চুরি-ছিনতাই আটকাতে অব্যর্থ দাওয়াই, আজই আপনার মোটরসাইকেলে লাগান এই জিনিস

ব্যক্তিগত ব্যবহারের প্রয়োজনে দেশে সময়ে সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ছে মোটরসাইকেলের চাহিদা। গত বছর ভারতে ১ কোটির বেশি বাইক বেচেছে টু-হুইলার সংস্থাগুলি। এই বিপুল সংখ্যক মোটরসাইকেল…

ব্যক্তিগত ব্যবহারের প্রয়োজনে দেশে সময়ে সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ছে মোটরসাইকেলের চাহিদা। গত বছর ভারতে ১ কোটির বেশি বাইক বেচেছে টু-হুইলার সংস্থাগুলি। এই বিপুল সংখ্যক মোটরসাইকেল বিক্রির পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে প্রতি বছর বাইক চুরির ঘটনাও যথেষ্ট বেড়েছে, যা প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলতে বাধ্য করেছে। শহর, শহরতলী পেরিয়ে সুদূর গ্রামাঞ্চলেও এই একই ধরনের বহু ঘটনা ঘটছে এখন।

আজকালকার দিনে চার চাকার গাড়িগুলিতে নানা ধরনের আধুনিক অ্যান্টি থেফ্ট প্রযুক্তি সংযুক্ত করা থাকে যা মালিকদৈর অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস প্রদান করতে সক্ষম। এমনকি দুই চাকার ক্ষেত্রেও বেশ কিছু প্রযুক্তি নির্ভর সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। তাই চুরি আটকাতে আজই আপনার মোটরসাইকেলে লাগাতে পারেন কিছু জিনিস, যা দেখলে চোর কাছে ঘেষতে ভয় পাবে।

অ্যান্টি থেফ্ট অ্যালার্ম ইনস্টল করুন

মোটরবাইক চুরি ঠেকাতে গেলে বর্তমান দিনে অ্যান্টি থেফ্ট অ্যালার্মের জুড়ি মেলা ভার। আসলে জনবহুল রাস্তায় কিংবা পার্কিং লটে বেশ উচ্চস্বরে বাজা কোন অ্যালার্মের শব্দ সহজেই আমাদের সবার কানে এসে পৌঁছায়। এই জাতীয় অ্যালার্মগুলি যথেষ্ট সংবেদনশীল হওয়ায় কোনো ব্যক্তি আপনার বাইকটি চুরি করার চেষ্টা করলেই এগুলি প্রচন্ড জোরে শব্দ তৈরি করে আশেপাশের সকলকে সেই বার্তা পৌঁছে দেয়। চেষ্টা করবেন সাধারণ গাড়িতে ব্যবহৃত এমন অ্যালার্মের চেয়ে ভিন্ন শব্দের অ্যালার্ম আপনার বাইকে লাগাতে, যার ফলে তা সহজেই আপনি দূর থেকে শুনে বুঝতে পারবেন। এমনকি এগুলি প্রতি মুহূর্তে যাচাই করে রাখবেন যাতে তার কার্যক্ষমতা সঠিক থাকে। বর্তমানে অনলাইন কিংবা অফলাইনে এমন ধরনের অ্যান্টি থেফ্ট অ্যালার্ম কিনতে পারেন আপনি।

কিল সুইচ যুক্ত করা

আধুনিক বাইকগুলিতে ইঞ্জিন কিল সুইচ লাগানো থাকে। এই জাতীয় সুইটগুলি বাইকের মধ্যে থাকা বৈদ্যুতিক বর্তনী ছিন্ন করে স্পার্ক প্লাগে বিদ্যুৎ পৌঁছানোতে বাধা সৃষ্টি করে। তাই মোটরসাইকেল চুরি রোধ করতে এমন সুইচ একটি অতিরিক্ত সুরক্ষা কবজ হিসেবে কাজ করতে পারে। আপনার বাইকে এমন ব্যবস্থা না থাকলে তা আলাদাভাবে ইন্সটল করে লাগাতে পারবেন। এই সুইচগুলি সাধারণের দৃষ্টির বাইরেই রাখা হয়ে থাকে তাই এই সুইচকে চালু না করে বাইকের ইঞ্জিন চালু করা অসম্ভব।

একাধিক লকের ব্যবহার

বাইক চুরি ঠেকাতে একাধিক লকের ব্যবহার অনেকেই করে থাকেন। অর্থাৎ মোটরবাইকের সঙ্গে থাকা কোম্পানির নিজস্ব লকের পাশাপাশি অতিরিক্ত একটি কিংবা দুটি লক আপনি ব্যবহার করলে তা আদতে বাড়তি সুরক্ষা যোগাবে। হ্যান্ডেল লক, ডিস্ক ব্রেক লক, ইগনিশন লক, ফর্ক লক এই সবগুলোই অতিরিক্ত সেফটি ফিচার হিসাবে আপনি সংযুক্ত করতে পারেন। হ্যান্ডেল লক সহজেই বাইকের হ্যান্ডেল নাড়ানোকে রোধ করতে পারবে, অন্যদিকে ডিস্ক লক চাকার ঘূর্ণন আটকাতে সাহায্য করবে। তাছাড়াও ইগনিশন লকের ফলে বাইকটির ইগনিশন সিস্টেম বন্ধ থাকবে এবং ফর্ক লক চাকাকে আটকে রাখবে।

কোনো বড় বস্তুর সঙ্গে আটকে রাখা

এটিও বেশ সহজ এবং পুরানো ব্যবস্থার মধ্যেই পড়ে। মানে বেশ শক্তিশালী এবং বড় কোনো স্থিতিশীল বস্তুর সঙ্গে যদি আপনার মোটরসাইকেলটিকে আটকে রাখতে পারেন তা নিঃসন্দেহে আপনার মনে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস জোগাবে। এক্ষেত্রে মোটা চেন কিংবা কেবেল ব্যবহার করতে পারেন। এমন ধরনের চেন বাছুন যা সহজে ভাঙা সম্ভব নয়।

মাটির থেকে লকিং সিস্টেমকে উপরে রাখুন

সবসময় মনে রাখবেন আপনার বাইকের সঙ্গে লাগানো অতিরিক্ত লকিং সিস্টেমটি যেন ভূমির থেকে দূরে থাকে। কারণ মাটির কাছে থাকলে তাকে সহজেই ভেঙে ফেলা সম্ভব। সেই তুলনায় এই লক যদি খানিকটা উপরের দিকে থাকে চোরের পক্ষে তা নষ্ট করা বেশ কঠিন কাজ। তাই এই বিষয়টি নজরে রাখবেন।