লঞ্চের আগেই Ather 450 Apex ই-স্কুটারের বুকিং শুরু, 2,500 পেমেন্ট করলেই আপনার!

বেঙ্গালুরু কেন্দ্রিক স্টার্টআপ সংস্থা Ather Energy বিগত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় ইলেকট্রিক স্কুটারের জগতে উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। সংস্থার একটি নতুন ই-স্কুটার বাজারে আসতে…

বেঙ্গালুরু কেন্দ্রিক স্টার্টআপ সংস্থা Ather Energy বিগত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় ইলেকট্রিক স্কুটারের জগতে উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। সংস্থার একটি নতুন ই-স্কুটার বাজারে আসতে চলেছে, যার নাম 450 Apex। লঞ্চের আগে স্কুটারটির বুকিং চালু করেছে এথার। আগ্রহীরা সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। মাত্র ২৫০০ টাকা টোকেন হিসেবে জমা দিয়েই অগ্রিম বুক হয়ে যাবে।

Ather 450 Apex: রাইডিং মোড ও ফিচার

এথার এনার্জির ওয়েবসাইট থেকে জানা গিয়েছে, 450 Apex মডেলে নতুন ফিচার হিসাবে যুক্ত থাকছে Wrap+ নামক রাইডিং মোড। সব মিলিয়ে এতে রয়েছে মোট চার ধরনের রাইডিং মোড- Eco, Ride, Sport এবং Wrap+। সবশেষে যুক্ত হওয়া এই নতুন মোডে স্কুটারটির পারফরম্যান্স সর্বোচ্চ হতে পারবে। সে সময় গতিও থাকবে সবচেয়ে বেশি।

এছাড়াও সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত টিজারে দেখা যাচ্ছে যে ক্যামোফ্লেজে ঢাকা Apex ড্রাগ রেসে সরাসরি পরাস্ত করছে 450X-কে। এমনকি এখানে বলা হয়েছে যে এই স্কুটারের ব্রেক কম ব্যবহার করলেই হবে। এর অর্থ Apex ভ্যারিয়েন্টে শক্তিশালী রিজেনারেটিভ ব্রেকিং সিস্টেম থাকবে। থ্রোটেলকে উল্টোদিকে ঘোরালে রি-জেনের লেভেল বাড়াতে সাহায্য করবে।

Ather 450 Apex: ডিজাইন

Ather 450 Apex-এর ডিজাইনের প্রসঙ্গে বলতে গেলে এটি সংস্থার আরেক ইলেকট্রিক স্কুটার 450X-এর সমতুল্য হবে। যদিও নতুন মডেলের সামান্য কিছু কসমেটিক পরিবর্তন নজরে আসার সম্ভাবনা। পাশাপাশি অতিরিক্ত কালার স্কিম এবং গ্রাফিক্সে কিছু পরিবর্তন থাকতে পারে। কানাঘুষো এও শোনা যাচ্ছে যে,, হালকা সাব ফ্রেমের উপর তৈরি হয়েছে এটি এবং পিছনের দিকে থাকছে ট্রান্সপারেন্ট প্যানেল।

Ather 450 Apex: মোটর, ব্যাটারি সাসপেনশন ও ব্রেকিং সিস্টেম

পারফরম্যান্সের দিক থেকে বরাবরই সেরা এথারের স্কুটারগুলি। এই নতুন মডেলটিতে অধিক সক্ষমতা বিশিষ্ট ইলেকট্রিক মোটর ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে দ্রুত শক্তি অর্জন করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ঘন্টা প্রতি ১০০ কিমি। ৩.৪ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি প্যাক থাকতে পারে এতে। এছাড়া ফিচার্সের তালিকায় থাকছে ফুল ডিজিটাল টাচ স্ক্রিন যুক্ত ডিসপ্লে, ব্লুটুথ, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, ই-সিম সাপোর্ট। সর্বত্রই এলইডি লাইট। সাসপেনশনের দায়িত্ব সামলাতে সামনে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পিছনে রয়েছে মনোশক অ্যাবজর্ভার। উভয় চাকাতেই ডিস্ক ব্রেক দেওয়া হয়েছে।