নিজের গতির রেকর্ড নিজেই ভাঙলেন মায়াঙ্ক, সাথে আইপিএল ইতিহাসের প্রথম‌ প্লেয়ার হিসেবে গড়লেন এই কীর্তিমান

আইপিএল ২০২৪-এর (IPL 2024) ১৫তম ম্যাচটি বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (Royal Challengers Bangaluru) এবং লখনউ সুপার জায়ান্টসের (Lucknow Super Giants) মধ্যে খেলা…

আইপিএল ২০২৪-এর (IPL 2024) ১৫তম ম্যাচটি বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (Royal Challengers Bangaluru) এবং লখনউ সুপার জায়ান্টসের (Lucknow Super Giants) মধ্যে খেলা হয়েছিল। এই ম্যাচটি ২৮ রানে জিতে নেয় লখনউ। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে আরসিবির সামনে ১৮২ রানের টার্গেট দেয় সুপার জায়ান্টস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে ১৫৩ রানে অলআউট হয়ে যায় বেঙ্গালুরু। সেই সঙ্গে আরও একবার গতির সওদাগর মায়াঙ্ক যাদব (Mayank Yadav) তার ফাস্ট বোলিং দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করলেন।ব্যাট করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে ১৫৩ রানে অলআউট হয়ে যায় বেঙ্গালুরু। সেই সঙ্গে আরও একবার গতির সওদাগর মায়াঙ্ক যাদব (Mayank Yadav) তার ফাস্ট বোলিং দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করলেন। ২১ বছর বয়সী এই পেসার সম্প্রতি আইপিএল ২০২৪-এর দ্রুততম বল করেছিলেন। কিন্তু চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে তার চেয়ে দ্রুত বল করে নিজের রেকর্ড ভেঙে দেন তিনি। সেই সঙ্গে হুঁশ উড়িয়ে দেন আরসিবির ব্যাটসম্যানদেরও।

দিল্লির বাসিন্দা মায়াঙ্ক যাদব আইপিএল ২০২৪-এ লখনউয়ের হয়ে খেলে রীতিমতো ঝড় তুলছেন। পাঞ্জাবের পর আরসিবির বিরুদ্ধেও নিজের বোলিং দিয়ে সবাইকে পাগল করে দিয়েছেন তিনি। আরসিবি ব্যাটসম্যানরা তার গতির সামনে লড়াই করছিলেন। মায়াঙ্ক যাদব তার ৪ ওভারের স্পেলে ৩.৫০ এর দুর্দান্ত ইকোনমি নিয়ে বোলিং করে মাত্র ১৪ রানে ৩ উইকেট নেন।

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ক্যামেরন গ্রিন ও রজত পতিদারকে শিকার করেন যাদব। এবারের আইপিএলে নিজের দ্রুততম বল করার রেকর্ড নিজেই ভেঙেছেন মায়াঙ্ক। এই ম্যাচে আরসিবির বিরুদ্ধে ঘণ্টায় ১৫৬.৭ কিলোমিটার গতিতে বল করেছিলেন তিনি। যা এই মরশুমের দ্রুততম বল। এর আগে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে তিনি ১৫৫.৮ কিলোমিটার গতিতে বল করেছিলেন।

চলতি আইপিএলে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে অভিষেক হয়েছিল মায়াঙ্ক যাদবের। পাঞ্জাব কিংস ও বর্তমানে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই ৩-৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এর সাথে আজও ম্যান অব দ্যা ম্যাচ পুরস্কার নিয়ে আইপিএল ইতিহাসের প্রথম প্লেয়ার হন তিনি, যে ক্যারিয়ারের প্রথম দুটি ম্যাচেই ম্যাচের সেরা হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।