দেশে চালু হল প্রথম AI স্কুল, এবার কি তবে শিক্ষকদের চাকরি নিয়ে টানাটানি হবে?

Avatar

Published on:

Indias First AI School Launched in Kerala

শিক্ষা ও আরও উন্নতির প্রসঙ্গে দেশের মধ্যে কেরালার নাম অনেক সময়ই এগিয়ে থাকে। তবে এবার (পড়ুন প্রযুক্তি নির্ভর এই জীবনে) দক্ষিণের এই রাজ্যটি তিরুবনন্তপুরমে দেশের প্রথম AI স্কুল চালু করে সাড়া ফেলেছে। আসলে এখন চারিদিকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জয়জয়কার – দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রেই এর ব্যাপক ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় গত মঙ্গলবার, কেরালা রাজ্যের রাজধানী শহরে অবস্থিত শান্তিগিরি বিদ্যাভবনে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই স্পেশাল স্কুলের উদ্বোধন করেছেন। স্কুলটি iLearning Engines (ILE) USA এবং Vedhik eSchool-এর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলশ্রুতি, এর লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগতভাবে শিক্ষার অভিজ্ঞতা প্রদান করা। নির্দিষ্ট প্রযুক্তি পরিকাঠামোয় পরিচালিত এই বিশেষ বিদ্যালয়ের ডিজাইন, ব্যক্তিগতকৃত শিক্ষা ইত্যাদি সমস্ত কিছুই AI-এর মেশিন লার্নিং, ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং এবং ডেটা অ্যানালাইসিসের সাথে সম্পর্কযুক্ত হবে; অন্যদিকে অনুসরণ করবে এটি নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP 2020)-এর স্ট্যান্ডার্ডও। তবে উন্নতির হাজার কথা থাকলেও এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, AI-এর বাড়াবাড়ন্তে তো বারবারই মানুষের কাজ হারানো বা মানুষকে রিপ্লেস করে প্রযুক্তির সেই জায়গা নেওয়ার আশঙ্কা সামনে আসছে, তাহলে কি এমতাবস্থায় কেরালার AI স্কুলেও মানব শিক্ষক থাকবেনা? কিংবা অদূর ভবিষ্যতে এরকম আরও স্কুল চালু হলে শিক্ষকেরা চাকরি খোওয়াবেন?

মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়া চলবেনা AI স্কুল

সেক্ষেত্রে বলে রাখি, এআই স্কুল, চ্যাটজিপিটি (ChatGPT)-কে দিয়ে মানব শিক্ষকদের প্রতিস্থাপন করবেনা, যা এআই চ্যাটবট হলেও মানুষের কাছে মানুষের মতো প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে সক্ষম। এখানে বিশেষ স্কুলটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে উদ্ভাবনী শিক্ষার অভিজ্ঞতা দেবে, আর প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থা ভূমিকা এবং তাতে মানুষের মিথস্ক্রিয়ার গুরুত্ব একই থাকবে। এছাড়াও এই প্রকল্পের পেছনে আছে মানুষই – এআই স্কুলের জন্য কাজ করেছেন প্রাক্তন মুখ্য সচিব, ডিজিপি এবং ভাইস চ্যান্সেলরদের মতো বিশেষজ্ঞ।

ভারতের প্রথম AI স্কুলের বৈশিষ্ট্য

  • কেরালার এআই স্কুলটি ৮ থেকে ১২ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে একাধিক শিক্ষকের তত্ত্বাবধান, বিভিন্ন স্তরের পরীক্ষা, যোগ্যতার পরীক্ষা, কাউন্সেলিং, ক্যারিয়ার প্ল্যানিং ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মাধ্যমে সহায়তা করবে।
  • স্কুলের এআই সিস্টেম শুধুমাত্র অ্যাকাডেমিক বিষয়ে নয়, এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দক্ষতা (যেমন ইন্টারভিউ দক্ষতা, লেখার মানোন্নয়ন, আলোচনার দক্ষতা, গণিতে বা ইংরেজীতো দক্ষতা, শিষ্টাচার) বাড়াতেও সাহায্য করবে।
  • এআই স্কুলটি শিক্ষার্থীদের JEE, NEET, CUET, CLAT, GMAT এবং IELTS প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করে তুলবে। এখান থেকে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি ভালো পারফরম্যান্সের দক্ষতা তৈরি হবে।
  • এআই স্কুলের অন্যতম বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল যে, এটি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত পরিকল্পনাতেও কাজে আসবে। কারণ এটি নামীদামী বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য প্রয়োজনীয় স্কলারশিপ পেতে গাইড করবে।
সঙ্গে থাকুন ➥