WhatsApp চ্যাট ফাঁস হওয়ার ভয় পেলে এক্ষুনি করুন এই কাজ, কেউ পড়তে পারবে না

সম্প্রতি, অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তের মোড় বেশ খানিকটা ঘুরে গিয়েছে, সামনে এসেছে বলিউডের সাথে ড্রাগ ব্যবসার গোপন সংযোগের কথা। ইতিমধ্যেই, মাদক কাণ্ডে বেশ…

সম্প্রতি, অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তের মোড় বেশ খানিকটা ঘুরে গিয়েছে, সামনে এসেছে বলিউডের সাথে ড্রাগ ব্যবসার গোপন সংযোগের কথা। ইতিমধ্যেই, মাদক কাণ্ডে বেশ কিছু বলিউড সেলিব্রিটিদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস হয়েছে এবং একাধিক বলিউড তারকাদের তদন্তে তলব করেছে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB)। কিন্তু এই ঘটনায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে একাংশ হোয়াটসঅ্যাপ ইউজারের। সাধারণ ইউজাররা ভাবছেন হোয়াটসঅ্যাপে তাদের চ্যাটগুলি নিরাপদ তো? নাকি তাতে নজর রাখছে কোনো তৃতীয় ব্যক্তি?

ফেসবুকের মালিকানাধীন এই মেসেজিং অ্যাপটির সারা বিশ্বে প্রায় ২ বিলিয়ন সক্রিয় ইউজার রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ দাবি করে, তারা সমস্ত ইউজারদের চ্যাটে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সুরক্ষা দেয়। যার মানে, সেন্ডার বা প্রেরক এবং রিসিপেন্ট অর্থাৎ প্রাপক ইউজাররাই কেবল তাদের মেসেজগুলি পড়তে পারবেন।

কিন্তু দিন চারেক আগেই আমরা একটি প্রতিবেদনে আপনাদের জানিয়েছিলাম কিভাবে ডেটা ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে কোনো ইউজারের চ্যাট ব্যাকআপকে কাজে লাগিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ ডেটা অ্যাক্সেস করা যায়। আসলে, হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট ব্যাকআপে কোনো এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন প্রোটেকশন নেই, ফলে দক্ষ প্রোগ্রামাররা সহজেই ওই ব্যাকআপ ফাইলগুলি নিজের মুঠোয় পেতে পারে।

কিন্তু এই ধরণের অস্বস্তি থেকে বাঁচতে কোনো উপায় নেই? নিশ্চয় আছে। কয়েকটি সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনার ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট কিছুটা হলেও সুরক্ষিত থাকবে।

নিজের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট নিরাপদে রাখতে এই সহজ কথাগুলি মাথায় রাখুন:

১. আপনি যদি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ব্যাকআপ না করেন তাহলে আপনার এই ধরণের কোনো ঝামেলায় পড়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বা প্রিয় মেসেজগুলি সংরক্ষণ করে রাখতে, আমাদের চ্যাট ব্যাকআপ নিতেই হয়। এক্ষেত্রে আপনি যে প্ল্যাটফর্মে চ্যাট ব্যাকআপগুলি সংরক্ষণ করছেন সেটির সুরক্ষার বিষয়ে খেয়াল রাখুন। যেমন, গুগল ড্রাইভে ব্যাকআপ রাখলে, ওই অ্যাপটিকে লক করে রাখুন।

২. সবসময় ফোনে একটি পাসওয়ার্ড বা লক রাখুন, যাতে আপনার অনুমতি ছাড়া কেউ আপনার ফোন বা অ্যাপ্লিকেশনগুলি ব্যবহার করতে না পারে। এছাড়া, হোয়াটসঅ্যাপের ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক ফিচারটি ব্যবহার করুন। হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংস<অ্যাকাউন্ট<প্রাইভেসি সেকশন থেকে ওই সিকিউরিটি অপশনটি অন করা যায়।

৩. হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংসে গিয়ে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন অপশনটি অন করে রাখুন। এতে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটি খোলার সময় ফোন নম্বরের টেম্পোরারি কোডটি ছাড়াও, ৬ সংখ্যার একটি ভেরিফিকেশন কোড প্রয়োজন হবে। যদি, এই ফিচারটি এনাবেল করা থাকে, তাহলে মাঝে মধ্যে এটির পিন বদল করবেন।

৪. অনেক ইউজারই হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব ফিচার ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রে, আপনার সিস্টেমে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট খুললে অন্য যে কেউ সেগুলি পড়তে পারেন। সুতরাং, আপনি যখনই সিস্টেমে কাজ করা বন্ধ করবেন তখন অবশ্যই হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েবে লগ-আউট করুন।