ফের Facebook, Instagram-কে সতর্ক করল মোদী সরকার, শীঘ্রই নেওয়া হতে পারে আইন ব্যবস্থা

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা AI এখন কার্যত আমাদের জীবনের মানে পাল্টে দিয়েছে। প্রযুক্তির এই হাতিয়ারটিকে কাজে লাগিয়ে গোটা বিশ্বই মেতে উঠেছে অসাধ্য সাধনের খেলায়! ফলত প্রায়দিনই…

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা AI এখন কার্যত আমাদের জীবনের মানে পাল্টে দিয়েছে। প্রযুক্তির এই হাতিয়ারটিকে কাজে লাগিয়ে গোটা বিশ্বই মেতে উঠেছে অসাধ্য সাধনের খেলায়! ফলত প্রায়দিনই AI সম্পর্কে কোনো না কোনো নতুন চমৎকারের কথা শোনা যাচ্ছে। এদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারিকুরিকে কিছু মানুষ অসৎ উপায়েও ব্যবহার করছে – যার সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে ছড়িয়ে পড়া ডিপফেক (Deepfake) ভিডিওগুলি। এই ধরণের মর্ফড্ বা বিকৃত ভিডিও আজকাল বিশাল উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, কারণ এগুলিতে অন্য কারও মুখ যে কারও শরীরে বসানো যায়, আর তা দেখতেও লাগে আসলের মতোই। সেক্ষেত্রে এই ধরনের ভিডিও ক্রমশ ছড়াতে থাকায় এবং এগুলির সত্য-মিথ্যা নির্ণয় করা যথেষ্ঠ কঠিন হয়ে পড়ায়, বিষয়টি নিয়ে এবার কেন্দ্র সরকার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এমনকি ইলেকট্রনিক্স তথা তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক সম্প্রতি একটি অ্যাডভাইজ়রি জারি করে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে সতর্কও করেছে।

বড়দিনের পরেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে সাবধান করল কেন্দ্র

বড়দিনের জের কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার ফেসবুক (Facebook), ইনস্টাগ্রাম এবং এক্স (পূর্বে টুইটার) এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে একটি অ্যাডভাইজ়রি জারি করে কেন্দ্র বলেছে যে, তাদের ভারতে বিদ্যমান আইটি নিয়ম ৩(১)(বি) মেনে ডিপফেক ভিডিওগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যদি প্ল্যাটফর্মগুলি সময়মতো এই ধরনের ভুয়ো ভিডিওর ছড়িয়ে পড়া বন্ধ না করে বা সেগুলি সরিয়ে না দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে পার্সোনাল বা অশ্লীল কন্টেন্ট এবং ইউজারদের বিভ্রান্ত করতে পারে এমন পোস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ডিপফেক ভিডিও নিয়ে দীর্ঘদিন আলোচনা চললেও গত মাসে বলিউড মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন, অভিনেত্রী রশ্মিকা মান্দান্নার একটি ডিপফেক ভিডিও শেয়ার করে এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন – আর তা থেকে বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। ওই সময়েই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছিলেন যে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে এই ধরনের ভিডিওগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। এখন এই বিষয়টি আরও মাথাব্যাথা বাড়াচ্ছে, কারণ এবার ডিপফেক ভিডিওর মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইলিং এবং প্রতারণার মতো ঘটনাও ঘটছে।

ডিপফেক ভিডিও কী?

ডিপফেক ভিডিও হল বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্যে এক ধরণের এডিট করা ভিডিও, যেখানে কোনো ব্যক্তির মুখ অন্য কারো মুখ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। এভাবে একজন সেলিব্রিটি বা জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে চারপাশের যে কারো মুখমন্ডল দিয়ে এমন কোনো ভিডিও তৈরি করা যেতে পারে, যাতে তার কোনো ভূমিকাই নেই। মানে বুঝতেই পারছেন, এমন গোলমেলে ভিডিও থেকে ঠিক কতোরকমের বিপদ হতে পারে!

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন