কোয়ালকম বা মিডিয়াটেকেও নেই! Google Tensor চিপসেটের গোপন ক্ষমতা জানতেন?

Google Pixel 8 সিরিজ গত অক্টোবরে লঞ্চ হয়েছে। এই লাইনআপে Pixel 8 এবং Pixel 8 Pro নামে দু’টি মডেল উপলব্ধ। আর ফোনগুলিতে Tensor G3 চিপ…

Google Pixel 8 সিরিজ গত অক্টোবরে লঞ্চ হয়েছে। এই লাইনআপে Pixel 8 এবং Pixel 8 Pro নামে দু’টি মডেল উপলব্ধ। আর ফোনগুলিতে Tensor G3 চিপ ব্যবহার হয়েছে। এই চিপটির একটি গোপন বৈশিষ্ট্যের সম্পর্কে জানা গেছে, যা হল AV1 কোডেকের জন্য ইন-বিল্ট সাপোর্ট। তাই একে AV1 ভিডিও পরিচালনা করতে সক্ষম প্রথম স্মার্টফোন প্রসেসর হিসেবে মনে করা হচ্ছে। এটি ফোর-কে (4K) রেজোলিউশন এবং ৬০ ফ্রেম প্রতি সেকেন্ডে (FPS) হারে ভিডিও এনকোড করতে পারে।

Google Tensor G3 হল 4K 60fps AV1 এনকোডিং সাপোর্ট যুক্ত প্রথম মোবাইল প্ল্যাটফর্ম

প্রথমেই জানাই, এভি১ হল একটি নতুন ভিডিও কম্প্রেশন স্ট্যান্ডার্ড, যা পুরানো এইচ২৬৪ (H.264) কোডেকের তুলনায় আরও ভাল মানের এবং কম্প্রেশনের প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মিশাল রহমান একটি কোডের ঝলক শেয়ার করেছেন, যা চিপটিতে এভি১ ৪কে রেজোলিউশন এবং সর্বোচ্চ ৬০ এফপিএস সাপোর্ট নিশ্চিত করেছে। এটি এই নির্দিষ্ট এনকোডিং ক্ষমতার পরিপ্রেক্ষিতে কোয়ালকম (Qualcomm), মিডিয়াটেক (MediaTek) এবং স্যামসাং (Samsung)-এর মতো প্রতিদ্বন্দ্বী ব্র্যান্ডের থেকে টেনসর জি৩-কে এগিয়ে রাখে।

তবে টেনসর জি৩-এর এভি১ সাপোর্ট থাকা সত্ত্বেও, বর্তমানে গুগলের নিজস্ব পিক্সেল ক্যামেরা (Pixel Camera) অ্যাপ সহ কোনও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশন নেই, যা ৪কে ৬০ এফপিএস-এ এনকোডিংয়ের জন্য এই ফিচারটি ব্যবহার করতে পারে। সফ্টওয়্যার সাপোর্ট ছাড়া, ব্যবহারকারীরা এই হার্ডওয়্যার ক্ষমতাটি থেকে উপকৃত হতে পারবেন না।

এদিকে, এইচ.২৬৪ ফর্ম্যাটটি বর্তমানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত এবং সাপোর্টেড কোডেক, যার দ্বারা ভিডিওগুলি বিভিন্ন ডিভাইসে সহজেই দেখা যায়। তবে এটি লক্ষণীয় যে, অ্যাপল (Apple)-এর iPhone 15 Pro মডেলগুলিতে ব্যবহৃত লেটেস্ট A17 Pro চিপসেট এভি১ ডিকোডিং সমর্থন করে, কিন্তু এনকোডিং নয়।

উল্লেখ্য, গুগল সম্ভবত ভবিষ্যত প্রজন্মের টেনসর চিপে এভি১ এনকোডিং সাপোর্ট প্রবর্তন করতে পারে এবং এই বৈশিষ্ট্যটি ব্যবহারের জন্য তাদের ক্যামেরা অ্যাপটিকে আপডেট করতে পারে। তবে, একবার অ্যাপ্লিকেশনগুলি ৪কে ৬০এফপিএস-এ এভি১ এনকোডিং সাপোর্ট করা শুরু করলে, Tensor G3-এর এই অভিনব ক্ষমতা ইউজারদের জন্য ব্যবহারিক সুবিধার চেয়েও প্রযুক্তিগত কৌতূহলই বেশি বৃদ্ধি করবে।