পার্ট টাইম কাজের নামে প্রতারণার ফাঁদ! ফের 100টি ওয়েবসাইট ব্লক করল মোদী সরকার

করোনা অতিমারীর পর থেকে ভারতের অধিকাংশ মানুষের আর্থিক অবস্থার অনেকটাই অবনতি ঘটেছে। তাছাড়া মূল্যবৃদ্ধি নামক ক্রমবর্ধমান সমস্যাটিও এদেশের পিছু ছাড়ছেনা। এমতাবস্থায় দাঁড়িয়ে তরুণ প্রজন্ম থেকে…

করোনা অতিমারীর পর থেকে ভারতের অধিকাংশ মানুষের আর্থিক অবস্থার অনেকটাই অবনতি ঘটেছে। তাছাড়া মূল্যবৃদ্ধি নামক ক্রমবর্ধমান সমস্যাটিও এদেশের পিছু ছাড়ছেনা। এমতাবস্থায় দাঁড়িয়ে তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে মধ্যবয়েসীরা পার্ট টাইম জব অর্থাৎ খণ্ডকালীন চাকরির দিকে ঝুঁকছেন। বিশেষত বাড়ি বসে বিভিন্ন অনলাইন কাজ করার প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এদিকে এই ইন্টারনেটের ওপর মানুষের এই নির্ভরশীলতাকে (পড়ুন দুর্বলতাকে) কাজে লাগিয়ে বারবার প্রতারণার ফাঁদ পাতা হচ্ছে – প্রায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ বোকা বনে লাখ লাখ টাকা খোয়াচ্ছেন। যেমন হালফিলে, ব্যাঙ্গালোরের এক ব্যক্তি ৬১ লক্ষ টাকার জালিয়াতির শিকার হয়েছেন। সেক্ষেত্রে এই বিষয়ে একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়ার পর এবার কেন্দ্র সরকার আবারও একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি মিনিস্ট্রি (MeitY), সম্প্রতি তথ্য প্রযুক্তি আইন ২০০০-এর অধীনে পার্ট টাইম কাজের নামে প্রতারণা চালায় এমন পুরো ১০০টি ওয়েবসাইট ব্লক করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, নিষিদ্ধ এইসব ওয়েবসাইট কিছু বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে পরিচালিত হত।

ফের ব্যান ১০০টি ওয়েবসাইট, অভিযোগ চাকরির নামে জালিয়াতির

গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আই৪সি (I4C) বিভাগ, ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম থ্রেট অ্যানালিটিক্স ইউনিট (NCTAU)-এর মাধ্যমে ইউটিউব (YouTube) ভিডিও লাইক এবং পার্ট-টাইম চাকরির অফার প্রদানকারী শতাধিক ওয়েবসাইট শনাক্ত করেছে এবং সেগুলিকে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে। তাই এই ধরণের ওয়েবসাইট থেকে সাবধানে থাকুন।

এভাবেও হয় জালিয়াতি

বলে রাখি যে, গুগল ম্যাপ (Google Maps) রিভিউ দেওয়ার বিষয়টিও এই ধরণের জালিয়াতির একটি অংশ। জালিয়াতরা মূলত এই ধরনের কেলেঙ্কারিতে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ইউজারদের একটি মেসেজ পাঠায় এবং পার্ট টাইম চাকরির প্রস্তাব দেয়। এছাড়া তারা কোনো হোটেল বা কোনো জায়গার লোকেশন পাঠায় এবং ৫ স্টার রেটিং দিতে বলে। এর বদলে টাকা দেওয়ার লোভও দেখানো হয়, যে কারণে মানুষ এগুলির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ভুল করে বসেন।

যেমন আপনি গুগল ম্যাপসে রেটিং দেওয়ার সাথে সাথে আপনার ইমেইল আইডি পাবলিক বা সার্বজনীন আকারে প্রকাশিত হয়ে যায়, এদিকে প্রতারকরা এইসব রিভিউয়ের পরে লিঙ্ক এবং স্ক্রিনশট চায়। যখন টাকা দেওয়ার কথা আসে, তখন তারা একটি টেলিগ্রাম নম্বর দেয় এবং সেখানে রিভিউয়ের স্ক্রিনশট শেয়ার করে একটি কোড দিতে বলে। কিন্তু আদতে তারা সাধারণ মানুষের থেকে ব্যাঙ্কের বিবরণ এবং অন্যান্য তথ্য হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা শুরু করে।