পেট্রল, ইথানল, এমনকি ব্যাটারিতেও চলবে! Nitin Gadkari ভারতে প্রথম ফ্লেক্স ফুয়েল গাড়ি আনলেন

পরীক্ষামূলক ভাবে ভারতের প্রথম ফ্লেক্স-ফুয়েল (Flex-Fuel) গাড়ি লঞ্চ করল জাপানি অটোমোবাইল সংস্থা টয়োটা (Toyota)। যার নাম Toyota Corolla Altis Hybrid। এই লঞ্চ অনুষ্ঠানের মূল কান্ডারি…

পরীক্ষামূলক ভাবে ভারতের প্রথম ফ্লেক্স-ফুয়েল (Flex-Fuel) গাড়ি লঞ্চ করল জাপানি অটোমোবাইল সংস্থা টয়োটা (Toyota)। যার নাম Toyota Corolla Altis Hybrid। এই লঞ্চ অনুষ্ঠানের মূল কান্ডারি ছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari)। তাঁর হাত ধরেই এই ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির গাড়িটি আত্মপ্রকাশ করল। দীর্ঘদিন ধরেই মন্ত্রীর বাসনা ছিল এদেশে পরিবেশ বান্ধব ও সাশ্রয়ী ফ্লেক্স-ফুয়েল গাড়ি হাজির করার। সেদিক থেকে দেখতে গেলে গডকড়ীর স্বপ্ন পূরণ হল আজ। আবার ফ্লেক্স-ফুয়েল ইঞ্জিন ছাড়াও এতে রয়েছে হাইব্রিড সিস্টেম। যা কম জ্বালানি পুড়িয়ে শুধু ব্যাটারির উপর নির্ভর করে গাড়িটিকে দৌড়তে বিশেষ ভাবে সাহায্য করবে।

একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্পের আওতায় গাড়িটি হাজির করেছে টয়োটা। যার প্রধান উদ্দেশ্য স্ট্রং হাইব্রিড ফ্লেক্স ফুয়েল ইলেকট্রিক গাড়িটির ভারতীয় পরিবেশে দক্ষতা খতিয়ে দেখার। ফ্লেক্স-ফুয়েল ইঞ্জিন থাকার দরুণ এটি পেট্রোল এবং ইথানলের মিশ্রণ অথবা যে কোনো একটি জ্বালানিতে চলতে সক্ষম। এই জাতীয় গাড়ির ব্যাপকভাবে প্রচলন ঘটলে পেট্রোল এবং ডিজেলের ওপর নির্ভরতা যে কমবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। Toyota Corolla Altis Hybrid ফ্লেক্স-ফুয়েল স্ট্রং হাইব্রিড ইলেকট্রিক ভেহিকেলটিতে একটি ১.৮ লিটার ইথানল চালিত পেট্রোল হাইব্রিড ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ইথানল পরিবেশবান্ধব জ্বালানি হিসেবে সুখ্যাত। তাই এর ব্যবহার বাড়লে পরিবেশে দূষণের মাত্রা যেমন কমবে পাশাপাশি গাড়ির জ্বালানির খরচ হ্রাস পাবে। লঞ্চের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে গডকড়ী বলেন, “ভারতে দূষণ একটি বড় মাথাব্যথার কারণ। পরিবহণ ক্ষেত্র থেকে যার সবচেয়ে বেশি বিস্তার ঘটে। তাই বৈদ্যুতিক এবং বায়ো ফুয়েল, যেমন ইথানল এবং মিথানল চালিত যানবাহনের ব্যবহার বৃদ্ধিতে উৎসাহ জোগানোর প্রয়োজন।” তিনি আবার টুইটারে লেখেন, “আজ আমাদের স্বপ্ন পূরণ হল…! লঞ্চ হল ভারতের প্রথম ফ্লেক্স-ফুয়েল স্ট্রং হাইব্রিড ইলেকট্রিক ভেহিকেল (FFV-SHEV)। যেটি ১০০% পেট্রোল এবং ২০-১০০% ইথানল ও পেট্রোলের মিশ্রণে চলতে পারবে। এমনকি এটি বিদ্যুতেও চলতে সক্ষম।”

প্রসঙ্গত, ইথানল হচ্ছে সমগ্র বিশ্বে বিকল্প জ্বালানির মধ্যে অন্যতম। ইতিমধ্যেই ব্রাজিলের বাজারে ইথানল চালিত ফ্লেক্স-ফুয়েল ইঞ্জিন সমেত গাড়ির ব্যাপক প্রচলন ঘটেছে। বর্তমানে ভারত সরকারও সংশ্লিষ্ট যানবাহনের ব্যবহার বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে। ভারতে এ জাতীয় গাড়ির উৎপাদন ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। যার নাম E95, E90, E85। এগুলির নামকরণ হয়েছে পেট্রোলের সাথে কত শতাংশ ইথানল মেশানো যাবে, সেই শতকরা হারের উপর নির্ভর করে। এর আগে নীতিন গডকড়ী টয়োটারই একটি পাইলট প্রোজেক্ট লঞ্চ করেছিলেন। যা ছিল একটি হাইড্রোজেন চালিত গাড়ি। নাম Toyota Mirai।