Corrit Hover 2.0: রাস্তায় বেরোলে সবাই তাকাবে, একচার্জে 110 কিমি, লাইসেন্স লাগবে না, মোটা চাকার নয়া ইলেকট্রিক বাইক লঞ্চ হল

ভারতের ইলেকট্রিক টু-হুইলারের প্রতি মানুষের দীর্ঘদিনের ধ্যান ধারণার আমূল পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। আইসিই মডেলের মতো সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রেও বিভিন্ন প্রকরণ যুক্ত হচ্ছে। যেমন, এবারে দেশীয় ইভি…

ভারতের ইলেকট্রিক টু-হুইলারের প্রতি মানুষের দীর্ঘদিনের ধ্যান ধারণার আমূল পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। আইসিই মডেলের মতো সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রেও বিভিন্ন প্রকরণ যুক্ত হচ্ছে। যেমন, এবারে দেশীয় ইভি স্টার্টআপ করিট ইলেকট্রিক (Corrit Electric) লঞ্চ করল নজরকাড়া ডিজাইনের মোটা চাকার একজোড়া বৈদ্যুতিক বাইক। যাদের নামকরণ হয়েছে Hover 2.0 ও Hover 2.0+। এদের দাম রাখা হয়েছে যথাক্রমে ৭৯,৯৯৯ টাকা ও ৮৯,৯৯৯ টাকা। পাশাপাশি গ্রাহকদের চাহিদা, সুবিধা এবং স্কুটারের সহজলভ্যতার কথা ভেবে গ্রেটার নয়ডার গৌড় সিটি মলে করিট ইলেকট্রিক তাদের প্রথম অফলাইন স্টোরের উদ্বোধন করেছে। তাই এবার থেকে অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও কেনা যাবে করিটের বৈদ্যুতিক বাইক।

Hover 2.0-তে রয়েছে একটি ১.৫ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি। যেখানে Hover 2.0+ এ উপস্থিত ১.৮ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি। উভয় ই-বাইকের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২৫ কিলোমিটার। ধীরগতি সম্পন্ন হওয়ার ফলে এগুলি চালাতে লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন হবে না। ০-২৫ কিমি/ঘন্টা গতিবেগ তুলতে সময় লাগবে ৩ সেকেন্ড। সম্পূর্ণ চার্জে Hover 2.0 চলবে ৮০ কিমি এবং আরও দামী Hover 2.0+ এর রেঞ্জ ১১০ কিমি।

বাইক দুটি চারটি রংয়ের বিকল্পে এসেছে – লাল, হলুদ, কালো এবং সাদা। উভয় মডেলে লেটেস্ট ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, কম্বিনেশন সুইচ এবং একটি উন্নত লক সিস্টেম আছে। Hover 2.0+ মোবাইল হোল্ডার সহ কেনা গেলেও , Hover 2.0-তে সেটি অ্যাক্সেসরিজের তালিকায় দেওয়া হয়েছে। করিটের প্রতিটি ফ্যাট টায়ার বাইক তাদের নয়ডার কারখানায় তৈরি হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষে করিট ইলেকট্রিক তাদের প্রথম ইলেকট্রিক বাইক Hover 1.0 লঞ্চ করে। সেটিও কমগতিসম্পন্ন ছিল। ভারতের প্রথম ফ্যাট টায়ার ইলেকট্রিক বাইক হিসেবে এসেছিল এটি। গ্রাহকদের থেকে ইতিবাচক সাড়া মেলায় করিট পুনরায় মোটা টায়ারের বৈদ্যুতিক বাইক আনার অনুপ্রেরণা পায়। এগুলি আগের তুলনায় প্রযুক্তিগত দিক থেকে আরও উন্নত বলে দাবি করেছে সংস্থা।

Hover 2.0 ও Hover 2.0+ লঞ্চের বিষয়ে করিট ইলেকট্রিকের প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক ময়ূর মিশ্র বলেন, “দু’টি নয়া ভার্সনের অরিজিনাল হোভার বাজারে আনতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত। অনন্য স্টাইলিশ লুকের বাইক বাজারে নিয়ে আসতে পেরে আমরা আনন্দিত।” তিনি জানান, খুব শীঘ্রই সংস্থার মোবাইল অ্যাপ আসতে চলেছে। যেখানে অ্যান্টি থেফ্ট অ্যালার্ম, ইগনিশন এবং জিওফেন্সিংয়ের মতো ফিচারের সুবিধা পাওয়া যাবে। পরবর্তী তিন মাসে দিল্লি এনসিআর অঞ্চলে আরও তিনটি শোরুম খোলার কথা জানিয়েছেন তিনি। ২০২৩-এর মধ্যে তার সংখ্যা ৫০-এ পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।