জ্বালানি খরচ 65% কমে যাবে! বিশ্বের প্রথম CNG মোটরসাইকেলের নাম কী হবে জানেন

বিশ্বের প্রথম সিএনজি (CNG) মোটরসাইকেল লঞ্চ নিয়ে বাজাজ অটোর (Bajaj Auto) অন্দরমহলে এখন চরম ব্যস্ততা। সম্প্রতি সংস্থাটি ভারতে চারটি নতুন নামের জন্য ট্রেডমার্ক দায়ের করেছে।…

বিশ্বের প্রথম সিএনজি (CNG) মোটরসাইকেল লঞ্চ নিয়ে বাজাজ অটোর (Bajaj Auto) অন্দরমহলে এখন চরম ব্যস্ততা। সম্প্রতি সংস্থাটি ভারতে চারটি নতুন নামের জন্য ট্রেডমার্ক দায়ের করেছে। অনুমান করা হচ্ছে, এগুলির মধ্যে থেকে যে কোনো একটি আসন্ন সিএনজি বাইকে ব্যবহার করা হবে। আবার অনেকের ধারণা বাকি নামগুলি ভবিষ্যতে অন্যান্য মডেলের সাথে ব্যবহার করতে পারে বাজাজ। এই চারটি নাম হচ্ছে – Glider, Marathon, Trekker ও Freedom। জানা গেছে, এ বছর ২৯ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সময় এই নাম চারটি জন্য ট্রেডমার্ক দাখিল করেছে বাজাজ।

বাজাজের আসন্ন সিএনজি মোটরসাইকেলের নাম কী হবে

যদিও বাজাজের আসন্ন সিএনজি মোটরবাইকে কোন নাম ব্যবহার করা হবে, তা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। জল্পনা চলছে, আগামীতে বাজাজ Trekker নামের একটি অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেল হাজির করবে। আবার বর্তমানে একটি ২৫০ সিসি ইঞ্জিনের উপর কাজ চালাচ্ছে সংস্থা। এটি Suzuki V-Strom SX-এর প্রতিপক্ষ মডেলে ব্যবহার করা হবে।

অন্যদিকে, Marathon নামটি একটি থ্রি হুইলার কমার্শিয়াল ভেহিকেলের সাথে ব্যবহার করা হবে বলে রিপোর্টের দাবি। Glider ও Freedom – এই দুইয়ের মধ্যে যে কোনো একটি সংস্থার সেই প্রথম সিএনজি মোটরসাইকেলের নামকরণ করা হতে পারে। সময়ের সাথে মডেলটির খুঁটিনাটি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সামনে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

সূত্রের তরফে জানা গেছে, পরবর্তী ত্রৈমাসিক অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে সিএনজি মোটরসাইকেল লঞ্চ করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন রাজিব বাজাজ। প্রসঙ্গত, ভারত হচ্ছে বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম টু হুইলার মার্কেট। গোটা দুনিয়ার ৪০ শতাংশ দু’চাকার গাড়ি বিক্রি হয় এদেশেই। তাই বিশ্বের প্রথম সিএনজি মোটরসাইকেলের লঞ্চ নতুন যুগের সূচনা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বাজাজ সিএনজি মোটরসাইকেলের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ অনেকটাই কম পড়বে। এমনকি জ্বালানির খরচ একটি পেট্রোল চালিত মডেলের তুলনায় ৫৫-৬৫% কম বলে দাবি করা হয়েছে। পেট্রোলের তুলনায় সিএনজি অধিক পরিবেশবান্ধব। কারণ এর দহনে ৫০ শতাংশ কম কার্বন ডাই-অক্সাইড ও ৭৫ শতাংশ কম কার্বন-মনোক্সাইড উৎপন্ন হয়। আবার সিএনজি ইঞ্জিন ৯০ শতাংশ কম নন-মিথেন হাইড্রোকার্বন নির্গত করে। এই জ্বালানির দাম যেমন কম, তেমনই ফসিল ফুয়েলের থেকে বেশি মাইলেজ অফার করে।