চোখে ধুলো দিয়ে পালাতে পারবেন না, ট্রাফিক আইন ভাঙলেই এবার চিনিয়ে দেবে AI প্রযুক্তি

যত দিন যাচ্ছে ভারতের শহরাঞ্চলের রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা ততই বেড়ে চলেছে। আর যানজট যত বেশি, ট্রাফিকের নিয়ম-কানুন লঙ্ঘনের প্রবণতাও ততই অধিক। আর প্রসঙ্গ যখন রাজধানী…

যত দিন যাচ্ছে ভারতের শহরাঞ্চলের রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা ততই বেড়ে চলেছে। আর যানজট যত বেশি, ট্রাফিকের নিয়ম-কানুন লঙ্ঘনের প্রবণতাও ততই অধিক। আর প্রসঙ্গ যখন রাজধানী দিল্লি, সে ক্ষেত্রে রাস্তায় সকল যানবাহন ও পথচারী মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পুলিশও যে বেশ কড়া হতে হবে, তা বলাই বাহুল্য। সেই মতো প্রশাসন এবারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই (AI) নির্ভর ক্যামেরা বসাতে চলেছে সমস্ত ট্রাফিক সিগন্যালে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।

দিল্লিতে বসছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চালিত ক্যামেরা

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এআই চালিত ওই ক্যামেরা, ট্রাফিক সিগন্যাল ভাঙলেই তা বুঝতে সক্ষম হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, একটি মোটরসাইকেলে তিনজন আরোহী অথবা কানে সেল ফোন দিয়ে ড্রাইভিং বা হেলমেট ছাড়া টু হুইলার রাইডিং এমনকি পলিউশন কন্ট্রোল সার্টিফিকেট না থাকলেও এটি বুঝতে সক্ষম হবে।

দিল্লির পরিবহণ দপ্তর অটোমেটিক নম্বর প্লেট রিকগনিশন ভিত্তিক ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন বুঝতে সক্ষম, এমন ক্যামেরা বসাতে ২০ কোটি টাকা খরচের পরিকল্পনা করেছে বলে জানা গেছে। এমন প্রযুক্তি ও ক্যামেরা বসাতে ইতিমধ্যেই দরপত্র ডেকেছে সরকার। রিপোর্টে বলা হয়, রাস্তায় সুরক্ষা বাড়াতেই দিল্লি সরকার রাজ্য জুড়ে ইন্টিগ্রেটেড ট্রাফিক এনফোর্সমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা আইটিএমএস চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা কমবে বলেই মনে করছে সরকারপক্ষ।

এই প্রসঙ্গে সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, “আইটিএমএস এর উদ্দেশ্য ট্রাফিক নিয়ম ভঙ্গকারী চালকের সংখ্যা কমানো।” এই ব্যবস্থা চালু হলে নির্দিষ্ট সময়ে জন্য ভারী গাড়ির চলাচল বন্ধ রাখতে চাইলে, সেটাও করতে পারবে সরকার। কারণ কোনটি ভারী গাড়ি, তা এই ক্যামেরা সহজেই বুঝে নেবে। আবার যে কোনো গাড়ির ক্ষেত্রে নিয়ম ভাঙার রেকর্ড মেনন্টেন করবে এই ক্যামেরা।