বিশ্বের প্রথম 822cc-র অত্যাশ্চর্য Royal Enfield Himalayan দেশে আত্মপ্রকাশ করল

আচ্ছা আজ পর্যন্ত কোনোদিন টুইন সিলিন্ডার ওয়ালা রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ান (Royal Enfield Himalayan) এর সাথে মোলাকাত হয়েছে? হবেই বা কি করে। অফিসিয়ালি রয়্যাল এনফিল্ড তার…

আচ্ছা আজ পর্যন্ত কোনোদিন টুইন সিলিন্ডার ওয়ালা রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ান (Royal Enfield Himalayan) এর সাথে মোলাকাত হয়েছে? হবেই বা কি করে। অফিসিয়ালি রয়্যাল এনফিল্ড তার এই অফ-রোড স্পেশাল বাইকটিতে ৪১১ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডারই এযাবৎ কাল পর্যন্ত ব্যবহার করে এসেছে। আগামীতে হয়তো তাদের এই জনপ্রিয় বাইকটির ভাগ্যে শক্তিশালী টুইন সিলিন্ডার জুটতে পারে। কিন্তু ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করার আর প্রয়োজন হবে না। কারণ সমুদ্র শহর পুনেতে বেড়ে ওঠা সংস্থা অটোইঞ্জিনা-র সৌজন্যে এবার ৮২২ সিসির প্যারালাল টুইন সিলিন্ডার ইঞ্জিন নিয়ে হাজির নতুন হিমালয়ান।

ব্যাপারটি হল অটোইঞ্জিনা সংস্থাটি মোটরবাইকের কাস্টম ডিজাইন সংক্রান্ত কাজকর্ম করে থাকে। আর তাদের হাত ধরেই এবার টুইন ইঞ্জিন পেল হিমালয়ান। তারা নিজস্ব ডিজাইনে তৈরি ইঞ্জিন কেসের মধ্যে ৪১১ সিসির দুটি ইঞ্জিন যুক্ত করে এই নতুন বাইকটির নির্মাণ করেছেন। বলা ভালো বিশ্বের প্রথম ৮২২ সিসির হিমালয়ান মডেল এটি। সম্প্রতি গোয়াতে অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়া বাইক উইক (India Bike Week)-এ দেখা পাওয়া গেল অত্যাশ্চর্য এই হিমালয়ানের।

তবে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে এই নতুন কাস্টমাইজড হিমালয়ানের ইঞ্জিনের সক্ষমতার পরিবর্তন কেমন হলো? সে ক্ষেত্রে বলা ভালো সাধারণভাবে তৈরি ৪১১ সিসি ইঞ্জিন যুক্ত রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ানের থেকে ২৪ এইচপি শক্তি ও ৩২ এনএম টর্ক উৎপাদিত হয়। আর এই কাস্টম বাইকে বিএস-৩ মাপকাঠির ৪১১ সিসির দুটি ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এই দুটি ইঞ্জিনের সম্মিলিত ক্ষমতা মোটামুটি ভাবে ৪০-৫০ বিএইচপি।

এছাড়াও এই নতুন মডেলটিতে রয়্যাল এনফিল্ড-এর ৬৫০ সিসির বাইক দুটি থেকেই রেডিয়েটর ধার করে লাগানো হয়েছে। সংস্থাটির দাবি, কাস্টম বাইকটির এই ইঞ্জিনে নতুন ক্রাঙ্ক কেস ও ক্যাম শ্যাফট ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি অতিরিক্ত ওজন বহন করার জন্য নতুন চ্যাসিস ও সাব ফ্রেম লাগানো হয়েছে এখানে।

নতুন এই রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ান ৮২২ বাইকটিতে খানিক ভিন্ন ধরনের এক্সেসরিজ লাগানো হয়েছে। যেমন জেরিক্যান হোল্ডারটি এমনভাবে ফেয়ারিং এর সঙ্গে যুক্ত যা রাইডারকে অতিরিক্ত উইন্ডব্লাস্ট থেকে বাঁচাবে। সাসপেনশন সেটআপ অপরিবর্তিত থাকলেও তা খানিকটা শক্তভাবে টিউন করা হয়েছে। এছাড়াও সামনের স্টক হেডলাইট এর পরিবর্তে Husqvarna এর থেকে নেওয়া এলইডি হেডলাইট লাগানো হয়েছে। সামনে রয়েছে নতুন ধরনের ডুয়েল ডিস্ক সেটআপ। আর পিছনে রয়েছে KTM 390 Adventure থেকে নেওয়া সিঙ্গেল ডিস্ক।

যদিও এতে থাকা টু-ইন ওয়ান এগজস্ট সিস্টেম অনেকটাই আসল হিমালয়ের মতোই। এমনকি ফুয়েল ট্যাঙ্কটিকেও আগের মতই ১৫ লিটারের রাখা হয়েছে। তবে পিছনের চাকাটি বদলে আরো চওড়া ১৫০/৭০ সেকশনের ১৭ ইঞ্চির রেডিয়াল টায়ার যুক্ত স্পোক হুইল লাগানো হয়েছে, যা Husqvarna থেকেই নেওয়া। অবশ্য সামনের ২১ ইঞ্চির চাকাটি অপরিবর্তিত। উভয় চাকাতেই Shinko Adventure Trail টায়ার লাগানো হয়েছে যা উন্নত গ্রিপ প্রদান করবে।

এর পাশাপাশি সংস্থাটি আগামীতে তাদের এই ৮২২ সিসির হিমালয়ানের অর্ডার অনুযায়ী আরো মডেল তৈরি করতে প্রস্তুত। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো হিমালয়ান প্রেমীদের জন্য রয়েছে রয়্যাল এনফিল্ড-এর তরফে রয়েছে একটি সুখবর। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে যে সত্যিঅ আগামীতে এই হিমালয়ানের ৬৫০ সিসি টুইন সিলিন্ডার যুক্ত সংস্করণ বাজারে আনার পরিকল্পনা করেছে রয়্যাল এনফিল্ড। এছাড়াও অধিক সক্ষমতার ৪৫০ সিসি লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন যুক্ত হিমালয়ানের উপরেও কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।