অভিভাবকদের সতর্ক করল Xiaomi-র প্রাক্তন প্রধান, বাচ্চাদের হাতে ফোন না দেওয়ায় অনুরোধ

স্মার্টফোন নিশ্চিতভাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি প্রভাব ফেলেছে। সেই সঙ্গে আমরা জেনে অথবা না জেনে আমাদের শিশুদের হাতে তুলে দিচ্ছি স্মার্টফোন। কিন্তু শিশুদের হাতে স্মার্টফোন…

স্মার্টফোন নিশ্চিতভাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি প্রভাব ফেলেছে। সেই সঙ্গে আমরা জেনে অথবা না জেনে আমাদের শিশুদের হাতে তুলে দিচ্ছি স্মার্টফোন। কিন্তু শিশুদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দেওয়া সত্যিই কি নিরাপদ? সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়েই কথা বললেন মনু কুমার জৈন (Manu Kumar Jain)। মার্কিন ভিত্তিক এনজিও Sapien Labs এর একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, শিশুরা অল্প বয়সে স্মার্টফোনে অভ্যস্ত হওয়ার ফলে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো তাদেরও অনেক মানসিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর এই গবেষণাকেই সমর্থন করে, Xiaomi ইন্ডিয়ার প্রাক্তন সিইও এবং Jabong-এর প্রাক্তন সহ-প্রতিষ্ঠাতা, মনু কুমার জৈন শুক্রবার একটি লিঙ্কডইন পোস্টে শিশুদের মোবাইল থেকে দূরে রাখতে অনুরোধ করেছেন।

অভিভাবকদের হতে হবে সতর্ক

মনু কুমার জৈন একজন স্মার্টফোন কোম্পানির প্রাক্তন প্রধান, তিনি যখন স্মার্টফোন ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক করেছেন, তখন সকলের উচিত তার কথাটি গুরুত্ব সহকারে ভাবা। আজকাল ছোট থেকেই শিশুরা স্মার্টফোনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। অনেক অভিভাবক এই বিষয়টিতে খুব খুশিও হন। তারা বলেন যে, তাদের সন্তান নিজে নিজেই মোবাইল খোলে, নানান অ্যাপ খোলে, গান চালায় বা গেম খেলতে পারে। আসলে অভিভাবকরা মনে করেন যে এটি বুদ্ধিমত্তার লক্ষণ। কিন্তু স্মার্টফোন সন্তানের মনে কী প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে কেউ চিন্তা করে না।

স্মার্টফোনের ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি?

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শিশুরা মোবাইলে আসক্ত হলে, তাদের চোখের রোগ হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। মোবাইলে আসক্ত হবার ফলে শিশুদের মানসিক ব্যাধি হতে পারে। লেখাপড়ায় অমনোযোগী হয়ে পড়ে ছেলেমেয়েরা। নতুন কিছু শেখার প্রতি আগ্রহ হারায়। তাছাড়া দশ বছরের নিচে যে ছেলেরা মোবাইল ব্যবহার করে তাদের ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ বড় হয়ে মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হয়। দশ বছরের নিচে যে মেয়েরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তারমধ্যে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বড় হয়ে মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হয়।

মনু জৈন স্পষ্ট করে বলেছেন যে, তিনি স্মার্টফোনের ব্যবহারের বিরুদ্ধে নন। কিন্তু এই ডিভাইসগুলি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে সর্তকতা অবলম্বন করা প্রয়োজন সকলে সর্বদা সেগুলি যেন মেনে চলেন। আর আমাদের দেশের পিতামাতারা যেন এই সমস্যার সমাধানের বিভিন্ন বিকল্প পথগুলিকে বেছে নেন।