বাইক নিয়ে বেরোলে পুলিশি হয়রানির ভয়? এই 3 নিয়ম জানা থাকলে কেউ ছোঁবে না

একথা অনেকেই জানেন, ভারত হচ্ছে বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম টু হুইলারের বাজার। বছর বছর এদেশে বাইক ও স্কুটারের বেচাকেনা আসছে বড় ঢেউ। বেচাকেনা যত বাড়ছে, রাস্তায়…

একথা অনেকেই জানেন, ভারত হচ্ছে বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম টু হুইলারের বাজার। বছর বছর এদেশে বাইক ও স্কুটারের বেচাকেনা আসছে বড় ঢেউ। বেচাকেনা যত বাড়ছে, রাস্তায় যানজটের কারণে রাইড করা ততই চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে। তাই আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলির পক্ষে সকল মোটোরিস্টদের প্রতি সমানভাবে নজর রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলস্বরূপ রাস্তায় বেরোলেই পুলিশের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। যা থেকে বাঁচতে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও হাইওয়ে মন্ত্রক বেশ কিছু নিয়ম চালু করেছে। যেগুলি প্রতিটি টু-হুইলার চালকের জেনে রাখা অতি প্রয়োজন। এই প্রতিবেদনে সেই নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।

  1. কোন নথি সাথে রাখার প্রয়োজন নেই

ড্রাইভিং লাইসেন্স পলিউশন আন্ডার কন্ট্রোল সার্টিফিকেটের মতো কোন নথি সাথে নিয়ে ঘোরার প্রয়োজন নেই। আইনে বলা হয়েছে, ড্রাইভিংয়ের সময় সাথে প্রয়োজনীয় নথি সাথে না রেখে Digi-locker অথবা mParivahan-এর মত মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে সেভ করে রাখলেই চলবে। চালকের যাবতীয় তথ্য সেখান থেকে পাওয়া যায়। তাই পুলিশ দেখতে চাইলে এই অ্যাপ থেকে ডিজিটাল ডকুমেন্ট পেশ করলে তা আইনত গ্রহণযোগ্য হবে। এরপরেও যদি পুলিশ মানতে না চায়, সে ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল মোটর ভেহিকেল রুলস 1989-এর 139 ধারার কথা উল্লেখ করুন।

  1. নথি ফিজিক্যালি অথবা ডিজিটালি না থাকলেও অসুবিধা নেই

যদি তাড়াহুড়োয় মোবাইলটি সাথে নিয়ে যেতে ভুলে যান, সে ক্ষেত্রেও কী হবে ভাবছেন? সেক্ষেত্রেও কিন্তু পুলিশের হয়রানি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। কারণ Digi-locker অথবা mParivahan-এর মত মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে আপনার যাবতীয় তথ্য সেভ করা থাকলে পুলিশ চাইলেই নিজের mParivahan অথবা e-challan-এর মাধ্যমে সমস্ত তথ্যই দেখতে পারবেন। গাড়ির নম্বর দিলেই সেগুলি বেরিয়ে আসবে।

  1. চালান পেমেন্ট

ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘনের কারণে চালান কেটে থাকে, সেক্ষেত্রে পুলিশ ই-চালান পাঠাতে পারে। আগে এই চালান জমা করতে হলে আদালতে পর্যন্ত যেতে হতো। ফলে লেগে যেত গোটা একটা দিন। এখন কিন্তু বিভিন্ন রাজ্য সরকারের তরফে আনা অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে চালান জমা দেওয়া যায়। পেমেন্টও করা যায় অনলাইনে। তাই চিন্তার কোন কারণ নেই।