কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে চাওয়ালা, বুলেটে চা বিক্রি করেই মাসে লাখ টাকা ইনকাম যুবকের

জীবনে শান্তি থাকাটাই প্রধান। তা আপনি চা-ই বিক্রি করুন বা কোন কর্পোরেট সেক্টরের উচ্চ পদে থাকুন। জব স্যাটিসফেকশন না থাকলে, তা না করাই শ্রেয়। ছোট…

জীবনে শান্তি থাকাটাই প্রধান। তা আপনি চা-ই বিক্রি করুন বা কোন কর্পোরেট সেক্টরের উচ্চ পদে থাকুন। জব স্যাটিসফেকশন না থাকলে, তা না করাই শ্রেয়। ছোট সাধারণ ব্যবসাতে সন্তুষ্টি থাকলে সেটি করেও যে বড়লোক হওয়া যায় সম্প্রতি তেমনই নানা নিদর্শন উঠে আসছে। বিহারের অভিষেক ভরদ্বাজ তার জলজ্যান্ত উদাহরণ। বর্তমানে দিল্লি নিবাসী অভিষেক যে সে চা বিক্রেতা নয়। ‘বুলেট চা’ওয়ালা’ নামে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। ছোটখাটো সেলিব্রিটি বললেও অত্যুক্তি হবে না।

মাস্টার ডিগ্রী পাস করার পর অভিষেক ‘ম্যাক্স লাইফ ইন্সুরেন্স’ নামক বীমা সংস্থার কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর কোটাক মাহিন্দ্রা-তে আট বছর চাকরি করার পর জীবনে নতুনত্ব কিছু করার ইচ্ছে জাগে তাঁর। বাড়ির অমত থাকা সত্বেও ৭৫,০০০ টাকার মাসিক বেতনের চাকরি ছেড়ে চায়ের ব্যবসা শুরু করেন অভিষেক।

কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে বরাবরই ভাল ফল করা অভিষেক চা বেচুক এই নিয়ে একদমই রাজি ছিলেন না পেশায় আইনজীবী তাঁর বাবা। আগে পরিবারের কেউ ব্যবসা করেনি, যা ছিল তাঁর গররাজির অন্যতম কারণ। এই টানাপোড়েনের মধ্যেই নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকা অভিষেক ২০২২ সালে তাঁর সাধের রয়্যাল এনফিল্ড বুলেট (Royal Enfield Bullet) বাইক এ দিল্লি-গুরগাঁও হাইওয়েতে চা বিক্রি শুরু করেন। ‘বুলেট চা’ওয়ালা’ নামে অল্প দিনেই এলাকা ও পথ চলতি মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।

ভাড় পিছু চায়ের দাম ১০ টাকা রেখেই ব্যবসা শুরু করেন বুলেট চা’ওয়ালা। ছয় মাসের মধ্যেই তাঁর মাসিক রোজগার ১,০০,০০০ টাকায় পৌঁছায়। দুর্গা ভক্ত অভিষেক জীবনের প্রথম কামাই মায়ের মন্দিরে দান করেন। ব্যবসায় সফলতার মুখ দেখলেও এখনও পর্যন্ত বাবার সাথে তাঁর সম্পর্কের ফাটল জোড়া লাগেনি। ভবিষ্যতে তা মিটমাট হয়ে যাবে বলেই আশাবাদী তিনি। চায়ের দোকান বাড়িয়ে এখন সেখানে অন্যান্য খাবার জিনিসও বিক্রি করছেন অভিষেক।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন