Zerodha Nithin Kamath: এই ভুল আপনিও করছেন না তো? নিজের স্ট্রোকের কারণ জানালেন জিরোধা কর্ণধার

বর্তমানে বিভিন্ন মানুষের মধ্যে একটি সাধারণ সমস্যা হল ডিহাইড্রেশন (শরীরে জলের অভাব)। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার, মস্তিষ্কের আঘাত জনিত কারণ, অটোইমিউন ডিসঅর্ডার (স্ব-অনাক্রম্যতা রোগ) সহ বিভিন্ন সংক্রামক…

বর্তমানে বিভিন্ন মানুষের মধ্যে একটি সাধারণ সমস্যা হল ডিহাইড্রেশন (শরীরে জলের অভাব)। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার, মস্তিষ্কের আঘাত জনিত কারণ, অটোইমিউন ডিসঅর্ডার (স্ব-অনাক্রম্যতা রোগ) সহ বিভিন্ন সংক্রামক রোগের কারণে অল্প বয়সি এবং সুস্থ মানুষের মধ্যে এখন এই সমস্যা দেখা যায়। কিন্তু জানেন কি ডিহাইড্রেশনের ফলে ঘটে যেতে পারে স্ট্রোকের মতো ঘটনা। হ্যাঁ তথ্যটি একদম সত্যি। আর সম্প্রতি নিজের এমনই অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সকলের সাথে ভাগ করে নিলেন জিরোধার (Zerodha) সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা নীতিন কামাত (Nithin Kamath)।

স্টক ব্রোকার Zerodha-র প্রতিষ্ঠাতা নীতিন কামাতও ৬ সপ্তাহ আগে ‘মাইল্ড স্ট্রোক’-এ আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর সেই নিয়েই সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ সচেতনতা মূলক পোস্ট করেন তিনি। নীতিন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ স্ট্রোকের কারণ সম্পর্কেও বেশ কিছু তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন তার বাবার চলে যাওয়া, কম ঘুম, ক্লান্তি, ডিহাইড্রেশন এবং অতিরিক্ত ওয়ার্কআউটের ফলেই হয়তো এমনটা হয়েছে। তবে চিন্তার কিছু নেই এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠছেন। কিন্তু, চিকিৎসকদের মতে, তার সম্পূর্ণ সুস্থ হতে আরো তিন থেকে ছয় মাস সময় লাগতে পারে।

কামাত সোশ্যাল মিডিয়াতে তার ফিটনেসের জন্য বেশ জনপ্রিয়। তিনি নিজেকে ফিট রাখার জন্য যথেষ্ট শরীর চর্চাও করে থাকেন, পাশাপাশি তিনি সুষম খাদ্যও খেয়ে থাকেন। তাই হঠাৎ কামাতের স্ট্রোক হওয়া তার ফলোয়ারদের পাশাপাশি তাকেও ভাবিয়ে তোলে।

যদিও স্ট্রোক সাধারণত বার্ধক্য, হাই ব্লাড প্রেসার বা ডায়াবেটিসের মতো রোগের সাথে যুক্ত। তবে কামাতের ঘটনা প্রমাণ করে যে, অল্প বয়সী ব্যাক্তিরাও স্ট্রোকের শিকার হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য সারাদিন প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা উচিত। বিশেষত গরমের সময়, অধিক পরিশ্রমের পর বা ওয়ার্ক আউটের পর শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা অত্যন্ত জরুরি।

বিশেষ করে যাদের পরিবারে স্ট্রোক বা হৃদরোগ আগে ঘটে গেছে, তাদের নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ এবং স্ক্রিনিংয়ের প্রয়োজনীয়তার উপর ডাক্তাররা জোর দিয়েছেন, পাশাপাশি সুষম খাদ্য খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, ওজন বৃদ্ধি যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা এবং ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন থেকেও বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন