পাহাড়-জঙ্গল দাপাবে অনায়াসে, লঞ্চের আগেই Royal Enfield Himalayan 450-র ফিচার্স ফাঁস

Himalayan 450-র লঞ্চকে ঘিরে বর্তমানে রয়্যাল এনফিল্ড (Royal Enfield)-এর অন্দরমহলে ব্যস্ততা তুঙ্গে। আর কয়েক সপ্তাহ বাদেই ভারতের অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেলের আসরে নতুন সদস্য হিসেবে আসতে চলেছে…

Himalayan 450-র লঞ্চকে ঘিরে বর্তমানে রয়্যাল এনফিল্ড (Royal Enfield)-এর অন্দরমহলে ব্যস্ততা তুঙ্গে। আর কয়েক সপ্তাহ বাদেই ভারতের অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেলের আসরে নতুন সদস্য হিসেবে আসতে চলেছে এটি। কিন্তু তার আগেই ফাঁস হল আসন্ন Royal Enfield Himalayan 450-এর ইঞ্জিনের পাওয়ার এবং ডাইমেনশন। আশ্চর্যের বিষয়, ফাঁস হওয়া নথিতে রয়্যাল এনফিল্ডের এই বাইকটির নাম Himalayan 452 বলে উল্লেখ রয়েছে। যা এতে ৪৫২ সিসি ইঞ্জিন ব্যবহারের ইঙ্গিত দেয়। যদিও এখনো পর্যন্ত চেন্নাইয়ের সংস্থাটি তাদের এই বাইকটির নাম নিশ্চিত করেনি। যেটুকু জানা গিয়েছে, ১ নভেম্বরের মধ্যেই অফিশিয়াল ভাবে আত্মপ্রকাশ করবে।

Royal Enfield Himalayan 450 : পাওয়ারট্রেন

Himalayan 450-এ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এখনও মুখ খোলেনি রয়্যাল এনফিল্ড। তবে ফাঁস হওয়া নথি থেকে জানা গেছে, এটি ৪৫১.৬৫ সিসি, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিনে ছুটবে। যা থেকে ৮,০০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ৪০ পিএস শক্তি উৎপন্ন হবে। তবে টর্কের পরিমাণ সম্পর্কে কিছু উল্লেখ নেই। অনুমান করা হচ্ছে, সেটি ৪০-৪৫ এনএম হতে পারে। সঙ্গে সিক্স স্পিড গিয়ারবক্স দেখা যাবে।

Royal Enfield Himalayan 450 : ডাইমেনশন

আসন্ন Royal Enfield Himalayan 450-এর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা যথাক্রমে ২,২৪৫ মিমি, ৮৫২ মিমি ও ১,৩১৬ মিমি (উইন্ডস্ক্রিন সমেত ১,৪১৫ মিমি)। এবং হুইলবেস ১,৫১০ মিমি।

Royal Enfield Himalayan 450 : ফিচার ও স্পেসিফিকেশন

স্পাই ফটো অনুযায়যী, হিমালয়ান ৪৫০-এ থাকছে একটি নতুন সার্কুলার কালার টিএফটি ডিসপ্লে। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যের তালিকায় রয়েছে ইউএসডি ফ্রন্ট ফর্ক, রিয়ার মোনোশক, অল এলইডি লাইটিং, দু’চাকায় সিঙ্গেল ডিস্ক ব্রেক (সম্ভবত সামনে ৩২০ মিমি এবং পেছনে ৩০০ মিমি), ট্রাকশন কন্ট্রোল, স্লিপ ও অ্যাসিস্ট ক্লাচ এবং ডুয়েল চ্যানেল এবিএস। এতে Ceat-এর ডুয়েল পারপাস টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে।

Royal Enfield Himalayan 450 : দাম ও লঞ্চ

রয়্যাল এনফিল্ড আগামী ২৪ থেকে ২৬শে নভেম্বর গোয়াতে রাইডার ম্যানিয়া-র আয়োজন করতে চলেছে। এই মঞ্চ থেকেই সংস্থাটি তাদের আসন্ন বাইকের দাম ঘোষণা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। KTM 390 Duke-এর প্রতিদ্বন্দ্বী মডেলটির মূল্য ২.৫০ লক্ষ টাকা ধার্য করা হতে পারে বলেই অনুমান।