FedEx Scam: অনলাইনে কেনাকাটা করেন? ডেলিভারি নিয়ে প্রতারণার শিকার হতে পারেন

প্রযুক্তির দুনিয়া যত উন্নত হচ্ছে ততই উত্তরোত্তর বাড়তে থাকছে অনলাইন জালিয়াতির ঘটনা। আজকাল আকছার সাইবার ক্রাইম এবং অনলাইন স্ক্যামিং সম্পর্কিত ঘটনা খবরের হেডলাইন হচ্ছে। যদিও…

প্রযুক্তির দুনিয়া যত উন্নত হচ্ছে ততই উত্তরোত্তর বাড়তে থাকছে অনলাইন জালিয়াতির ঘটনা। আজকাল আকছার সাইবার ক্রাইম এবং অনলাইন স্ক্যামিং সম্পর্কিত ঘটনা খবরের হেডলাইন হচ্ছে। যদিও এখন আর চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বা লটারি জেতার প্রলোভন দেখিয়ে মানুষ ঠকানো যাচ্ছে না। তাই সাইবার অপরাধীরা এখন ভয় দেখিয়ে নিজেদের কার্যসিদ্ধি করতে মরিয়া। যেমন সম্প্রতি কুরিয়ার কোম্পানি FedEx, তাদের নাম ব্যবহার করে পরিচালনা করা একধরণের ফোন কল স্ক্যাম সম্পর্কে গ্রাহকদের সতর্ক করছে।

রিপোর্ট অনুসার, FedEx সংস্থার নাম ভাঙিয়ে কিছু অসৎ ব্যক্তি ভুয়ো ফোন কল করছে। তারপর ভিক্টিমের নামে একটি অবৈধ শিপমেন্ট আটকানো হয়েছে যার জন্য সে আইনি সমস্যায় জড়াতে পারে – এমনটা ভয় দেখানো হচ্ছে। পরবর্তীতে সমস্যার সমাধানের জন্য প্রতারকরা FedEx কাস্টমার কেয়ারের সাথে যোগাযোগ করে ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করার নির্দেশ দিচ্ছে। যারা সাত-পাঁচ না ভেবে এই কেলেঙ্কারির ফাঁদে পা দেবেন তাদের পরিচয় চুরি তো হবেই, সাথে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিমেষে খালি হওয়ার সম্ভাবনাও ব্যাপক।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তির অপব্যবহার করছে হ্যাকাররা

হালফিলে একদল হ্যাকার একটা অভিনব পদ্ধতিতে মানুষ ঠকানোর ব্যবসা ফেঁদে বসেছে। যেখানে ভিক্টিমকে, তার নামে বেআইনি বস্তু চালান করার অভিযোগ এনে রীতিমতো ভয় দেখানো হয়। তারপর এই সমস্যার সমাধান করতে কুরিয়ার সংস্থা ফেডেক্স -এর কাস্টমার কেয়ারের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়। এর জন্য ফোনের ডায়ালার থেকে ৯ ট্যাপ করার নির্দেশ দিচ্ছে হ্যাকাররা। ভিক্টিম যেই ৯ নম্বর ট্যাপ করছেন, তাদের এক ভুয়ো কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভের সাথে সংযুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে যিনি নিজেদেরকে ফেডেক্সের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। এমনকি ভিক্টিমের মনে যাতে কোনো ধরণের সন্দেহ না জাগে, তার জন্য পেশাদার কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভদের মতো কথাও বলছে প্রতারকরা। এর জন্য আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা AI প্রযুক্তির সাহায্যে নিয়ে হ্যাকাররা কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভের কথা বলার স্টাইল ক্লোন করছে।

ভুয়া নোটিফিকেশন ও মেসেজ পাঠিয়ে লোক ঠকাচ্ছে হ্যাকাররা

ভুয়ো ফোন কল স্ক্যামিংয়ের পাশাপাশি হ্যাকাররা, ফেক নোটিফিকেশন এবং মেসেজ পাঠিয়েও লোক ঠকানোর চেষ্টা করছে। আরো সহজ করে বললে, বিভিন্ন সংস্থার নাম ভাঙিয়ে প্রতারকরা ভিক্টিমদের আকর্ষণীয় অফার এবং স্কিম মেসেজ বা নোটিফিকেশন হিসাবে ফোনে পাঠাচ্ছে। আজকালকার সময়ে মানুষ অনলাইন শপিংয়ের প্রতি বিশেষ আগ্রহী। ফলে সহজেই বহু মানুষ এই ফাঁদে পা দিয়ে মেসেজ বা নোটিফিকেশনের সাথে সংযুক্ত লিঙ্কে ক্লিক করে বসছেন। এমনটা করলেই তাদের ডিভাইসে একটি ম্যালিশিয়াস অ্যাপ ইনস্টল হয়ে যাচ্ছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে হ্যাকাররা ডিভাইসের সিস্টেম বাইপাস করে তাতে থাকা সমস্যা ডেটার অ্যাক্সেস হস্তগত করতে সক্ষম। সবথেকে উদ্বেগের বিষয় হল, মোবাইলে যদি কোনো ব্যাঙ্কিং অ্যাপ থাকে তবে তাতে থাকা তথ্যও চুরি করার ক্ষমতা রাখে ভাইরাসযুক্ত অ্যাপটি।

এছাড়া জানা গেছে, কিছু হ্যাকার প্রতারণা করার জন্য কল স্পুফিং এবং ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল প্রযুক্তির ব্যবহারও করছে।

স্ক্যামিং থেকে সুরক্ষিত থাকতে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন :

সিআইডি বা পুলিশ বিভাগের মতো সরকারি সংস্থার নাম করে কেউ যদি ফোনে করে “আপনার নামে বেআইনি জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে” এমনটা বলে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে তবে একদম আতঙ্কিত হবেন না। প্রথমেই ব্যক্তিটির কথা সম্পূর্ণ শুনুন এবং তার কলারের বিবরণ ক্রস-চেক করুন। সন্দেহজনক মনে হলে নিকটস্থ থানায় এবিষয়ে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।

যদি ভুলবশত অচেনা নম্বর থেকে আসা কোনো লিঙ্কে ক্লিক করে দেন, তবে ডিভাইসে ভাইরাস ঢোকার সম্ভাবনা ব্যাপক। তাই ফোন ও ফোনে থাকা সমস্ত অ্যাপ আপডেটেড রাখার চেষ্টা করুন। সাথে অ্যান্টি ভাইরাস সফ্টওয়্যারও নিয়ে রাখতে পারেন। এমনটা করলে ভাইরাস দ্বারা ডিভাইস ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

এছাড়া বৈধ কোনো ডাউনলোডিং সাইট ছাড়া অ্যাপ ইনস্টল করবেন না। সর্বোপরি APK ফাইল বা থার্ড পার্টি অ্যাপ ডাউনলোড থেকে বিরত থাকুন।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন