Ultraviolette F77: টপ স্পিড 150 কিমির বেশি, দেশের দ্রুততম বৈদ্যুতিক স্পোর্টস বাইকের ভিডিয়ো না দেখলে মিস

এই দুর্মূল্যের বাজারে গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে মাথা তুলেছে জ্বালানি তেলের ঝাঁঝালো মূল্য। নিস্তার পেতে অসংখ্য মানুষ বিকল্প জ্বালানির বাইক বা স্কুটার বেছে নিতে বাধ্য…

এই দুর্মূল্যের বাজারে গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে মাথা তুলেছে জ্বালানি তেলের ঝাঁঝালো মূল্য। নিস্তার পেতে অসংখ্য মানুষ বিকল্প জ্বালানির বাইক বা স্কুটার বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। যার মধ্যে অন্যতম ইলেকট্রিক টু-হুইলার। তবে এর সম্পর্কে অনেকেরই একটা ভুল ধারণা রয়েছে। তা হল, যারা গতি ভালোবাসেন, তাদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন বৈদ্যুতিক বাইক বেশি গতির জন্য উপযুক্ত নয়। এবারে এই সমস্ত ধারণাকে ভ্রান্ত প্রমাণিত করে আসতে চলেছে Ultraviolette F77। দেশের দ্রুততম ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে এটি। যার লঞ্চ আরও আগে হওয়ার কথা থাকলেও, করোনা অতিমারি এবং সেমিকন্ডাক্টর চিপের অপ্রতুলতার কারণে তা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় বেঙ্গালুরুর সংস্থা আলট্রাভায়োলেট (Ultraviolette)।

ইতিমধ্যেই হাই পারফরম্যান্স F77 বৈদ্যুতিক স্পোর্টস বাইকের অগ্রিম বুকিং গ্রহণ শুরু করেছে আলট্রাভায়োলেট। ভারত সহ বিশ্বের ১৯০টি দেশ থেকে ৬৫,০০০-এর বেশি বুকিং মিলেছে বলে সংস্থা সূত্রে খবর। ফেসবুকে বাইকটির সর্বোচ্চ গতিবেগ পরীক্ষার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ হয়েছে। যেখানে দেখা যায়, F77 ঘন্টা প্রতি ১৫২ কিমি সর্বোচ্চ গতিবেগ তুলতে সক্ষম। ইলেকট্রিক বাইকের পরিপ্রেক্ষিতে যা অসাধারণ মানা হয়েছে। সংস্থার তরফে বাইকটির সর্বোচ্চ গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ১৪৭ কিলোমিটার বলা হলেও, পরীক্ষায় সেই সীমা পার করে যেতে দেখা যায়।

বলার অপেক্ষা রাখে না, গতির লড়াইয়ে বাইকটি বাজারে উপলব্ধ অসংখ্য জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত মডেলের টু-হুইলারকে হেলায় হারাবে। স্থির অবস্থা থেকে ঘন্টায় ৬০ কিমি এবং ১০০ কিমি গতিবেগ তুলতে এর সময় লাগে যথাক্রমে ২.৯ ও ৭.৫ সেকেন্ড। এতে রয়েছে তিনটি রাইডিং মোড – ইকো, স্পোর্ট এবং ইনসেন। Ultraviolette F77 ৪.২ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি প্যাক সহ হাজির হবে। সাথে থাকছে ১ কিলোওয়াট ক্ষমতার চার্জার। এবং একটি ৩ কিলোওয়াট পোর্টেবল চার্জার। স্ট্যান্ডার্ড চার্জার দিয়ে সম্পূর্ণ চার্জ হতে ৫ ঘন্টা সময় লাগবে। যেখানে ফাস্ট চার্জারে ১.৫ ঘন্টাতেই সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যাবে।

F77 তিনটি কালার স্কিমে অফার করা হবে – এয়ারস্ট্রাইক, শ্যাডো এবং লেসার। ফিচারের তালিকায় ব্যাকলিট সুইচ, এলইডি লাইটিং এবং কালারড জি এফ টি ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার থাকছে। বাইকটির দৈহিক ওজন ১৫৮ কেজি। মাটি থেকে সিটের উচ্চতা ৮০০ মিমি। ওজন এবং উচ্চতা দেখে বলা যায়, এটি একটু কম উচ্চতার চালকের জন্যও উপযুক্ত হয়ে উঠবে। সেপ্টেম্বর থেকে বাইকটির টেস্ট রাইড শুরু করবে সংস্থা।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন