Komaki: বাংলাদেশের রাস্তাঘাটে চালানোর জন্য বিশেষ ফিচারযুক্ত ইলেকট্রিক স্কুটার লঞ্চ করল ভারতীয় সংস্থা

ভারতের ইলেকট্রিক টু-হুইলার ব্র্যান্ডগুলি এবার নিজেদের ব্যবসা বিদেশের বাজারেও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এগোচ্ছে। যেমন দু’চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা কোমাকি (Komaki) ভারত পেরিয়ে নেপাল এবং বাংলাদেশের বাজারে…

ভারতের ইলেকট্রিক টু-হুইলার ব্র্যান্ডগুলি এবার নিজেদের ব্যবসা বিদেশের বাজারেও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এগোচ্ছে। যেমন দু’চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা কোমাকি (Komaki) ভারত পেরিয়ে নেপাল এবং বাংলাদেশের বাজারে পদার্পণের কথা ঘোষণা করল। এই প্রথম তারা দেশের বাইরে ব্যবসা করার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চলেছে। কোমাকি নেপাল এবং বাংলাদেশে দুটি শোরুম উদ্বোধনের মাধ্যমে ই-স্কুটার লঞ্চ করেছে বলে খবর। এমনকি ভবিষ্যতে সার্ক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিতেও ব্যবসা ছড়িয়ে ফেলার আগ্রহ দেখিয়েছে দেশীয় সংস্থাটি।

Komaki নেপাল ও বাংলাদেশে শোরুম উদ্বোধন করল

ভারতের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণীর শহরাঞ্চলে কোমাকি-র জোরালো উপস্থিতি রয়েছে। বর্তমানে এদেশে ৫০০-র বেশি ডিলারশিপ আছে তাদের। তাই নেপাল এবং বাংলাদেশের বাজারেও ক্রেতাদের থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী কোমাকি। তারা জানিয়েছে তাদের এলএফপি ব্যাটারি এবং অ্যান্টি-স্কিড টেকনোলজি যুক্ত ইলেকট্রিক টু-হুইলারগুলি নেপাল এবং বাংলাদেশের রাস্তায় চলার জন্য আদর্শ।

ব্যবসা সম্প্রসারণের প্রসঙ্গে কোমাকি ইলেকট্রিক ডিভিশনের ডিরেক্টর গুঞ্জন মালহোত্রা বলেন, “আমাদের সদা লক্ষ্য সাশ্রয়ী মূল্যের অত্যাধুনিক এবং পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক ভেহিকেল তৈরি করা। যাতে সাধারণ মানুষ এগুলি ব্যবহারের সুযোগ পান। বিশ্বমানের ইভি মডেল ডেলিভারি করে ভারতীয় ক্রেতাদের থেকে প্রশংসা আদায় করেছি। ভবিষ্যতে সার্ক দেশগুলি থেকে একইরকম সাড়া মিলবে বলে আশা করছি।” তিনি যোগ করেন, ব্যবসা সম্প্রসারণের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে শ্রীলঙ্কা এবং ভুটানের বাজারকে লক্ষ্য বানিয়েছে সংস্থা।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মে মাসে ভারতে ইলেকট্রিক টু-হুইলার বিক্রির পথে হাটা আরম্ভ করেছিল কোমাকি। বর্তমানে বছরে ৩৯,০০০ থেকে ৪৩,০০০ ইউনিট টু হুইলার তৈরি হয় তাদের কারখানায়। এটি দুই একর জায়গার উপরে গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি এক মাসে এদেশে মোট ২০টি শোরুম উদ্বোধন করেছে কোম্পানি। বর্তমানে ধীর এবং উচ্চগতির উভয় ধরনের ইলেকট্রিক স্কুটার বিক্রি করে তারা।