আমেরিকা, চীনের সঙ্গে একই সারিতে ভারত, আগামীকাল গাড়ির সুরক্ষায় চালু হচ্ছে NCAP

কোনও গাড়ি রাস্তায় দুর্ঘটনার কবলে পড়লে কতটা ধাক্কা সহ্য করে টিকে থাকতে পারবে, তা নির্দিষ্ট মাপকাঠি মেনে ক্র্যাশ টেস্টের (NCAP) মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হয় বিশ্বজুড়ে।…

কোনও গাড়ি রাস্তায় দুর্ঘটনার কবলে পড়লে কতটা ধাক্কা সহ্য করে টিকে থাকতে পারবে, তা নির্দিষ্ট মাপকাঠি মেনে ক্র্যাশ টেস্টের (NCAP) মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হয় বিশ্বজুড়ে। এতদিন বিদেশের উপর নির্ভর হলেও ভারত বিশ্বের পঞ্চম দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক বিধি মেনে নিজস্ব ‘কার ক্র্যাশ সেফটি প্রোগ্রাম’ চালু করতে চলেছে। ইতিমধ্যেই আমেরিকা, চীন, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় গাড়ি সুরক্ষার মান যাচাইয়ের নিজস্ব ব্যবস্থা রয়েছে। যাত্রী সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আগামিকাল দেশের সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী ‘ভারত নিউ কার অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম’ বা ভারত এনক্যাপ (Bharat NCAP) নামে কার ক্র্যাশ সেফটি প্রোগ্রাম উদ্বোধন করতে চলেছেন।

দেশের বাজারে বিক্রিত ৩.৫ টন বা তার কম ক্ষমতাসম্পন্ন গাড়িগুলি সুরক্ষার মান যাচাই করে দেখে নেওয়ার সুযোগ পাবে। আসলে ভারতে পথ দুর্ঘটনার উদ্বেগজনক সংখ্যা দেখে ভারত এনক্যাপ চালু করতে চলেছে মোদি সরকার। আগামীকাল লঞ্চ হচ্ছে এটি। ভারত ছাড়া আরও চার দেশ আলাদাভাবে ক্র্যাশ টেস্ট করে। চলুন দেখে নেওয়া যাক কীরকম ব্যবস্থা রয়েছে দেশগুলিতে।

আমেরিকা

আমেরিকায় দুটি ভিন্ন এজেন্সি গাড়ি সুরক্ষার মান যাচাই করে দেখে। ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NHSTA) হচ্ছে সরকারি সংস্থা যারা এই কাজটি করে। ১৯৭৮ সাল থেকে বছরে প্রায় ১২৫টি করে গাড়িতে সুরক্ষার স্টার রেটিং দিয়ে আসছে তারা। অন্যদিকে ইন্সুরেন্স ইনস্টিটিউট ফর হাইওয়ে সেফটি (IIHS) হচ্ছে একটি স্বতন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এরা বছরে ১০০’র বেশি গাড়িতে ৬টি ক্র্যাশ টেস্ট চালাতে সক্ষম।

চিন

চিন এনক্যাপ বা C-NCAP হচ্ছে চীনের কার সেফটি অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম। Euro NCAP চালু হওয়ার পর সেই বিধি মেনে C-NCAP প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটি চিনা অটোমোটিভ টেকনোলজি এবং রিসার্চ সেন্টার দ্বারা পরিচালিত হয়।

জাপান

গাড়ির অভিঘাত সহ্য করার ক্ষমতা বিচার করার জন্য জাপান নিউ কার অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম বা JNCAP ১৯৯৫ সালের প্রথম লঞ্চ করা হয়েছিল। বিশ্বের মধ্যে জাপান হচ্ছে অন্যতম নেতৃত্ব প্রদানকারী গাড়ি নির্মাণকারী দেশ। প্রতি বছর বিভিন্ন মডেলের গাড়িতে এরা ক্র্যাশ টেস্ট রেটিং প্রদান করে থাকে। ১৯৯৯ ও ২০০০ সাল থেকে যথাক্রমে পাশে ও সামনের ক্র্যাশ টেস্ট করা শুরু করেছে এরা।

দক্ষিণ কোরিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ার কার সেফটি অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম বা Korean NCAP গাড়ির সুরক্ষার খুঁটিনাটি বিচার করে দেখার দায়িত্ব পালন করে। এই প্রোগ্রামের আওতায় নতুন গাড়ির সহ্য শক্তি বিচার করে দেখা হয়। ক্র্যাশ টেস্টের উপর ভিত্তি করে রেটিং প্রদান করা হয় মডেলগুলিতে।