Jio, Airtel-দের সতর্ক করল কেন্দ্র, গ্রাহকদের ফোনে প্রমোশনাল কল-মেসেজ গেলেই গুনতে হবে জরিমানা

অনেক সময়ই এমন হয় যে দুপুরে ভরপেট খেয়ে একটু ঘুম দেওয়ার জো করছেন এমন সময়ই বেজে উঠল ফোন, কিংবা কারো সাথে কল করা, কিছু গুরুত্বপূর্ণ…

অনেক সময়ই এমন হয় যে দুপুরে ভরপেট খেয়ে একটু ঘুম দেওয়ার জো করছেন এমন সময়ই বেজে উঠল ফোন, কিংবা কারো সাথে কল করা, কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা বা গাড়ি চালানোর সময় একটি অপরিচিত (unknown) নম্বর থেকে কল এল। এদিকে সেই ফোন কল রিসিভ করে আপনি বেশ বিরক্ত হলেন, কেননা তখন অপর প্রান্তে ভেসে আসছে কম্পিউটারাইজড্ ভয়েস – অর্থাৎ ইনকামিং কলটি প্রমোশনাল বা প্রচারমূলক কল। এই সমস্যাটি আজকের নয়, বারবার এই নিয়ে সরব হয়েছেন ভারতীয় গ্রাহকরা। সেক্ষেত্রে খুব শীঘ্রই এর নিষ্পত্তি হতে চলেছে, কেননা মোদী সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত দেশীয় টেলিকম অপারেটকে এই মাসের মধ্যে প্রমোশনাল কল বন্ধ করতে বলা হয়েছে।

জানা গিয়েছে যে, সরকারি নির্দেশ না মেনে অনিবন্ধিত বা আন-রেজিস্টার্ড (unregistered) মোবাইল নম্বর থেকে প্রমোশনাল কল করলে টেলিকম কোম্পানিগুলিকে জরিমানা দিতে হবে এবং তাদের করা এই কল ‘ইম-প্রপার ট্রেড প্র্যাক্টিস’ অর্থাৎ ভুল ধরণের ব্যবসা হিসেবে বিবেচিত হবে। উল্লেখ্য, এই প্রথমবার নেটওয়ার্ক সার্ভিস প্রোভাইডারদের কাস্টমারদের গোপনীয়তা এবং অধিকার লঙ্ঘনের কারণে জরিমানা আরোপ করার কথা বলা হয়েছে। আর তাই এবার প্রমোশনাল কলের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

লক্ষ লক্ষ কলে বিরক্ত ইউজাররা

বর্তমানে মোবাইল গ্রাহকরা ব্যক্তি মালিকানাধীন (individual ownership) ১০ সংখ্যার আন-রেজিস্টার্ড নম্বর থেকে প্রচুর প্রচারমূলক কল এবং বাণিজ্যিক মেসেজ পাচ্ছেন। অথচ এই নম্বরগুলি বাণিজ্যিক ব্যবহারের নামে নিবন্ধিত নয় বা এগুলিকে প্রচারমূলক কাজে ব্যবহার করা যায়না। সেক্ষেত্রে এই গোটা ঘটনার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে গত সপ্তাহে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠকের পর টেলিকম সংস্থাগুলিকে মোটা অঙ্কের জরিমানা করার কথা বলা হয়।

বৈঠকের খসড়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, যেসব কোম্পানি আন-রেজিস্টার্ড কল থেকে উপকৃত হচ্ছে বলে জানা যাবে, তাদের প্রমোশনাল কল ছড়ানোর জন্য দায়ী করা হবে। সরকারের মতে, এই ধরণের কলারদের কমিশন এজেন্ট হিসাবে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক, বীমা সংস্থা এবং রিয়েল এস্টেট ফার্মের নামে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। অন্যদিকে এইভাবে টেলিকম অপারেটরদেরও প্রমোশনাল কলের পরিচয় দেখাতে হবে, যাতে গ্রাহকরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে তাঁরা কল রিসিভ করবেন কিনা।

বলে রাখি, উল্লিখিত বৈঠকে ভারতের টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (TRAI), দূরসঞ্চার বিভাগ থেকে শুরু করে রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio), ভারতী এয়ারটেল (Bharti Airtel), বিএসএনএল বা ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (BSNL or Bharat Sanchar Nigam Limited), এবং ভোডাফোন (Vodafone)-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলি উপস্থিত ছিল। সবাই একত্রভাবেই কেন্দ্রীয় উপভোক্তা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ বা সেন্ট্রাল কনজিউমার প্রোটেকশন অথরিটি (CCPA)-র নিয়ম অনুসরণ করার এবং গ্রাহকস্বার্থ রক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।