Meesho থেকে কেনাকাটা করেন? ভুয়ো প্রোডাক্ট ব্যবহার করছেন না তো? খোঁজ মিলেছে ৫২ লক্ষ জাল প্রোডাক্টের

বিগত প্রায় এক দশকে অনলাইন শপিং ভারতের মানুষের জীবনের স্বাভাবিক অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার এই দুই-তিন বছরে বাড়ি বসে জামাকাপড় থেকে শুরু করে কসমেটিকস এমনকি…

বিগত প্রায় এক দশকে অনলাইন শপিং ভারতের মানুষের জীবনের স্বাভাবিক অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার এই দুই-তিন বছরে বাড়ি বসে জামাকাপড় থেকে শুরু করে কসমেটিকস এমনকি ইলেকট্রনিক্স জাতীয় বিভিন্ন প্রোডাক্ট সস্তায় কেনাকাটার Meesho নামক প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করছেন। কিন্তু আপনিও যদি এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করেন, তাহলে এই খবরটি আপনার জন্য। হ্যাঁ, Meesho থেকে আপনি গাদাগুচ্ছের প্রোডাক্ট কিনুন কিংবা একটা-দুটো, এখন আপনার সাবধান হওয়ার সময় এসেছে। কারণ অল্প সময়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা Meesho-তে প্রচুর নকল জিনিস বিক্রি হচ্ছে। ঠিকই পড়েছেন! আর এ শুধু অভিযোগ নয়, Meesho নিজেই গত ছয় মাসে তার প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রায় ৪২ লক্ষ নকল তথা নিয়ম বিরোধী প্রোডাক্ট এবং ১০ লক্ষ নিষিদ্ধ পণ্য সরিয়েছে। গতকাল সংস্থাটি এ তথ্য জানিয়েছে।

আটকানো হচ্ছে সেলারদেরও

আত্মপ্রকাশের পর প্রথম প্রথম মিশো মূলত অনলাইন রিসেলিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ এবং নিজের প্রচার করত। কিন্তু অল্প মূল্যে রকমারি জিনিস কেনার সুযোগ থাকায় ভারতের প্রচুর মানুষ এই অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে মিশোও নিজেকে বেশ অনেকটা আপডেট করে – এমনকি কয়েক মাস আগেই সংস্থার লোগো পরিবর্তন হয়েছে। সেক্ষেত্রে এই প্ল্যাটফর্মে নকল প্রোডাক্ট বা ভুল প্রোডাক্ট মেলার কথা অনেকেই আগে জানিয়েছিলেন। কিন্তু এখন আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টিতে সীলমোহর পড়েছে। মিশো এই প্রসঙ্গে বলেছে যে, তারা নিজের ‘প্রোজেক্ট সিকিউরিটি’ সিস্টেম থেকে ১২,০০০টিরও বেশি নিয়ম লঙ্ঘনকারী সেলার বা বিক্রেতার অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করেছে; ইতিমধ্যে তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে ব্লকও করা হয়েছে।

তবে সংস্থার দাবি, পরিসংখ্যান কয়েক লক্ষ হলেও প্ল্যাটফর্ম থেকে রিমুভ হওয়া মোট প্রোডাক্টের পরিমাণ মিশোতে তালিকাভুক্ত মোট প্রোডাক্টের ৫ শতাংশেরও কম। আবার ফেব্রুয়ারী থেকে মিশোতে এই নিয়ম বিরোধী কেনা-বেচার ক্ষেত্রে প্ল্যাটফর্ম ভিউ ৮০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে Meesho

নিজের জনপ্রিয়তা বজায় রাখতে তথা ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে মিশো, কম্পিউটার এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে বলে মিশোর প্রতিষ্ঠাতা তথা চিফ টেকনিক্যাল অফিসার সঞ্জীব বার্নওয়াল জানিয়েছেন। তাঁর মতে, প্রোডাক্টের গুণমান যাচাই এবং নকল করার প্রোডাক্ট, বিধি লঙ্ঘনকারী বিক্রেতাদের চিহ্নিত করার জন্য সংস্থা নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে চলেছে। তবে যাইহোক আপনি যদি এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করেন, তাহলে কোনো কিছু কেনার আগে ভালো করে সবদিক যাচাই করে নেবেন!