Website Fake: ওয়েবসাইট ভুয়ো নাকি আসল চেনার সহজ উপায়, জীবনেও ঠকবেন না

এখনকার সময়ে ফিশিং বা ভুয়ো ওয়েবসাইট (Fake Website) তৈরী করে লোক ঠকানোর ঘটনা আকছার ঘটছে। কখনো ভারতের ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের সাইট নকল করা হচ্ছে, তো কোনো…

এখনকার সময়ে ফিশিং বা ভুয়ো ওয়েবসাইট (Fake Website) তৈরী করে লোক ঠকানোর ঘটনা আকছার ঘটছে। কখনো ভারতের ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের সাইট নকল করা হচ্ছে, তো কোনো আবার কোনো ব্যাঙ্কের। আসলে স্ক্যামাররা এতটাই নিখুঁতভাবে আসল বা জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলির ক্লোন তৈরি করছে যে, সাধারণ মানুষের পক্ষে আসল ও নকলের মধ্যে পার্থক্য বোঝা কঠিন হয়ে পড়ছে। এক্ষেত্রে আয়কর বিভাগ, ব্যাঙ্ক, বা ই-কমার্স সাইটগুলি ছাড়াও অন্যান্য বিভাগীয় ওয়েব পোর্টালেরও ফিশিং সাইট বানাচ্ছে সাইবার ক্রিমিনালরা। যেমন – ভুয়ো ট্রাভেল ওয়েবসাইট বা জব সার্চিং সাইটের মাধ্যমেও বহু মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। ফলে এখনকার সময়ে ভুয়ো বা জাল ওয়েবসাইটগুলিকে সনাক্ত করার পদ্ধতি জানা আবশ্যক। তবেই একমাত্র প্রতারণার হাত থেকে বাঁচা যাবে৷ নীচে কীভাবে ভুয়ো ওয়েবসাইট সনাক্ত করবেন এবং ফিশিং ওয়েবসাইটের স্ক্যাম থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন তার উপায় আলোচনা করা হল।

কোনো Website আসল নাকি নকল কীভাবে বুঝবেন?

ডোমেন নেম চেক করুন – প্রতারকরা তাদের বানানো ক্লোন ওয়েবসাইটের ডোমেন নেম, মূল ওয়েবসাইটের থেকে ভিন্ন রাখে। যার দরুন এইসকল সাইটের URL দেখেই আপনি কোনটা আসল ও কোনটা নকল বুঝতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ, অ্যামাজন ইন্ডিয়ার URL amazon.com/in। স্ক্যামাররা এর পরিবর্তে তাদের ফিশিং সাইটের ডোমেন নেম amaz0n.com দিতে পারে। অর্থাৎ নামের অক্ষরে কোনো না কোনো ভুল থাকবেই।

প্যাডলক আইকন আছেন কিনা দেখুন – যেকোনো ভ্যারিফাইড ওয়েবসাইটে ঢুকলে, সেটির অ্যাড্রেস বারে থাকা URL লিংকের ঠিক বাঁ দিকে একটি ‘লক’ বা তালা দেওয়া আইকন দেখবেন৷ এই আইকনকে প্যাডলক বলা হয়, যা নির্দেশ করে সাইটটি TLS/SSL সার্টিফাইড ও সুরক্ষিত। এইসকল সাইটে ব্যবহারকারীদের ডেটা এনক্রিপ্টেড থাকে। কিন্তু যদি দেখেন ওয়েবসাইটটিতে কোনো প্যাডলক আইকন নেই এবং বিপরীতে ডোমেন নেমের বাঁ দিকে বিস্ময় চিহ্ন (!) দেখা যাচ্ছে তবে বুঝবেন পোর্টালটি বিশ্বাসযোগ্য নয় ৷

ডিলগুলি সাবধানতার সাথে খুঁটিয়ে দেখুন – আমাদের মোবাইলে বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আকর্ষণীয় ডিল বা অফার সম্পর্কিত একাধিক মেসেজ আসে। যার মধ্যে একাধিক ভুয়োও হতে পারে। যদি দেখেন এমন কোনও অফার দেওয়া হচ্ছে যা বাস্তবশূন্য, তবে ভাববেন সাইটটি ভুয়ো। যেমন – সম্প্রতি ১৫,০০০ টাকা দামের একটি স্যামসাং অডিও প্রোডাক্টকে মাত্র ৯৯ টাকায় দেওয়ার দাবি করছিল একটি সাইট, যা কখনোই সম্ভব নয়। তাই এইধরণের অবাস্তব ডিল দেখা মাত্রই সতর্ক হয়ে যান৷

ভুল বানান বা ডিজাইনে সমস্যা চেক করুন – স্ক্যামারদের বানানো নকল ওয়েবসাইটগুলিতে একাধিক ভুল বানান, ব্যাকরণগত সমস্যা এবং বাক্যের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা থাকবেই। সাথে কোম্পানি লোগো যদি ঠিকও হয়, ওযেবসাইটের ডিজাইনে সমস্যা থাকতে বাধ্য। এইধরণের ‘রেড ফ্ল্যাগ’ -গুলি চেক করে নেবেন।

অনলাইন রিভিউ পড়ুন এবং স্ক্যাম রিপোর্টগুলি চেক করুন – কোনো অনলাইন সাইটের মাধ্যমে কেনাকাটা করার সময়ে বা ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করার আগে, সেই সাইটটির সম্পর্কে অনলাইনে রিভিউ পড়ুন এবং কোনো প্রকার স্ক্যামিং রিপোর্ট দায়ের করা হয়েছে কিনা চেক করে নিন। এরফলে ওয়েবসাইটটি লিগাল বা ভ্যারিফাইড কিনা তা বুঝতে সুবিধা হবে আপনার।