Royal Enfield Thunderbird এর নতুন রূপ চোখ ধাঁধিয়ে দেবে, বাইক এত সুন্দর হয় কীভাবে

বিশ্বের মধ্যে প্রথমে পাশ্চাত্যের দেশগুলিতে ববার স্টাইলের মোটরসাইকেলের প্রতি রাইডারদের ভালোবাসা তৈরি হয়েছিল। ধীরে ধীরে সেই ক্রেজ সমগ্র দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ইদানিং তো এহেন বাইক…

বিশ্বের মধ্যে প্রথমে পাশ্চাত্যের দেশগুলিতে ববার স্টাইলের মোটরসাইকেলের প্রতি রাইডারদের ভালোবাসা তৈরি হয়েছিল। ধীরে ধীরে সেই ক্রেজ সমগ্র দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ইদানিং তো এহেন বাইক রাস্তা দিয়ে গেলে সকল বাইকপ্রেমীদের হৃদস্পন্দন রীতিমতো বৃদ্ধি পায়। এবার তেমনই এক নজরকাড়া ডিজাইনের দুর্ধর্ষ ববার বাইকের দেখা মিলল এদেশে। যেটি Royal Enfield Thunderbird 350-কে মডিফাই করে নির্মাণ করা হয়েছে। এই তাক লাগানো কাজটি বাস্তবায়িত করেছে নীভ মোটরসাইকেলস নামক এক প্রতিষ্ঠান। তারা বাইকটির নামকরণ করেছে ‘কাপ্তান’ বা অধিনায়ক।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সংস্থাটি Thunderbird 350-কে ববার বাইকের ডিজাইন দিতে যারপরনাই পরিশ্রম করেছে। কাস্টম পেইন্ট দ্বারা এটি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এর বডি প্যানেল গ্লসি গ্রে দ্বারা আবৃত করা হলেও, চ্যাসিস, এগজস্ট, ইঞ্জিন এবং হুইল ব্ল্যাক পাউডার কোটে মোড়ানো এবং অ্যানোডাইজ করা । সব মিলিয়ে বাইকটি থেকে চোখ ফেরানো দায়।

ববার বাইকে পরিণত করার জন্য নীভ মোটরসাইকেলস বেশকিছু কাস্টম পার্টস তৈরি করেছে। যেমন ত্রিভুজ আকৃতির ফুয়েল ট্যাঙ্ক, যা কিছু কাস্টমাইজড চপার মোটরসাইকেলে দেখা মেলে। এতে ব্যবহৃত ফেন্ডার, টুলবক্স, ফর্ক কভার, কার্বুরেটর কভার, হ্যান্ডেল বার, রাইজার এবং এগজস্ট কভারের মতো এটিও পুরোদস্তুর হাতে তৈরি।

কাপ্তান-এ রয়েছে একটি বৃহৎ সুইংআর্ম, ফ্রেম সহ রিমুভেবল রিয়ার সিট, কাস্টম মেড সিঙ্গেল সিট এবং ১৫ ইঞ্চি অ্যালয় হুইল। এতে টিউবলেস টায়ার ব্যবহার করা যাবে। সামনে ও পেছনে টায়ারের মাপ ১৪০/৯০-আর১৫। এছাড়া বেশ কিছু হাই-এন্ড যন্ত্রাংশ যুক্ত করা হয়েছে এতে। যেমন এলইডি হেডল্যাম্প, টেললাইট এবং টার্ন ইন্ডিকেটর।

এছাড়া বাইকটিতে রয়েছে নতুন বার-এন্ড মিরর, একটি ডিজিটাল স্পিডোমিটার এবং গ্রিপ। সাসপেনশনের দায়িত্ব সামলাতে সামনে টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পেছনে ডুয়েল গ্যাসচার্জড শক অ্যাবজর্ভার দেওয়া হয়েছে। ব্রেকিংয়ের জন্য দু’চাকায় ডিস্ক ব্রেক উপস্থিত। যা থেকে বোঝাই যাচ্ছে, Royal Enfield Thunderbird 350-তে সাসপেনশন এবং ব্রেকিংয়ে কোন পরিবর্তন ঘটানো হয়নি।