সবচেয়ে বড় শাস্তি, 10700 কোটি টাকার জরিমানার মুখে Facebook, কিন্তু কেন?

গতকাল Meta মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম Instagram অচল হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। আর আজ কোম্পানিটি ফের খবরের শিরোনামে উঠে এল। আসলে অতিসম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন…

গতকাল Meta মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম Instagram অচল হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। আর আজ কোম্পানিটি ফের খবরের শিরোনামে উঠে এল। আসলে অতিসম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU), Meta-কে ১.২ বিলিয়ন ইউরো মানে ১০,৭০০ কোটি টাকার জরিমানা করেছে। অভিযোগ, সংস্থাটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন তথা ইউজারদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেছে, কারণ তারা সমস্ত ইউজার ডেটা আমেরিকাতে ট্রান্সফার করে। আয়ারল্যান্ডের ডেটা প্রোটেকশন কমিশনের দাবি, কোম্পানি এইভাবে সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে। এদিকে Meta-র এই পদক্ষেপের কথা সামনে আসার পর Facebook ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ডেটা কতটা সুরক্ষিত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

প্রযুক্তি দুনিয়ায় এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় শাস্তি পেল Meta

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে ডেটা চুরির ঘটনায় অ্যামাজনকে ৬,৬৮৮ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন রেগুলেশন (GDPR) কর্তৃক আরোপিত মেটার ১০,৭০০ কোটি টাকার জরিমানা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় শাস্তি। এই জরিমানা শুধুমাত্র ফেসবুকের জন্য, যা মেটাতে এবং ডেটা ট্রান্সফার বন্ধ করতে মেটাকে পাঁচ মাস সময় দিয়েছে বোর্ড। এদিকে মেটা আবার জরিমানার বিরুদ্ধে আদালতে পাল্টা মামলা করার কথা বলেছে।

এর আগে পাঁচ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ক্ষমা চান খোদ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ। এদিকে ২০২০ সালে ইউরোপীয় আদালত, আমেরিকার গোয়েন্দাগিরির আশঙ্কায় একটি মার্কিন-ইইউ চুক্তি বাতিল করে। সেক্ষেত্রে আদালতের ঘোষণার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনা চলে, আর এর প্রেক্ষিতে তৈরি হয় প্রাইভেট শিল্ড ২.০ কাঠামো।

তবে যেমনটা আগেই বলেছি, এবারের জরিমানার ঘটনাটিকে মেটা কর্তৃপক্ষ অন্যায্য এবং অপ্রয়োজনীয় বলে অভিহিত করেছে। আর তাই মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ জানিয়েছেন যে, তিনি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন।