট করেও ওয়েব সার্ফিং এবং শপিংয়ে সময় দেন ।
এই সুবিশাল অঙ্কের অর্থ গাড়ির নির্মাণকারী সংস্থা গাড়িতে, হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার সরবরাহকারী, যন্ত্রাংশের ওয়েব ভিত্তিক সরবরাহকারী, তথ্য এবং পরিষেবা সংস্থাগুলির মধ্যে ভাগ হবে । যাত্রীরা গাড়িতে সংযুক্ত ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে কেনাকাটাও করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। ম্যাকিনসে আরও বলেছে বিশেষত কয়েকটি প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড যেমন Mercedes-Benz, Audi, Volkswagen ইতিমধ্যেই অ্যাডভান্সড ড্রাইভার অ্যাসিস্টেন্স সিস্টেম সহ গাড়ি বাজারে এনেছে। ভবিষ্যতে তারা অনেকটাই সুরক্ষিত অবস্থায় থাকবে।