77,000 টাকা থেকে দাম শুরু, এই 5 কমিউটার বাইকের ডিজাইন সেরা, ইঞ্জিনও কম তেল খায়

বিশ্ব মানচিত্রে সবচেয়ে বড় বাইকের বাজার হিসেবে অনেকদিন থেকেই পরিচিত আমাদের দেশ। প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক টু-হুইলার মডেল বিক্রি হয় এই দেশেই। তবে এর মধ্যে…

বিশ্ব মানচিত্রে সবচেয়ে বড় বাইকের বাজার হিসেবে অনেকদিন থেকেই পরিচিত আমাদের দেশ। প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক টু-হুইলার মডেল বিক্রি হয় এই দেশেই। তবে এর মধ্যে সিংহভাগ কিন্তু দখল করে রয়েছে দৈনন্দিন চলাচলের উপযুক্ত সাধারণ কমিউটার বাইক। ১৫০ সিসির কম ক্ষমতার ইঞ্জিনযুক্ত মডেলগুলি এই তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়ে থাকে। Bajaj Auto, Honda, Hero MotoCorp, TVS, Keeway এর হাতে রয়েছে এমন মডেল। এই প্রতিবেদনে ১.২০ লাখ (এক্স-শোরুম) বাজেটের মধ্যে পাঁচটি ভাল কমিউটার বাইকের সন্ধান রইল আপনাদের জন্য।

Hero Passion XTEC:

হিরো প্যাশন এক্সটেক বাইকটিতে একটানা লম্বা সিট, পিছনের দিকে খানিকটা ঝোকানো ফুয়েল ট্যাংক, এক পাশে উঁচু করা এগজস্ট পাইপ এবং ব্লুটুথ সংযোজিত ব্যাকলিট ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার দেখতে পাওয়া যায়। পেছনের চাকায় ড্রাম ব্রেক থাকলেও সামনের দিকে ডিস্ক কিংবা ড্রাম এই দুই ধরনের অপশনই পাওয়া যায়। সাথে থাকছে কম্বাইন্ড ব্রেকিং সিস্টেম। সাসপেনশনের দায়িত্ব সামলাতে সামনের দিকে টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পিছনে ডুয়েল শক অ্যাবজর্ভার বিদ্যমান। চালিকাশক্তি যোগায় ৯ এইচপি শক্তি এবং ৯.৭৯ এনএম টর্ক উৎপাদনকারী ১১০ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। বাইকটির দাম শুরু হচ্ছে ৭৭,৬৯৩ টাকা থেকে।

Bajaj Pulsar 125:

আকর্ষণীয় স্পোর্টি গ্রাফিক্স, মাসকুলার ফুয়েল ট্যাঙ্ক, একটানা লম্বা সিট, একপাশে এগজস্ট পাইপ, সেমি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, ১৭ ইঞ্চি অ্যালয় হুইল এই সব কিছুই দেওয়া হয়েছে বাজাজ পালসার ১২৫ মডেলটিতে। ব্রেকিং সিস্টেম হিসেবে সামনের চাকায় ডিস্ক ও পিছনে ড্রাম ব্রেক দেওয়া হয়েছে। সাথে রয়েছে কম্বাইন্ড ব্রেকিং সিস্টেম। এছাড়াও সামনে ও পিছনে যথাক্রমে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও ডুয়েল শক অ্যাবজর্ভার সাসপেনশনের কাজ করে। বাজাজ পালসার এর এই বাইকটির অলিন্দে DTS-i প্রযুক্তির সিঙ্গেল সিলিন্ডার যুক্ত ১২৪.৪ সিসির ইঞ্জিন যুক্ত রয়েছে যা থেকে উৎপাদিত পাওয়ার এবং টর্ক আউটপুট যথাক্রমে ১১.৬ এইচপি এবং ১০.৪ এনএম। বাইকটির দাম শুরু হয়েছে ৮০,১৫৪ টাকা থেকে।

TVS Raider 125:

টিভিএস রাইডার ১২৫ বাইকটির উল্লেখযোগ্য ফিচারের প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গেলে এর মধ্যে ঢেউ খেলানো ফুয়েল ট্যাংক, এলইডি লাইট সেট আপ, কালারফুল ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার এবং ডিজাইন করা অ্যালয় হুইল নজরে আসে। সামনের চাকায় ডিস্ক ও পিছনের চাকায় ড্রাম ব্রেকের সঙ্গে কম্বাইন্ড ব্রেকিং সিস্টেম এতে উপলব্ধ। সাসপেনশন সেটআপ হিসাবে সামনের দিকে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পিছনে মনোশক সাসপেনশন দেওয়া হয়েছে। ১১.২ এইচপি এবং ১১.২ এনএম টর্ক উৎপাদনকারী ১২৪.৮ সিসির এয়ার/ওয়েল কুল্ড ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে এতে। বেস মডেলটি কিনতে খরচ হবে ৯৩,৭১৯ টাকা।

Honda Unicorn:

হোন্ডা ইউনিকন বাইকটি ১৬২.৭ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন থেকে চলার শক্তি সংগ্রহ করে। এই ইঞ্জিনটির পাওয়ার এবং টর্ক আউটপুট যথাক্রমে ১২.৭৩ এইচপি এবং ১৪ এনএম। ফ্ল্যাট টাইপ সিট, বড় ফুয়েল ট্যাঙ্ক, হ্যালোজেন হেডল্যাম্প, অ্যানালগ ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল, উঁচু করা এগজস্ট পাইপ এবং অ্যালয় হুইল ব্যবহার করা হয়েছে এতে। সেফটি ফিচার হিসেবে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস এর সঙ্গে সামনের চাকায় ডিস্ক ও পিছনের চাকায় ড্রাম ব্রেক উপলব্ধ। সাসপেনশন সেটআপ হিসেবে সামনের দিকে টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পিছনে মনোশক ইউনিট দেওয়া হয়েছে। এটি কিনতে খরচ হবে ১.০৬ লাখ টাকা।

Keeway SR 125:

কমিউটার বাইকের সেগমেন্টে গত বছরই আত্মপ্রকাশ করে কিওয়ে এসআর ১২৫। এতে ৯.৭ এইচপি শক্তি এবং ৮.২ এনএম টর্ক উৎপাদনকারী সিঙ্গেল সিলিন্ডার যুক্ত ১২৫ সিসির এয়ারকুল্ড ইঞ্জিন ইঞ্জিন বর্তমান। রেট্রো ডিজাইনের বাইকটিতে বৃহদাকার ফুয়েল ট্যাঙ্ক, গোলাকার হেডল্যাম্প, চওড়া হ্যান্ডেলবার, খাঁচ কাটা সিট, বৃত্তাকার টেলল্যাম্প এবং সিঙ্গেল পড ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার দেখতে পাওয়া যায়। বাইকটির উভয় চাকাতেই ডিস্ক ব্রেকের সঙ্গে কম্বাইন্ড ব্রেকিং সিস্টেম দেওয়া রয়েছে। সাসপেনশনের দায়িত্ব সামলাতে সামনের দিকে টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পিছনে টুইন রিয়ার সক অ্যাবজরভার লাগানো রয়েছে। দাম ১.১৯ লাখ টাকা।