NoMoPhobia: ফোন একটু হাতছাড়া থাকলেই মন অস্থির, দেশে ক্রমশ বাড়ছে ‘নোমোফোবিয়া’

বর্তমান সময়ে মোবাইল শুধুই যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরঞ্চ আজ তা স্মার্টফোনরূপে আমার-আপনার মতো অনেকের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্মার্টফোন যেন প্রাণভোমরা – খাদ্য,…

বর্তমান সময়ে মোবাইল শুধুই যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরঞ্চ আজ তা স্মার্টফোনরূপে আমার-আপনার মতো অনেকের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্মার্টফোন যেন প্রাণভোমরা – খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের সাথে সাথে শিশু থেকে প্রবীণ সকলের প্রয়োজন এই খুদে ইলেকট্রনিক্সটি, যাকে কোনো কিছুর মূল্যেই এক মুহূর্তের জন্য কাছছাড়া করা যায়না। কিন্তু মোবাইল স্মার্টফোনের প্রতি এই নির্ভরশীলতা যে আসক্তির সামিল, সে কথা বারবার বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড Oppo নিজে, মার্কেট রিসার্চ অ্যানালাইজার Counterpoint-এর সাথে মিলে ‘নোমোফোবিয়া’ (NoMoPhobia) নামে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে, যাতে মানুষের স্মার্টফোনের প্রতি দুর্বলতা সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।

ফোন থেকে দূরে থাকার ‘ভয়’ সবসময় কাজ করছে একাংশের মনে

নোমোফোবিয়া আসলে নো মোবাইল ফোবিয়া (No Mobile Phobia)-র সংক্ষিপ্ত রূপ, আর এই নো মোবাইল ফোবিয়া আবার স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের এক ধরনের ভয়। সার্ভে রিপোর্ট অনুযায়ী, ৬৫ শতাংশ মানুষ তাদের স্মার্টফোনের সাথে আবেগপ্রবণভাবে সংযুক্ত। এই বুঝি ডেটা লিমিট পেরিয়ে যায়, ব্যাটারি ব্যাকআপ শেষ হয়ে যায় কিংবা হঠাৎ করে ফোন হারিয়ে যায় – এ সমস্ত ভাবনায় অধিকাংশ সময়েই শঙ্কিত থাকেন ওই ইউজাররা। মজার ব্যাপার এটাই যে সার্ভেতে দেখা গেছে, নারীদের তুলনায় পুরুষরা মোবাইল নিয়ে বেশি চিন্তিত। সমীক্ষায় জড়িত ৮২% পুরুষ তাদের ফোন নিয়ে চিন্তার কথা স্বীকার করেছেন, যেখানে ৭৪ শতাংশ মহিলা জানিয়েছেন তারা ফোনের ব্যাটারি এবং ইন্টারনেট নিয়ে চিন্তিত।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ওপ্পো এবং কাউন্টারপয়েন্টের এই সমীক্ষায় ১,৫০০ জন অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এক্ষেত্রে সমীক্ষার দরুন ৯২.৫ শতাংশ মানুষ বলেছেন যে তারা পাওয়ার সেভিং মোড ব্যবহার করেন এবং ৮৭ শতাংশ ইউজার তাদের ফোনটি সম্পূর্ণ চার্জ হওয়ার সাথে সাথে ব্যবহার করতে শুরু করেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া দেখা গেছে, ৬০ শতাংশ মানুষ খারাপ ব্যাটারির কারণে তাদের স্মার্টফোন বদলাতে চান। ইউজারদের এই ভাবনার কারণে ওপ্পো ইন্ডিয়া আরও ভাল ব্যাটারি লাইফযুক্ত ফোন লঞ্চ করবে বলে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে।

কাজ নয়, শুধু বিনোদনের জন্য ফোন ব্যবহার করেন ৪২% মানুষ

এদিকে সার্ভেতে অংশগ্রহণকারী ৪২ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন যে, তারা শুধু বিনোদনের জন্য তাদের ফোনে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন। সবমিলিয়ে কাজ ছাড়াও যে স্মার্টফোন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং এর জন্য মানব-মননে ভালোমতো প্রভাব পড়ছে, সেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়ার নয়! সার্ভের ফলাফলের ভিত্তিতে বলা যায় দেশের প্রত্যেক চারজনের মধ্যে তিনজনই স্মার্টফোন সংক্রান্ত অস্থিরতা তথা নোমোফোবিয়ার শিকার।