এই গরমে হরদম ফ্যান, এসি বা ফ্রিজ চালালেও আসবে কম বিদ্যুৎ বিল, জেনে নিন কৌশল

বর্তমানে গ্রীষ্মের দাবদাহে জ্বলছে পশ্চিমবাংলাসহ গোটা দেশ, প্রতিদিনই তাপমাত্রার পারদ একটু একটু করে চলছে। এই পরিস্থিতিতে বাইরের কড়া রোদ্দুরের মোকাবিলা করা সম্ভব না হলেও, বাড়িতে…

বর্তমানে গ্রীষ্মের দাবদাহে জ্বলছে পশ্চিমবাংলাসহ গোটা দেশ, প্রতিদিনই তাপমাত্রার পারদ একটু একটু করে চলছে। এই পরিস্থিতিতে বাইরের কড়া রোদ্দুরের মোকাবিলা করা সম্ভব না হলেও, বাড়িতে স্বস্তি পেতে টানা ২৪ ঘণ্টা ফ্যান চালাচ্ছেন প্রত্যেকেই – কেউ কেউ আবার এয়ার কন্ডিশনার বা কুলারের মত অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবহার করছেন। তাছাড়া খাবার, সব্জি-ফলমূল, পানীয় ইত্যাদি ঠান্ডা বা তরতাজা রাখার জন্য পুরোদমে চলছে ফ্রিজও। কিন্তু, এর জেরে মোটা টাকা ইলেকট্রিক বিল আসার ব্যাপারটিও বেশ স্বাভাবিক। আর তাই নিরুপায় হয়ে এইসব বিদ্যুৎ চালিত জিনিস লাগাতার ব্যবহার করতে হলেও, খরচ সম্পর্কে অনেকেই চিন্তায় আছেন। তবে কিছু কিছু বিষয় আছে যা মাথায় রাখলে কিন্তু আপনি বিদ্যুৎ বিল বেশ খানিকটা বাঁচাতে পারবেন। হ্যাঁ এমনটাও সম্ভব! আর আজকের প্রতিবেদনে আমরা সেসব কৌশলই আপনার সাথে শেয়ার করব।

বিদ্যুৎ বিল কম আসবে, মাথায় রাখুন এই ৬টি বিষয়

১. ব্যবহার না হলে যন্ত্রপাতি বন্ধ রাখুন: বিদ্যুৎ বিল কম করার সবচেয়ে মৌলিক কৌশল হল খরচ বাঁচানো। অনেক সময়ই আমাদের বাড়িতে লাইট, ফ্যান, হোম অ্যাপ্লায়েন্স এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস প্রয়োজন না থাকলেও চলতে থাকে – এতে বেশি বিল আসা অবশ্যম্ভাবী। তাই ব্যবহার না হলে এই সব যন্ত্র বন্ধ করে রাখার চেষ্টা করুন।

২. স্ট্যান্ডবাই মোডে যন্ত্রগুলিকে রাখবেন না: বিদ্যুৎ খরচ কমাতে আপনার ইলেকট্রনিক্সগুলিকে স্ট্যান্ডবাইতে রাখবেন না। কারণ টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন সমস্ত কিছুই সম্পূর্ণরূপে বন্ধ না হলে কিছু পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে।

৩. ফাইভ স্টার রেটিং বিশিষ্ট প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন: উচ্চ রেটের ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্টগুলি অনেকটাই কম শক্তি খরচ করে। তাই রেফ্রিজারেটর, এসি, ওয়াশিং মেশিন বা টিভির মত প্রোডাক্ট কেনার সময় ৫ স্টার রেটিং দেখে নিন, এতে কম ইলেকট্রিক ইউনিট খরচ হবে।

৪. স্মার্ট হোম সেটআপ কাজে লাগান: আপনি যদি বাড়িতে ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্টগুলির জন্য স্মার্ট হোম সেটআপ কাজে লাগান, তাহলে আপনার বিদ্যুৎ বিল বেশ খানিকটা বাঁচবে। এক্ষেত্রে আপনি স্মার্ট প্লাগ, স্মার্ট সুইচ ইত্যাদি জিনিসগুলি ব্যবহার করতে এবং অ্যাপ্লায়েন্সগুলির জন্য টাইমার সেট করে রাখতে পারেন। এতে করে অ্যাপ্লায়েন্সগুলি নির্দিষ্ট সময়ে অন/অফ হবে, অর্থাৎ এগুলিকে সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

৫. হোম অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবহার করুন বুঝে শুনে: মাইক্রোওয়েভ, ইলেকট্রিক কেটলি, এয়ার ফ্রাইয়ার ইত্যাদি অ্যাপ্লায়েন্স প্রচুর শক্তি খরচ করে। তাই এগুলি দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার না করাই ভালো।

৬. ব্যাকআপ পাওয়ারে লোড কমান: পাওয়ার ব্যাকআপ সাধারণত রেগুলার বিদ্যুৎ-এর তুলনায় ইউনিট প্রতি অনেক বেশি শক্তি খরচ করে। সুতরাং আপনি ব্যাকআপ পাওয়ারে অনেক যন্ত্রপাতি (যেমন এসি, গিজার ইত্যাদি) ব্যবহার করছেন না তা খেয়াল রাখুন।

এছাড়াও বিদ্যুৎ খরচ নিরীক্ষণ করতে এবং এই বিষয়ে আপ-টু-ডেট থাকতে আপনি ওয়াই-ফাই (Wi-Fi) এনাবেলড্ এনার্জি মিটার ব্যবহার করতে পারেন।