চুরি যাওয়া ফোন ফেরত পাওয়া কেন সম্ভব নয়? জেনে নিন আসল কারণ

মোবাইল ফোন চুরি হওয়ার ঘটনা এখন আকছার ঘটে। এই ঘটনা এখন এতটাই সাধারণ পর্যায়ের যে বেশির ভাগ মানুষ ফোন চুরি হওয়ার পর পুলিশে অভিযোগ পর্যন্ত…

মোবাইল ফোন চুরি হওয়ার ঘটনা এখন আকছার ঘটে। এই ঘটনা এখন এতটাই সাধারণ পর্যায়ের যে বেশির ভাগ মানুষ ফোন চুরি হওয়ার পর পুলিশে অভিযোগ পর্যন্ত করেনা। তবে এও অভিযোগ ওঠে যে মোবাইল চুরির অভিযোগ জানালেও পুলিশ তার কিনারা করতে উদ্দ্যোগি হয়না। আমরা জানি আমাদের ফোনের ঠিকুজি কুষ্টি IMEI নাম্বার থেকে পাওয়া যায়। তাহলে প্রশ্ন আসে পুলিশ এই আইএমইআই নাম্বারে সাহায্যে কেন মোবাইল চোরকে পাকড়াও করে না। আসলে চোর এই IMEI নিয়ে অন্যরকম গেম খেলে, যার ফলে তাদেরকে ধরা কঠিন হয়ে যায়।

দাম 500-700 টাকা :

স্মার্টফোন কোম্পানি গুলোর তরফ থেকে বলা হয় আইএমইআই নাম্বার পরিবর্তন বা নতুন বানানো যায় না, এটি সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। বাস্তবে কিন্তু তা নয়। আপনি কোনো মোবাইল রিপেয়ারিং এর দোকান থেকে পাঁচ মিনিটেই ফোনের আইএমইআই নাম্বার বদলাতে পারেন।

কর্ণাটকের হুবলিতে মোবাইল শোরুমের মালিক জগদীশ ঠাকুর জানিয়েছেন, বাজারে পাওয়া কোনও ডিভাইসের আইএমইআই নাম্বার পরিবর্তন করা যেতে পারে এবং এর পরে ফোনটি নতুন হয়ে যায়। আইএমইআই নাম্বার পরিবর্তন করার পর, আসল আইএমইআই নম্বরটি সনাক্ত করা যায় না।

চুরি হওয়া ডিভাইসের সর্বপ্রথম প্যাটার্ন বা পিন আনলক করা হয়। এর পরে, আইএমইআই নাম্বার সফ্টওয়্যারটির সাহায্যে পরিবর্তন করা হয় এবং এর জন্য হ্যাকাররা 500 থেকে 700 টাকা চার্জ করে। তবে, প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের আইএমইআই নাম্বার পরিবর্তন করা সহজ নয়। হ্যাকাররা সাধারণত আইএমইআই নাম্বার পরিবর্তন করতে ফ্ল্যাশার সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে, কারণ এই সফ্টওয়্যারটি খুব ব্যয়বহুল নয়। বিভিন্ন মোবাইল সংস্থার হ্যান্ডসেটের জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *