Bike Mileage Tips: বাইকের মাইলেজ কমে যাচ্ছে? এই 5 টিপস মেনে চললেই কেল্লাফতে

হালফিলে রাস্তায় যানজট বাড়ার পাশাপাশি জ্বালানি তেলের মূল্যও আকাশ ছুঁয়েছে। ফলে মাইলেজ বেশি পেতে সিংহভাগ বাইক ব্যবহারকারী মরিয়া হয়ে ওঠেন। নামিদামি ব্র্যান্ডের বাইক কেনা সত্ত্বেও…

হালফিলে রাস্তায় যানজট বাড়ার পাশাপাশি জ্বালানি তেলের মূল্যও আকাশ ছুঁয়েছে। ফলে মাইলেজ বেশি পেতে সিংহভাগ বাইক ব্যবহারকারী মরিয়া হয়ে ওঠেন। নামিদামি ব্র্যান্ডের বাইক কেনা সত্ত্বেও প্রতিদিন চলাফেরার খরচ মেটাতে গিয়ে পকেট হচ্ছে গড়ের মাঠ। বহু দু’চাকার গাড়ি মালিকের দাবি এমনটাই যে, তারা তাদের আয়ের বেশিরভাগ অংশই নাকি বাইকের পেছনে ব্যয় করে ফেলছেন। দেখা গেছে যে, এর পেছনে মূল কারণই হল লো-মাইলেজ। তবুও চটজলদি যাতায়াতের ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল খুবই উপযোগী। তাই জেনে নিন, কীভাবে আপনার কম মাইলেজ যুক্ত মোটরবাইকের অবস্থা উন্নত করবেন। নীচে দেওয়া হল তেমনই কিছু টিপস।

১. নিয়মিত নিজের বাইকের সার্ভিস করান

নির্দিষ্ট সময় অন্তর নিজের মোটরবাইকটি সার্ভিসে দিলে তার মাইলেজ নিজে থেকেই ঠিকঠাক থাকে। নির্দিষ্ট সময়ে যদি আপনার বাহনের সার্ভিসিং করান, তাহলে তার ইঞ্জিনও ভালো থাকে। সর্বোপরি মেলে ভালো পারফর্ম্যান্স। তাই মোটরসাইকেলের নিয়মিত সার্ভিসিং অতি জরুরী। আর যদি কোনভাবে তা হয়ে না ওঠে, সেক্ষেত্রে অন্ততপক্ষে ইঞ্জিনের অয়েল পরীক্ষা করিয়ে নিন। তাতে আপনার পথসঙ্গীর জীবনীশক্তি বাড়বে।

২. কার্বুরেটর সেটিং

নিয়মিত বাইকের সার্ভিসিং করানোর পরেও যদি আপনার মনে হয়ে থাকে যে তেলের খরচ কমানো যাচ্ছে না, তবে একবার আপনার দু’চাকার কার্বুরেটর সেটিং পরীক্ষা করিয়ে নিন। নিশ্চিত হয়ে নিন যে, সেখানে কোনরকম সমস্যা আছে কিনা। ইলেকট্রনিক্যালি হোক বা ম্যানুয়ালি, ইঞ্জিনের পারফর্মেন্স পুনঃস্থাপন করতে কার্বুরেটরের রি-টিউনিং অত্যাবশ্যক। ফলস্বরূপ, বাইকের মাইলেজ বাড়ার সাথে সাথে আপনার তেলের খরচ কমবে।

৩. টায়ার প্রেসার চেক করান

মডেল অনুযায়ী বাইকের টায়ার ভিন্ন হয়ে থাকে। প্রতিটি টায়ারে বাতাস ধারণের ক্ষমতাও তাই আলাদা। যখনই গ্যাস স্টেশনে যাবেন, বাইকের টায়ারের প্রেসার চেক করিয়ে নিতে ভুলবেন না। লং রাইডে যাওয়ার আগে টায়ারের প্রেশার চেক করানো ভীষণ জরুরী।

৪. উন্নতমানের জ্বালানির ব্যবহার

নিজেদেরকে ভালো রাখার জন্য আমরা যেমন সব থেকে ভালো মানের জিনিসগুলি ব্যবহার করে থাকি, ঠিক তেমনই আমাদের দু’চাকার জীবনী শক্তির অক্ষুন্ন রাখার জন্য ভালো মানের জ্বালানিরও ব্যবহার করা দরকার। কিছু টাকা বাঁচানোর জন্য নিম্নমানের জ্বালানি ব্যবহার বন্ধ করে উন্নত মানের জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে নিজের মোটর বাইকের ইঞ্জিন ভালো রাখুন।

৫. বেপরোয়া বাইক রাইডিং থেকে বিরত থাকুন

বেপরোয়া বাইক রাইডিং কম মাইলেজ পাওয়ার অন্যতম একটি কারণ। দ্রুত গতিতে রাইডিংয়ের ফলে রাস্তার বড় গর্তের সামনে এসে আচমকা জোরে ব্রেক কষলে বিপত্তির পাশাপাশি বাইকের ক্ষতি অনিবার্য। এটি আপনার বাহনের পাশাপাশি আপনার নিজের সুরক্ষাকেও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করে। দীর্ঘদিন বেপরোয়া বাইক চালালে ইঞ্জিন বিকল হতে পারে।