গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাত থেকেই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে প্রতিবেশী দেশ নেপাল; এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বহু মানুষের মৃত্যুও হয়েছে। তবে শুধু নেপালে নয়, আজ দুপুর ১টা ৫৭ মিনিটে দিল্লি-এনসিআরসহ উত্তর ভারত, বিহারেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ধরা পড়েছে ৬.৩। শুধু তাই নয়, আজকের ভূমিকম্পের কম্পন এতটাই শক্তিশালী ছিল যে দিল্লি-এনসিআরের বহুতল ভবনে বসবাসকারী লোকজন রাস্তায় বেরিয়ে পড়তে বাধ্য হন। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাগুলি খুব মর্মান্তিক এবং এতে জীবনহানি ছাড়াও সমূহ বিপদের সম্ভাবনা থাকে। তাই যদি এইসব ক্ষেত্রে আগে থেকে সতর্কতা পাওয়া যায় তাহলে বিপদ থেকে রেহাই পাওয়ার পরিকল্পনাও করা যায়। কিন্তু এমনটা কি আদৌ সম্ভব? সেক্ষেত্রে উত্তর হিসেবে আমরা কিন্তু ‘হ্যাঁ’ বলব। কারণ সম্প্রতি এমন ভূমিকম্পের আগাম সতর্কবার্তা পাওয়ার ঘটনা সত্যিই ঘটেছে।
আসলে গত ২৬শে অক্টোবর সান ফ্রান্সিসকো উপসাগরীয় অঞ্চলে ৫.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। কিন্তু গুগল (Google)-এর সিইও সুন্দর পিচাই এবং অন্যান্য ইউজাররা আগেভাগেই এই ঘটনার কথা জানতে পারেন। টুইটারে এই বিষয়টি শেয়ারও করেন পিচাই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে এই আগাম সতর্কতা পেয়েছেন তাঁরা?
সেক্ষেত্রে বলি, শেকঅ্যালার্ট (ShakeAlert) নামের একটি অ্যাপের দৌলতেই তাঁরা সাবধান হয়েছেন। এই অ্যাপটি গুগলেরই প্রোজেক্ট যার কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালে। ২০১৯-এ মানে তিন বছর আগে এর প্রথম ব্যবহার হয়। তবে শেকঅ্যালার্ট, প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস দেয় না, বদলে এটি রাজ্য সরকারের সংস্থা এবং তৃতীয় পক্ষের ডেটা বিশ্লেষণ করে স্মার্টফোন ইউজারদের অ্যালার্ট করে।
কীভাবে কাজ করে ShakeAlert অ্যাপ?
যখন সিসমিক তরঙ্গ উৎপন্ন হয়, তখন উল্লিখিত সরকারি বা অন্যান্য সংস্থা সেন্সর ডেটা রেকর্ড করে। ShakeAlert-এর সিস্টেম এই তথ্য সংগ্রহ করে এবং মানুষকে ভূমিকম্প সম্পর্কে অগ্রিম নোটিফিকেশন পাঠায়। এছাড়া সাগরে থাকা সাবমেরিন কেবলের সাহায্যে এ বিষয়ে জানতে পারে কোম্পানিটি। এর আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে, এই অ্যাপটি খুব দ্রুত (পড়ুন হাই স্পিডে অন্যান্য জায়গায় ডেটা পাঠায়। এই কারণে ইউজাররা এটি থেকে কয়েক সেকেন্ড/মিনিট আগে ভূমিকম্পের সতর্কতা পেয়ে যান।