কিনতে চাইছে সবাই, Chetak ইলেকট্রিক স্কুটার এর উৎপাদন দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিল Bajaj

ইলেকট্রিক স্কুটারের ঊর্দ্ধমুখী চাহিদা দেখে তৎপর বাজাজ অটো (Bajaj Auto)। আগামী জুন থেকেই প্রতি মাসে স্কুটারের উৎপাদন ১০,০০০ ইউনিট পর্যন্ত বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রার কথা জানালো তারা।…

ইলেকট্রিক স্কুটারের ঊর্দ্ধমুখী চাহিদা দেখে তৎপর বাজাজ অটো (Bajaj Auto)। আগামী জুন থেকেই প্রতি মাসে স্কুটারের উৎপাদন ১০,০০০ ইউনিট পর্যন্ত বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রার কথা জানালো তারা। জোগান-শৃঙ্খলের বেহাল পরিস্থিতি সামান্য ঘুরে দাঁড়ানোর সাথে সাথেই এই ঘোষণা করল বাজাজ। একই সাথে নিজেদের সেলস নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি।

সেপ্টেম্বরের মধ্যে চেতক ইলেকট্রিক স্কুটারের ১৫০টি এক্সক্লুসিভ আউটলেট খোলার পরিকল্পনা করছে বাজাজ। এই প্রসঙ্গে বাজাজ অটোর কার্যনির্বাহী আধিকারিক রাকেশ শর্মা বলেন, “আমরা জুন থেকে প্রতি মাসে ১০,০০০ ইউনিট তৈরির চেষ্টা করছি।” বর্তমানে প্রতি মাসে বাজাজ ৫,০০০ বৈদ্যুতিক স্কুটার তৈরি করছে। পরের মাস থেকে যা বাড়িয়ে ৭,০০০ ইউনিট করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

শর্মা জানিয়েছেন, এর আগে কিছু ভেন্ডারের উপর নির্ভরশীল হওয়ার কারণে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। যারা পণ্যের জোগান দিতে পারেনি। এই প্রসঙ্গে বাজাজ অটো আর্বানাইট বিজনেস ইউনিটের সভাপতি এরিক ভাস মন্তব্য করেছেন, ১ এপ্রিল থেকে ব্যাটারির নতুন বিধি AIS 156B লাগু হওয়ার ফলে উৎপাদনের ক্ষেত্রে কোম্পানিকে হোঁচট খেতে হয়েছিল।

এরিক যোগ করেন, “আমরা আমাদের উৎপাদন আবার স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসতে পারবো। মে মাসের মাঝামাঝিতে আমরা স্টোরের সংখ্যা বাড়াতে চলেছি। এরপর উৎপাদন সংক্রান্ত আর কোনো সমস্যা থাকবে না।” উল্লেখ্য, বর্তমানে চেতক স্কুটারটি বুকিং করার পর চাবি হাতে পেতে ২০ থেকে ২৫ দিন অপেক্ষা করতে হয় ক্রেতাদের। এদিকে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের বিষয়ে ভাস জানান, বর্তমানে দেশের ৮৮টি শহরে ১০৫টি চেতকের ডিলারশিপ রয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১২০ টি শহরে এই সংখ্যা ১৫০-র কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া হবে।